আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:১৯

বিএনএফের কবলে না’গঞ্জ বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ২৪ জুলাই, ২০২৩ | ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) থেকে বেরুতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনএফের আহবায়ক কমিপির নেতারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ পদ দখল করে আছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য কতিপয় নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে বিএনএফ আহবায়ক কমিটিরে নেতাদের পরিচয় গোপন করে নারায়গঞ্জ বিএনপির শীর্ষ পদ বাগাতে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে লবিং করে কমিটি বাগিয়ে দিয়েছে। গোপন এক সূত্রে জানা গেছে কতিপয় শীর্ষ নেতা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি বিএনএফ নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনএফ আহবায়ক কমিটিতে দেখা যায় এর আহবায়ক হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় মহিলাদল নেত্রী রহিমা শরীফ, আনোয়ার প্রধান, কামরুল হাসান, আর সদস্য সচিব মাসুকুল ইসলাম, সদস্য হলেন কবির প্রধান, কাজী রুবায়েত হোসেন, মাহফুজুর রহমান, আল আমিন, মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, সাফিয়া ইসলাম, মরহুম মাহবুব হোবহান, কুতুব উদ্দিন ও আ: ইউসুফ। সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক হলেন রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুন্নবী, মো: হোসেন বাদল, মনির হোসেন খান। সদস্য সচিব করা হয় ফারুক হোসেনকে। আর সদস্যরা হলেন হাবিবুর রহমান মন্টি, আনিস শিকদার, মাহবুবুর রহমান, মাহাবুব উল্লাহ, আ: আজিজ, মাহমুদুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ ও দুলাল হোসেন। বিএনএফের অধিকাংশ নেতাই বিএনপিতে রয়েছেন। বর্তমান মহানগর বিএনপির কমিটিতে বিএনএফের অনেক নেতা রয়েছে। শুধু তাই নয় মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদে বিএনএফের আহবায়ক রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনএফের কমিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে নারায়ণগঞ্জ বিএনএফের অস্তিত্ব খুঁজে পান। তাদের কার্যলয় নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া এলাকাতে ৯/২ এইচ কে ব্যানার্জি রোডের জামাল ভিলার নীচ তলায় ছিল। যা নির্বাচন কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে আসে। ২০১৩ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জে বিএনএফের তৎপরতা শুরু হয়। তারা বিএনপিকে বয়কট করে বিএনএফে যোগ দেয় তারাই আবার এখন বিএনপির শীর্ষ পদ দখল করে রয়েছে। এ বিষয়টি তৃনমূলের কাছে প্রকাশ পেলে তৃনমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, যারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাদ দিয়ে অন্যের আদর্শে প্রবেশ করে তারা দলের জন্য হুমকি। তারা দলের সুবিধা বুঝে বসন্তের কোকিলের মত দলে এসে কলা কৌশলে দলের প্রবেশ ও পদ পদবী বাগিয়ে নিয়ে নিজেদের বড় নেতা জাহির করছে তারা দলের দু:সময়ে উল্টো পায়ে হাঁটবে এটাই স্বাভাবিক। তারা যেহেতু চিহিৃত তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপির নজর রাখা উচিত ছিল। তাদের দ্বারা বিএনপির উপকার নয় বরং হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে যেহেতু সারা দেশে বিএনপির একটা জোয়ার বইছে সে জোয়ারে নিজেদের গা বাসিয়ে তারা সুবিধা আদায়ের জন্য দলের ভিড়েছে। তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের খোঁজ খবর রাখা জরুরী। সেই সাথে এ বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কাদের হাতে বিএনপি নিরাপদ। যারা অতীতে দলের সাথে বেঈমানী করেছে এবং যাকে বিগত সময় অনেক বিতর্ক হয়েছে তাদের দ্বারা বিএনপি নিরাপদ নয়। তাদের দল থেকে বাদ দেয়ার দাবি বিএনপির ত্যাগী ও তৃনমূল নেতাকর্মীদের। ত্যাগী নেতারা আরো বলেন, আমরা যারা দীর্ঘ ১৫ বছরে হামলা মামলা ও গায়েবী মামলার শিকার হয়ে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। আর বিএনএফের কবলে থাকা বিএনপি নেতারা রহস্যজনক কারণে হামলার মামলা থেকে নিরাপদ রয়েছে। এদিকে তাদের কর্মকান্ড নিয়েও সংশয় রয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা