স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট স্বেচ্ছাসেবকলীগ সম্মেলন নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগর অর্ন্তগত ৯টি ওর্য়াডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ রোববার বিকেলে নাসিক ২৩নং ওর্য়াডস্থ বন্দরের খান বাড়ি মোড়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সম্মেলনের দাওয়াত পত্র ও ব্যানার, ফেস্টুনে নাম রাখা হয়নি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদের নাম। যা নিয়ে বন্দরের রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। মহানগর বন্দরের সেচ্ছাসেবকলীগ ৯টি ওর্য়াড কমিটির সম্মেলনে কেন প্রবীন এ নেতার নাম রাখা হয়নি। কার্ডে বা দাওয়াত পত্রে আলহাজ্ব এম এ রশিদের নাম রাখা হয়নি মানে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগকে অসম্মান করেছে। সম্মেলনের সময় উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের কাছে এর জোড় প্রতিবাদ করা হবে বলে সরকারদলীয় একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের পক্ষে যে দাওয়াত পত্র করা হয়েছে, সেখানে উদ্বোধক হিসেবে জুয়েল হোসেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন প্রধান অতিথি, সম্মানিত অতিথি মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম। বিশেষ বক্তা হিসেবে, মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, এড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ফাতেমা ইসলাম রাহা কাজী, কায়কোবাদ রুবেল, তাহের উদ্দিন। আনিসুর রহমান টিপুর সভাপতিত্বে সম্মেলন প্রস্তুতিমূলক কমিটির সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের সঞ্চালনায় এমন একটি অনুষ্ঠানে সকলকে অতিথি করা হল, বন্দর আওয়ামীলীগের অভিভাবক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা উপজেলা কমিটির সভাপতি আবার মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কি এ অনুষ্ঠানে অতিথি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বন্দর আওয়ামী লীগের সর্ব্বোচ শীর্ষ নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেন রাখা হয়নি প্রশ্ন রাজনৈতিক বৌদ্ধদের। সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে মূল সংগঠন আওয়ামীলীগকে বলতে অনেকটা অবমাননা করেছে। তবে এ সম্মেলন নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন অবস্থানে যায় তা দেখার বিষয়।