রাজনীতিতে পিছিয়ে যাচ্ছে বামদল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন অনেকটাই উত্তপ্ত। বর্তমানে বিএনপি পদযাত্রা, মহাসামবেশ, তারুন্যের সামবেশ এমনিভাবে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে জামায়েত বিএনপির নৈরাজ্যে অপসারনের জন্য জড়োয়া ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণ দাবি আদায়ের লক্ষে যেভাবে বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এমনিভাবে অনেকের নিজের স্বার্থ লাভের জন্য আরেকটি অংশ আওয়ামী লীগের সাথে ঝুঁকছে। কিন্তু এদের মাঝেই বর্তমানে সাধারণ খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণের রাজনীতির নামে যে সংগঠনটি বিগত দিনে তাদের সকল সময়ে পাশে ছিল সেই বাম রাজনীতি এখন অস্তিত্ব সংকটে দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা বর্তমানে আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে নিয়মিত ছোট পরিসরে আন্দোলণ সংগ্রাম অবহৃত রাখলে মানুষের চোখে তা পরছে না। যার কারণে বলা চলে অনেকটা নেই বললেই চলে নারায়ণগঞ্জের বাম রাজনীতি। জানা গেছে, বিগত দিনে মানুষের সকল দুঃসময়ে পাশে থেকে সকল দাবি আদায়ে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাম রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। কিন্তু ২০২২ সালে বাম রাজনীতি বিগত দিন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। কারণ নিজেদের মধ্যে ছিল নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। যার ফলে অনেক নেতা-কর্মীই তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে বিরোধী ছোট ছোট দলগুলো বিরোধী বড় দল যেমন বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা পালনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ সকলেরই মূল লক্ষ্য বর্তমানের এই স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। যে লক্ষ্যে সকল বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ও দাবি বিরোধী সকল দলের সাথে এক হলে ও তারা কোন যুগপৎ আন্দোলনের দিকে ঝুঁকছে। যার কারণে রাজপথে তারা ব্যাপক গর্জন সৃষ্টি করতে ব্যর্থতার প্রমান দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখা যায় নিয়মিতই থাকে তাদের শ্রমিক আন্দোলণ সহ নানা দাবির আন্দোলণ। কিন্তু তাদের সকলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা বা যুগপৎ আন্দোলনের মতো জোট না থাকার কারণে তারা অনেকটাই জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখতে পারছে না। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খেটে খাওয়া মানুষের রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে অনেকটাই পরিচিতি লাভ করেছে এই বাম গণতান্ত্রিক জোট। কিন্তু আন্দোলণ সংগ্রামে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা করতে না পারার কারণে নারায়ণগঞ্জে তাদের চোখে পরে না। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কিছু নেতাকর্মী স্বার্থের লোভে অন্য সংগঠনের সাথে জোটবদ্ধ করলে ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের যে তৃণমূলের শক্তি রয়েছে সেটা দিয়েই অনেকটাই জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে তারা। কিন্তু এদিকে নারায়ণগঞ্জে তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে ছন্নছাড়া পথের দিকে ঝুঁকছে এই সংগঠনের রাজনীতি। এছাড়া ও সামনে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকটাই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বাংলাদশের আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল এদিকে বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ও নির্বাচন হবে সেই কথা মাথায় রেখে ও জনগণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা অনেকটাই গুছিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু বাম গণতান্ত্রিক জোট আন্দোলণ সংগ্রামে তারা একদিকে যেমন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না, জনসমর্থন পাচ্ছে না, অন্যদিকে নিজেরা ও নেতাকর্মীরা বসে বিবেচনা করে সংগঠনে একটি ঐক্য আনতে পারছে না। এতে তৈরি হচ্ছে উপদল, তৈরি হচ্ছে উপদলীয় কোন্দল। এতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট এবং মেরুকরণের মাঝে হারিয়ে যাওয়া শুরু করেছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্ত সব বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলণে আসলে ও তারা আসতে চাচ্ছে না। কারণ তারা চাচ্ছে আওয়ামীলীগ বিএনপি থেকে আলাদা একটি শক্তি প্রয়োগ করতে। যার কারণে ছোট ছোট আরো কিছ নতুন দল তারা তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা শুরু করেছে। এবার কবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গর্জে উঠতে পারবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংশয় বোধ করছে। যার কারণে তৃণমূলের দাবি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের আওতাধীন সকল ত্যাগী নেতাদের জাগিয়ে তুলে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামতে হবে। তাহলে তারা সাধারণ জনগনের সাথে সম্পৃত্ততা বজায় রাখতে পারবে আন্দোলণ সংগ্রামে করে নির্বাচনে একটি ভূমিকা পালন করতে পারবে।