
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর নাম ভাঙ্গিয়ে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, মাসোহারা আদায়সহ নানা অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে ফরমা রবিন গ্যাং। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ায় প্রতিনিয়ত তাঁর নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, রূপগঞ্জ থানাধীন চনপাড়া এলাকার প্রতিটি মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে র্যাবের সোর্স পরিচয়ে মাসোহারা উত্তোলন করে ফরমা রবিন। যা প্রায় ৬ লাখ টাকা প্রতিমাসে। আর সময়মতো না দিলেই র্যাবের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, এমনকি র্যাব সদস্যদের দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে বেকায়দায় ফেলে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। তাঁর চাহিদামতো টাকা না পেলে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে এবং মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নামে লাখ-লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ফরমা রবিন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফরমা রবিনের নেপথ্যে রয়েছে র্যাবের নামধারী কতিপয় অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। তাদের সহযোগিতায় এবং মদদে চনপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে এবং অপরাধ দুনিয়ার অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফরমা রবিন গ্যাং। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সকল মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে প্রতিনিয়ত। ফরমা রবিনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং তৎপরতা দিনে-দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তাঁরা চনপাড়া এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ঘরবাড়ি লুটপাট করে এবং পথচারীদের অবরুদ্ধ করে অস্ত্রের মুখে তাদের সাথে থাকা সবকিছু হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি। প্রতিদিন একের পর এক নানা অপকর্ম করলেও আইনের অধরায় ফরমা রবিন গ্যাং। এলাকার দোকানপাট থেকেও চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে তাঁরা। ফরমা রবিন গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। অনুসন্ধান বলছে, চনপাড়ার আলোচিত এম এ হাছান মহুরি ও বিউটি আক্তার কুট্টি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ফরমা রবিন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মারামারি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে রূপগঞ্জ ও রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা রয়েছে। অচিরেই এই কুখ্যাত অপরাধী ফরমা রবিনকে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি উঠেছে চনপাড়া এলাকাবাসীর। ফরমা রবিনের বেপরোয়া নানা অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে চনপাড়ার জনজীবন আতঙ্কিত। গত শুক্রবার বিকাল বেলা নাজমুল বাহিনী কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পীরপাড়া গ্রামে আতংক সৃষ্টি করার জন্য মোস্তফার ছেলেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একপর্যায়ে পীরপাড়া, নক্তিপাড়া, পাড়াগাও গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে শাহিন, শাকিল, ইউসুফ, ইব্রাহিম, জহিরুল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন দৌড়ে এলাকা ত্যাগ করে আড়িবাড়িতে অবস্থান নেয় এবং ২/৩ টি ককলেট বিস্ফোরণ করে। এসময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে ঐক্যবদ্ধ প্রামবাসী আবার তাদের ধাওয়া করে ছত্রভংগ করে দেয়। এই ঘটনার জের ধরে সাদ্দাম, রাশিদুল, সাদেক নামীয় নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি লুটপাট করে মুল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এর আগেও গত ১ জুলাই পীরপাড়া গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে দিন দুপুরে লুটপাট ও ভাংচুর করে। গ্রামবাসী এই চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জাহেদ আলী চেয়ারম্যান নিবাচিত হওয়ার পর হতে তার ভাতিজি জামাই নাজমুল বেপরোয়া উঠে। একটার পর একটা অপকর্ম করেই যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ও পরিবারের উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালায়। নাজমুল ও শাহিন বাহিনীকে নির্মূলে র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। নাম এম এ করিম ওরফে গিরীঙ্গি করিম। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মৃত আঃ রহমানের ছেলে করিম। ছাত্র জীবনে বাউন্ডলে প্রকৃতির হওয়ায় গ্রাম থেকে স্কুলে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের এমন কোন পরিবার ছিল না। যে তার চুরির হাত থেকে রেহাই পেয়েছে।কলা,মুরগী, হাস,ছাগল, ডাব কোন কিছুই তার চুরির হাত থেকে রেহাই পাইনি। এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিক বার বিচার সালিশও হয় এবং তাকে জরিমানা করা হয় এভাবে চলা অবস্থায় ১৯৯৭-৯৮ সালে পাড়াগাও প্রামের হেকিম আলীর ছেলে মেধাবী ছাত্র মানিকের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তলপেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং চিকিৎসাধীন থাকাঅবস্থায় বেশ কয়েকমাস পর মানিক মারা যায়। তবুও থেমে থাকেনি চোরা করিম। আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে সে। এর ঠিক ২ বছর পরই বড়ালুর সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের মেধাবী ছেলে মাছুম কে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করে জায়গায়ই মেরে ফেলে করিম। তারপড় একগুচ্ছ ক্ষমতা দেখিয়ে একটার পড় একটা অপরাধ করতে থাকে। ডাকাতি করে মানুষের গোড়ালের গরু নিয়ে খেয়ে ফেলে করিম। মানুষের জমিতে অংশ কিনে দখল করা।মানুষের জমিতে জোর করে বালু ফেলে ফুলে ফেপে উঠে করিম। র্যাব ১১ একবার এসব অভিযোগে করিমকে আটক করে কোর্টে চালান করে দেয়। ১ মাস জেলে থাকার পর জামিনে এসে-তখনকার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ আলীকে করিম তার বিয়েতে উকিল শ্বশুর করে আরো ক্ষমতার দাপটের উচ্চশিখরে পৌছে সে। নামেমাত্র ৩/৪ হাজার টাকা খরচ করে ৩০/৩৫ হাজার টাকায় পাড়াগাও গ্রামে অবৈধ পন্থায় গ্যাস সংযোগ দেয় করিম। চোরা করিম তার পরিবারকেও রেহাই দেয়নি। তার মার থেকে জমি জোর করে অন্যসব ভাইবোনদের ঠকিয়ে নিজের নামে করে নেয়। গত ১ জুলাই মানিক মেম্বারের উপরে হামলার দলনেতাও এই করিম। করিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে রুপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজের্র হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯