আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৬

মহামারি আকারে রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু হাসপাতালেই এডিস মশার চাষ!

ডান্ডিবার্তা | ২৪ জুলাই, ২০২৩ | ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট করোনার মহামারির মত ধীরে ধীরে বাড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেলাতেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এনিয়ে আতঙ্কিত নারায়ণগঞ্জবাসী তবে খানপুর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বলছে ঢাকার মত মহামারি আকারে নারায়ণগঞ্জে রোগীর সংখ্যা নেই তাই আতঙ্কিত না হবার অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে গেলে তিনি এ অনুরোধ জানান। সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালে ২১(পুরুষ), ২২(মহিলা) ও ১৮(শিশু) এই ৩টি ওয়ার্ডে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২০ জন। নিবিড় পরিচর্যা চলছে এই সকল রোগীদের চিকিৎসা। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,কেউ কেউ ৪ দিন, কেউ বা ৫দিন আবার ২ জন রোগী আজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছে। এদের অধিকাংশ সিদ্বিরগঞ্জের চিটাংরোড, জালকুড়ির বাকিরা লালপুর, আমলাপাড়া, ফতুল্লা সহ মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা। গত শুক্রবার মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছে আব্দুস সামাদ। এর আগে তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে ভর্তি হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জে তাকে রেফার করা হয়েছে সামাদ জানায়। লালপুর থেকে রাসেল নামে এক রোগী এসে ৫ দিন আগে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকদের সেবায় এখন অনেকটা সেরে উঠেছে রাসেল বলে জানায়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসা তত্বাবধায়ক ডা.মোঃ আবুল বাসার জানান, নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিন্তু কম। সদরের মধ্যে ফতুল্লা, ঝালকুড়ি, চিটাংরোড, সিটি কর্পোরেশনের কিছু রোগী খানপুরে আছে অতটা আতঙ্কিত হওয়ার মত না। উপজেলার রোগীগুলো সাধারণত উপজেলায় চিকিৎসা নেয়। ওখান থেকে রেফার হয়ে খানপুর হাসপাতালে কমই আসছে। আর অন্য জেলা মুন্সিগঞ্জ থেকে মাঝে মাঝে দুই একজন রোগী আসতেছে। এই হাসপাতালে ২৪ ঘন্টাই ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির ব্যবস্থা রেখেছি। রোগীর চিকিৎসার জন্য স্যালাইন, ওষুধ সব কিছুই পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ আছে আমাদের হাসপাতালে। মাঝে মাঝে কিছু কীটের সমস্যা হলেও অন্য পরীক্ষাগুলো সব সময় চলমান। তিনি আরো জানান, গত ১৩ জুন থেকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়া শুরু হয়েছে। আজ পর্যন্ত ৭৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এই হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজকে পর্যন্ত এখনো ভর্তি আছে ২০ জন এর মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ২ জন ও শিশু ৩ জন। এদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা গুরুত্ব সহকারে দেখলেও হাসপাতালের ৩০০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা করার কনস্ট্রাকশনের কাজের কারনে অনেক জায়গায় পরিত্যক্তভাবে পড়ে আছে হাসপাতালের ফার্নিচার সহ বন্ধ হয়ে জমে আছে ড্রেনে পানির পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। শিশু ওয়ার্ডের জানালা সংলগ্ন এই সকল স্থানে বংশবৃদ্ধি পাচ্ছে এডিস মশা। যার ফলে বাড়তে পারে ডেঙ্গু রোগীর আরো সংখ্যা হাসপাতলে ভর্তি রোগীদের মধ্যে। হাসপাতালে রোগীদের গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা সেবা দিলেও হাসপাতালের মধ্যে চাষ করা হচ্ছে ডেঙ্গু রোগবাহী এডিস মশার। সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কতৃপক্ষ কেন মশক নিধন করছে না এবং পরিত্যক্ত ফার্নিচার সরানো হচ্ছে না এবিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসা তত্বাবধায়ক ডা.আবুল বাসার জানান, আপনেরা জানেন নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতাল ৫০০ শয্যা করার কাজ চলছে। কাজের কারনে হাসপাতালের অনেক পরিত্যক্ত ফার্নিচার পরে আছে। এগুলা সরকারি মালামাল যা আমাদের বিক্রি বা অন্যত্র সরানোর এখতিয়ার নেই। আমরা এর জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছি সরকারের কাছে। যদি সরকার অনুমতি দেয় তাহলে এগুলো নিলামে তুলা হবে। কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য ড্রেনেজ অবস্থা বন্ধ আছে। কাজ শেষ হলেই মাস্টার ড্রেন হবে। আর তা হতে এক বছর লাগবে। আর মশক নিধনের কাজ হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের। গত শনিবারও এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু উনার সাথে কথা হয়েছে। তারা নিয়মিত হাসপাতালের আশেপাশে মশক নিধন ওষুধ ছিটাচ্ছে আর আমরাও সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা