ছাত্রলীগের প্রতি ক্ষিপ্ত ছাত্রদল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে বর্তমানে আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা দেখা যায় জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের। আর সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে আপন ভাইয়ের মতো সম্পর্ক যাতে করে বুঝা যায়। বিগত দিন থেকে বর্তমানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছে ছাত্রদলের রাজনীতি। এছাড়া বিএনপি ও বর্তমানে আন্দোলণ মুখী অবস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে তরুণ আন্দোলণে সকল অঙ্গসংগঠন থেকে ছাত্রদলের ভুমিকাই বেশি। দেখা যাচ্ছে তারা সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সেই ক্ষেত্রে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের রাজপথ থেকে দাবিয়ে রাখতে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদের নেতৃত্বে গতকাল মহানগর ছাত্রদলের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সহ তিনজনের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব। গত শুক্রবার কলেজ রোডে হাবিবুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী মিলে এই মহানগর ছাত্রদলের রাজীবসহ তার সহযোগীদের মারধর করে। এ ঘটনায় রাজীব বর্তমানে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আইসিওতে রয়েছে। সেই ঘটনাকে নিয়ে বর্তমানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ সভার হিড়িক পরেছে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল চাষাড়ায় জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গর্জন সৃষ্টি করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে জেলা, মহানগরের সকল থানা ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সকলেই দাবি করছেন এই মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ নারায়ণগঞ্জের বড় মাদক ব্যবসায়ী ও সরকারি তোলারাম কলেজে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে থাকে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া বলেন, গতকাল মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীবের উপর হামলা করেছিলেন। মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ সে আসলে একজন মাদক ব্যবসায়ী। আর এই রিয়াদের চাচা হচ্ছে ডাকাত তার পুরো ফ্যামিলি ডাকাতের সাথে জড়িত। রিয়াদের চাচাকে আশা ডাকারত নামে নারায়ণগঞ্জের সবার কাছে পরিচিত। অন্যদিকে তার আরেক চাচা জসিম প্রধান তিনি জুয়া, ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি জুয়ার আড্ডা বসিয়ে থাকে। অপরদিকে এই রিয়াদের আরেক চাচাতো ভাই অনিক তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে অনেক অপকর্মের রেকর্ড রয়েছে যেমন, ইফটিজিং সহকারে এলাকাতে মাদক ব্যবসাস নানা অপর্কের সাথে জড়িত রিয়াদের চাচাতো ভাই অনিক। তিনি আরো বলেন, এই মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ তিনি তোলারাম কলেজে মাদক বিক্রি করে এবং নারায়ণগঞ্জের এই সরকারী শিক্ষার মতো পবিত্র জায়গাটাকে তিনি মাদকের আখড়ায় পরিনত করেছে। আমি এই রিয়াদসহ সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলছি ছাত্রদলের কোন কর্মীর উপরে যদি তারা আরেকবার আঘাত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সেই হাত আর নিয়ে যেতে দিবো না, রক্তের বদলে আমরা রক্তের মাধ্যমেই তার প্রতিশোধ নিবো। আপনারা আরো অবগত আছেন কিছুদিন আগে রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আইয়ূবুরের নেতৃত্বে আপনারা জানেন কাঞ্চন বাজারে কাঞ্চন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাতের উপর হামলা করা হয়েছে। এবং তাদেরকে বেঁধে রেখে বেধরকভাবে পিটানো হয়েছে ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন চাপাতি, রামদা দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। এই আইয়বুর রহমান তিনি একজন সন্ত্রাস তার কোন ছাত্রত্ব নেই সে এলাকার মধ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। এই আওয়ামী লীগ সরকার যদি এই নেতাকর্মীদের ক্ষমতায় রাখে বাংলাদেশের মানুষ কোন দিন ও শান্তি পাবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষের শান্তি পেতে হয় তাহলে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে হবে আর এই গণতান্ত্রিক সরকার হলো জননেতা তারেক রহমান। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এটা মনে করেন বর্তমানে নিশ্চিত হয়ে গেছে। ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগ পাগল হয়ে গেছে। আর এখন বিএনপি একটি জনস্রোত বসিয়ে যাচ্ছে বলা চলে প্রতিদিনই। যার কারণে বর্তমানে তারা ভীত হয়ে গেছে তারা এখন উল্টাপাল্টা কাজ করছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ফেলেছে। এতে করে তাদের সর্বশেষে রক্ষা হবে না। প্রতিটি হামলার জবাব আমরা তাদের রাজপথেই ফিরিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন তারা সবাই এখন বুঝে গেছে তারা আর ক্ষমতায় আসতেছে না। জনগণ তাদের এখন আর পছন্দ করে না, যে কারণে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এই সস্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে ছাত্রদলের ছেলেদের উপর হামলায় করায়। ছাত্রদল হলো মেধাবীদের সংগঠন ছাত্রদল হলো শিক্ষিত সংগঠন। আপনারা অবগত আছেন এই মিট নাইট স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলণে এই ছাত্রদলের ভূমিকা ব্যাপক। ছাত্রদল কিন্তু সরকারের ক্লান্তি লগ্নে এগিয়ে আসে। এই ছাত্রদলকে যদি দমানো যায়। তাহলে আগামীতে তারা তাদের ক্ষমতা ঠিক রাখতে পারবে। তখন তারা আবার দিব্বি চাদাঁবাজি, ধর্ষণ করতে পারবে, সন্ত্রাসী হামলা চলায় সেই ধারাবাহিকতায় হচ্ছে মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজিবের উপরে। রাজীব একজন শিক্ষিত ছেলে ও একজন ভদ্র ছেলে এ ছেলেকে অকারণে ডেকে নিয়ে অনেক খারাপভাবে তাকে আঘাত করে। তার চোখের পাপড়ীর মধ্যে ৬টি সেলাই পরেছে একটা শত্রু একটা শত্রুকে এভাবে মারে না। তার মাথার মধ্যে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে. পা একটা ভেঙ্গে গেছে। এভাবে কোন মানুষ একটা মানুষকে মারতে পারে না। ছাত্রলীগ মানুষের কাতারেই পরে না। ছাত্রলীগ এই হামলার মাধ্যমে আমাদের একটা বার্তা দিতে চাইলো তোমরা আন্দোলন সংগ্রাম আর করিয়ো না। তারা দেখেছে এই রাজীব বিশাল কর্মী নিয়ে ঢাকার মহাসামবেশে অংশ গ্রহণ করেছে। তাই রাজীব ও বিএনপির যে জনস্রোত তা দেখে তারা হিংসাক্ত। তাই মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার বাহিনী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদে ভয়ভীতি দেখাতে চাচ্ছে। আমি ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ছাত্রদল ভয় পাওয়া সংগঠন না। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইস্তিয়াক বলেন, আগামী কাল আমাদের সহযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীবের উপরে যেভাবে এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হামলা করেছে। আমি তার তীব্র ও নিন্দ্রা প্রতিবাদ জানাই। আর বলতে চাই এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বিভিন্ন থানায় মহানগরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপরেই উঠে পরে লেগেছে। কারণ তারা বুঝে গেছে বর্তমানে ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিকে চাঙ্গা করছে। তাই এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হিংসায় আর থাকতে পারছে না। তাই তারা ছাত্রদলের উপরে হামলা করে নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট করতে চাচ্ছে কিন্তু আমি বলতে চাই ছাত্রদল বর্তমানে বিগত দিন থেকে অনেকটাউ শক্তিশালী তাই ছাত্রদলকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব না। জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলন বলেন, আমরা বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলণে রয়েছি। আপনারা জানেন এই মুহুর্তে দেশের সব থেকে জনপ্রিয় সংগঠন জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। জেলাতে ১২টি ইউনটি এবং মহানগরে ৭টি ইউনিট। আপনারা জানেন ছাত্রলীগ সরকারী কাউয়া দল, কিন্তু আমরা কিন্তু সুসংগঠিত ও আমাদের ইতি মধ্যে সকল ইউনিটে কমিটি আছে ও আরো গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু এই ছাত্রলীগের এমন কোন ইউনিট কমিটি নেই তাই তারা আমাদের জনস্রোত ও জনপ্রিয়তা দেখে হিংসায় পাগল হয়ে যাচ্ছে। কারণ এখন তাদের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে আর। আর আপনারা আরো অবগত আছেন আমরা সেই সন্ত্রসী ছাত্রলীগের মতো না চাঁদাবাজী করে চলছি আমরা আমাদের মায়ের আচঁলের টাকা দিয়ে সংহঠন চালিয়ে থাকি। আর ছাত্রদলের তন্ময় ও রাজীব একজন জনপ্রিয় ছাত্র নেতা। এছাড়াও রাজীব কিন্তু শুধু মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়ির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নয় তিনি সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও তার যে জনপ্রিয়তা তা দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভীত হয়েছে। তাই ছাত্রদলের মনোবল নষ্ট করার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহর অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের ভয় দেখানো সহজ নয় আমরা অতীত থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল শক্তিশালী আছি। আমরা এই আন্দোলন সংগ্রাম থেকে পিচপা হবো না আমরা বিজয় হয়েই ঘরে ফিরবো। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডারা বর্তমানে তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা পাগল হয়ে গেছে। কারণ তারা আর চাঁদাবাজী, ধান্দাবাজি করতে পারবে না। তাই তারা এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। এখন এই ছাত্রলীগের কুত্তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কামড় দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। আমি তাদেরক বলতে চাই আপনারা বেশিদিন আর টিকে থাকতে পারবেন না। আমরা ছাত্রদল বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ আছি আর যে কোন আঘাত প্রতিহত করার জন্য আমরা প্রস্তুত। রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। সেদিকে কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি ভালো ভূমিকা পালন করে আসছে। যার কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উপরেই বার বার হামলা হচ্ছে। কিছুদিন আগে ছাত্রদল নেতা তন্ময় হাসান ও রিফাতের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এটার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আইয়বুর রহমান তিনি একজন মাদক ব্যাবসায়ী ও নেশাগস্থ লোক। আবার মহানগর ছাত্রদলের রাজীবের উপরে ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদ যে নারায়ণগঞ্জের সব থেকে বড় মাদক ব্যবসায়ী। এই বিতর্কিত রিয়াদের নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে তা বার বার প্রমান করে যে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন সুতরাং আমরা ছাত্রদল থেকে বলতে চাই এই ছাত্রলীগকে আমরা এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে প্রতিহত করবো। আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসেন বলেন, বর্তমানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাপুরুষের মতো যে হামলা করতাছে তার কারণ হলো তারা এখন বুঝে গেছে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারতেছে না। তাই বর্তমানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলতাছে। আর এই ধরনের হামলায় যদি কোন সঠিক বিচার না হয়। তাহলে ছাত্রদল তার প্রতিটি ইউনিটকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে সঠিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আর আগামী কাল মহানগর ছাত্রদলের নেতার উপরে হামলার তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।