যুবদলে পরিবর্তন চায় তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কার্যক্রম নিয়ে হতাশ তৃনমূল। কারণ বর্তমান সুপার ফাইভ কমিটির আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মঞ্জু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল মহানগর যুবদলের কমিটি নিয়ে অর্থ স্বার্থের লড়াইয়ে ব্যাপকভাবে লিপ্ত হয়ে মহানগর বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠন গুলোর মধ্যে একটি বিতর্কিত সংগঠন হিসেবে রূপ দিয়েছেন। আর সংগঠনটিকে তারা এতো হারে বিতর্কিত করেছে যে রাজনৈতিক অঙ্গণে বিতর্কিত নাম উঠলেই সবার আগে মুখে আসে মহানগর যুবদলের কথা। তাদের নামে তিন তির বার কমিটি বানিজ্যেসহ নেতাকর্মীদের পদের লোভ দেখিয়ে টাকার আত্মস্বার্ত করার লিখিত অভিযোগ কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে এখানো কোন এক্যাশন না আসার কারণে অনেকটাই উশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে এই মন্তু ও সজল। তারা দুই জনের নানা ব্যর্থতায় মহানগর বিএনপি ও সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করতে পারছে না। প্রতিটা কর্মসূচিতেই কোন না কোন উশৃঙ্খল কর্মকান্ড পরিচলনা করে থাকে মন্তু ও সজলের লোকজন। যা প্রতিটি বিশৃঙ্খলা দায়ভার বহন করতে হয় মহানগর বিএনপির। কিন্তু এবার কমিটি বানিজ্যে ও সংঘর্ষেই বসে নেই এই মন্তু-সজল তারা এখন কিলিং মিশনে ও লিপ্ত হয়ে পরছেন। কয়েকদিন পূর্বে মহানগর বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত একটি প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহা সচিব রুহুল কবির রিজভী সেদিন তার সামনেই আড়াইহাজারের দুই নেতার সংঘর্ষ হয় সেদিন আড়াইহাজারের আজাদের হয়ে সজল বিপক্ষে সুমনের হয়ে জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতি করে এক সময়ে তার অনুগামীদের দিয়ে আজাদের নির্দেশে শহরে কয়েক দফায় নরক্ষেত্র সৃষ্টি করে। এছাড়াও গত ১৭ জুলাই মহানগর যুবদলে তরুণ্যের সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কালে সিদ্ধিরগঞ্জের এক নেতা পদ বানিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ তোলায় নগরীর চাষাঢ়ায় মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের অনুগামীরা যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর আক্রমন করেছে। প্রকাশ্য লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে চাষাঢ়া মোড়ে প্রকাশ্য ওই তা-ব ঘটনায়। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছিল সেখানে সিদ্ধিরগঞ্জের কমিটি নিয়ে বাণিজ্যকরণের অভিযোগ তুলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শেখ মুহাম্মদ অপু। এ নিয়ে সেখানে মন্তু ও সজলের অনুগামী শহীদুল্লাহ প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে অপু, হৃদয় ও তার লোকজন চাষাঢ়া এলাকাতে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চলে। হৃদয়কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। অপর দিকে আবার সজল তার লোকজন দ্বারা সেই শহিদুল্লাহ লোকদের কিল্লার পুল এলাকায় অটো আটকিয়ে মেরে আহত করেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা সমালোচনা। এমনকি র্দীঘদিন যাবৎ তাদের এহেন কর্মকান্ডে অনিষ্ঠ হয়ে গেছেন যুবদলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সকলেই এবার চায় রদবদলের মাধ্যমেই আবার কমিটির দায়িত্ব যোগ্য নেতৃত্বের হাতে বুঝি দেওয়া হোক আর অতি শীঘ্রই জটিল আন্দোলণ ঘোষণার পূর্বে মহানগর যুবদলে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে যুবদলকে রাহুমুক্ত করার দাবি তৃণমূলের। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর মমতাজউদ্দীন মন্তুকে আহ্বায়ক এবং মনিরুল ইসলাম সজলকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর যুবদলে মন্তূ-সজল নেতৃত্বে আসার পর থেকেই নানা রকম বিতর্কে জড়িয়ে মহানগর যুবদলকে একটি বিতর্কিত সংগঠনে রূপ দেয়। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই মন্তু-সজলের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা চলমান ছিল এবং তাদের অযোগ্য নেতৃত্ব অপসারণের দাবি উঠছিল। মন্তু-সজলের সকল বিতর্কিত কর্মকান্ড সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত এবং তাদের বিতর্কিত নেতৃত্বের উপর কেন্দ্র তেক্ত বিরক্ত। কারণ তাদের উপর নেতৃত্বের ভার দেয়ার দীর্ঘ ১৮ মাস অতিক্রম করলেও একাধিকবার মহানগর যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গেও নির্দেশ দিলে খসড়া কমিটিতে নেতাদের পদের প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেয়ার একাধিকবার অভিযোগ উঠছে। এ ছাড়া ও এই মন্তু-সজলের ইমেজ নিয়ে ও নেতাকর্মীদের রয়েছে নানা সমালোচনা। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে পদ বানিজ্যের অভিযোগ উঠালেই পরতে হয় তাদের রশাতলে। যার কারণে তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না অনেকই। সব বাদ দিয়ে মহানগরের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা দিকে তাকেই দেখা মিলে যুবদল কতটা রশাতলে চলে গেছে। এখানে কমিটি বানিজ্যে করতে করতে মন্তু-সজল এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ও তাদের রশাতলে পড়া কেউ মুখ খুলতে চাইলেই তাদের সাবধান করে দেওয়া হয় এই বলে রাজনীতি করতে হলে কিল্লারপুলের উপর দিয়েই কিন্তু যেতে হবে। এমন নানা ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে চায় না। যার কারণে বুঝা যাচ্ছে তারা তাদের পদে আবার ও নয়া কমিটি আসলে ও থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বুঝা যায় পদের বিনিময়ে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করতে ও দ্বিধাবোধ করবে না। যার পরিলক্ষে বর্তমানে সুপার ফাইভ কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব একক আধিত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহানগর যুবদলকে গ্রুপ উপগ্রুপে বিভক্ত করে দিব্যি মহানগর যুবদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমনকি শীঘ্রই বিতর্কিত নেতৃত্ব অপসারণ করে মহানগর যুবদলে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব প্রত্যাশায় ক্লিন ইমেজের নেতাদের নেতৃত্বের সক্ষমতা দেওয়ার চেষ্টায় আছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শাহেদ আহম্মেদ, সাগর প্রধানসহ আরো নেতাকর্মীরা জোরদার লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপির হাইকমান্ড অপর দিকে গত ২২ জুলাই তারুণ্যের সমাবেশের লক্ষে আবার ও রাজধানী মুখরিত হবে। সব দিক মিলিয়ে হাইকমান্ড বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছে। যার কারণে তারা এখনো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারছে না। কিন্তু দ্রুতই জটিল আন্দোলণের আগেই কেন্দ্রের কাছে মহানগর যুবদলের নয়া কমিটির জন্য জোরদার তকবির করছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক ও সহ-সভাপতি মর্যাদায় দুলাল হোসেন বলেন, বর্তমানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাহেব তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে একটু ব্যস্ত সময় পার করছে তারা দলীয় কার্যালয়ে বসতে ও সময় পাচ্ছে না। কিন্ত এই সমাবেশের পর পরই মহানগর যুবদলের বিষয়টা নিয়ে আমরা একটু বসে যত দ্রুত সম্ভব এটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো।