আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:১৪

আ’লীগ-বিএনপি রাজপথে উত্তাল

ডান্ডিবার্তা | ২৭ জুলাই, ২০২৩ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে আস্তে আস্তে উত্তাপ বাড়ছে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি দুজনই এখন মুখোমুখি অবস্থানে। তবে রাজনৈতিক সহিংসতার চেয়ে কৌশলের খেলাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দু’জনই কৌশলগতভাবে একে অপরকে চমকে দেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করছে। এই পরিকল্পনায় কে জয়ী হয় সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে বিএনপিকে অপ্রস্তুত করে দেয়ার একটি পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আনা যায় কিনা সেরকম একটি আলাপ-আলোচনা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে শুরু হয়েছে। অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন এগিয়ে আনা হলে এবং সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে সেই নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি সহ অন্যান্য নির্বাচন বিরোধী দলগুলো অপ্রস্তুত হয়ে যেতে পারে এমন একটি ধারণা পোষণ করছেন কেউ কেউ। আর সে কারণেই বিএনপিকে চমকে দেয়ার জন্য নির্বাচনকে এগিয়ে আনার একটি ভাবনা আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিও আওয়ামী লীগকে চমকে দিতে চায়। বিএনপি প্রকাশ্যে বলছে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু এই ঘোষণার আড়ালে বিএনপি নেতারা আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। বিএনপির কোনো কোনো মহল বলছেন যে শেষ মুহূর্তে গিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে চমকে দিতে পারে। আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা ধারণা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না এবং বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে আবার চতুর্থবার সহজে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে। বিএনপি আওয়ামী লীগের এই নিশ্চিন্ত অবস্থাকেই চমকে দিতে চায়। দীর্ঘদিন ১০ দফা নিয়ে রাজপথে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। গত বছর থেকেই একের পর এক দলীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে তারা। আবার অপর দিকে আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক যেদিন বিএনপির কোন প্রোগ্রাম সেদিন শান্তি সমাবেশ পালন করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু কোনভাবেই নানা বাধা উপেক্ষা করেই আন্দোলণে চমক দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বর্তমানে সরকার পতনের একদফা নিয়ে ঢাকামুখী চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেই লক্ষ্যে গত ১২ জুলাই ঢাকার রাজপথে কম্পন সৃষ্টি করেছে তারা। অপর দিকে একই দিনে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের সামনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ পালন করেছে। এবার আগামী আজ বৃহস্পতিবার ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগানের বিএনপির মহা সমাবেশের কথা থকলেও তা এদিক পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করা হয়েছে। দেশের বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা শুক্রবারে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কয়েক লাখ লোকের জমায়েত ঘটিয়ে সেই মহাসমাবেশ থেকেই একদফার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও নেতাকর্মীরা বলছে ক্ষমতাসীনদের দিক থেকে বাধা এলে আন্দোলনের ধরন পাল্টে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। সরকার পতন ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একদফা দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির নেৃতবৃন্দ এর পক্ষে সর্বোচ্চ জনগণের সমর্থনও রয়েছে। রাজপথে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত তারই প্রমাণ। দেশবাসীকে চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে এই আশা নিয়ে রাজপথে রয়েছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে একই দিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট তিন সংগঠন। কিন্তু তারাও তাদের সমাবেশ একদিন পিচিয়ে শুক্রবারে করেছেন। সেদিন দুপুর ২টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের কাছে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ এবং দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের সমাবেশ শুধু বায়তুল মোকাররম মসজিদে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো রাজধানী জুড়ে অবস্থান নেবেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। আর এই জনস্রোতে বিএনপির নৈরাজ্য ভেসে যাবে এমনই দাবি করছেন কেউ কেউ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে দেশজুড়ে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ হবে। এ কর্মসূচি গত সোমবার হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে আজ বৃহস্পতিবার করা হলেও আবার দ্বিতীয়বার ফিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি বিএনপির কর্মসূচির বিষয়টি মাথায় রেখেই এ কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দলটির নেতারা এ বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন দেশের চলমান কর্মসূচিরই একটা অংশ এখানে বিরোধী কোন দলকে বাধা দেওয়ার জন্য এমন কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। এছাড়াও তারা আরো বলছে বিএনপি বিগত দিনে অনেক নৈরাজ্য কায়েম করেছে সেদিনও যদি কোন নৈরাজ্য কায়েম করতে চায় তাহলে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তাদের দ্বারা এদেরকে প্রতিরোধ করা হবে। তা ছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা রাজধানীর লাগায়ো হওয়ার কারণে বর্তমানে ঢাকার প্রোগ্রামকে ঘিরে চোখ রয়েছে এই নারায়ণগঞ্জের দিকেই। যার কারণে নারায়ণগঞ্জের উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা নানা প্রস্তুতি রাখছেন। এছাড়া ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি সমাবেশে যে কোন উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের তারুণ্যের সমাবেশ ২৪ তারিখ থেকে সময় গড়িয়ে এবার বিএনপির মহা সমাবেশের দিন তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা কোনভাবেই তাদের সাথে কোন সমস্যায় লিপ্ত হবো না সব সময়ের মতোই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমেই এই সমাবেশ সফল করবো। অপরদিকে আওয়ামী লীগের একই কথা আমরা দলীয় কর্মসূচির পালনের লক্ষে ঢাকায় অবস্থান করবো যদি কেউ আমাদের সাথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার আগামীকাল শুক্রবার মহাসমাবেশকে ঘিরে ও তেমনটাই শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি রাতে পুলিশ মহড়া দেওয়া শুরু করেছে। অনেক নেতাকর্মীর নামে গায়েবী মামলা ও হচ্ছে। অপর দিকে শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগ দেশে অশান্তির নৈরাজ্যে সৃষ্টি করতে চাচ্ছে এমনটাও বলছে কেউ, কেউ। বর্তমানে যেভাবে রাজপথে বিএনপি গর্জে উঠেছে টানা ১৪ বছরের ও এমনভাবে গর্জে উঠার কোন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। বর্তমানে সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে বর্তমানে নানা কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির। তাই এবার দফায় দফায় ঢাকাকেন্দ্রিক কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে। মহাসমাবেশের পরও ঢাকার বাইর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে টানা কর্মসূচি পালনের আকাঙ্ক্ষা ও রয়েছে। যার কারণে বর্তমানে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আস্থা বাড়ছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সরকারের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ঢাকার মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের শক্তি দেখাবে। এ জন্য পদযাত্রা কর্মসূচির পরেই মহাসমাবেশ ঘোষণা করা হয়েছে। অতীতে ঢাকায় যত মহাসমাবেশে হয়েছে, তার আগে ক্ষমতাসীনদের বাধার কারণে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীরা সকল বাধা উপক্ষো করেই রাজপথে আসছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইতি মধ্যে কয়েকবার শান্তি সমাবেশ পালন করেছে। দলীয় বিএনপির কর্মসূচি যেদিন সেদিনই তাদের দেখা গেছে রাজপথে। কিন্তু এবার বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশের মতো করেই আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে সেদিন আওয়ামী লীগের মূলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবে। আর বিশাল বিশাল শোডাউন দিবে ঢাকার রাজপথে এমনই শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ও জানা গেছে জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপি আন্দোলনের সফলতা দেখতে চায়। এক্ষেত্রে দলের নেতাদের যুক্তি হলো, তফসিল ঘোষণার পর ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যাতে নির্বাচন দেয় এই সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট একটাই কথা বর্তমান প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। সব দিক মিলিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যা বর্তমানে ফুল ফোকাস রয়েছে আগামীকাল শুক্রবার বিএনপির মহা-সমাবেশ ও আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের জয়যাত্রার দিকে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, আমরা বর্তমানে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে শান্তি সমাবেশ পালন করে যাচ্ছি। আর সকল সমাবেশে দেশের সাধারণ জনগণ আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সফল করে যাচ্ছে। আর আমরা বিগত দিনে ও রাজপথে একটিভ ছিলাম বর্তমানে ব্যাপকভাবে সকল দলীয় ডাকে সারা দিয়ে রাজপথে থাকছি। আর আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় আমাদের তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুত রেখেছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল শুক্রবার আমাদের অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে। একই দিনে কিন্তু আপনারা জানেন বিএনপির মহা সমাবেশ ও ঘোষণা করা হয়েছে। আর আমাদের কর্মসূচি কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবেই পালন হয়। আমাদের নেতাকর্মীরা কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বে গিয়ে কিছু করে না। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা কিন্তু আইশৃঙ্খলা না মেনেই নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু সেদিন কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে আমরা তাদের প্রতিহৃত করবো। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তারা ও তাদের সকল নৈরাজ্য ভাঙ্গতে প্রস্তুত। মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ তার সকল অঙ্গ সংগঠনসহ ৩৬টি দলের দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবিতে আমরা ১ দফার আন্দোলনের এই মহা সমাবেশ। আর এই সভা এখন আর বিএনপির দাবি নাই। এটা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে, দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আর এটা শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ গণ সমাবেশে এখানে সকল দেশের মানুষই উপস্থিত থাকবে। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের সকল ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীদের সাথে প্রস্তুতি সভা করেছি। যার কারণে আমি আশাবাদী সর্বোচ্চ লোক জমায়েত করে মহানগর বিএনপি ঢাকার মহাসমাবেশ সফলের লক্ষে অংশ গ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে একটি অরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি কেেরত চায়। ৭১ সালে তারা যে শান্তি কমিটি তৈরি করেছিল এখান ২০২৩ সালে তারা শান্তি সমাবেশ পালন করছে। এটাতে আমাদের কোন কিছুই হবে না বিএনপির নেতাকর্মীদের স্লোগানে সেদিন ঢাকার শহর মুখরিত হয়ে উঠবে। আর বিএনপির নেতাকর্মী ও জনগণ সাধারণের শ্রোতে ভেসে যাবে এই শান্তি বাহিনীদের সমাবেশ। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত শহিদ মো.বাদল বলেন, আমরা বর্তমানে শান্তি সমাবেশ পালন করে যাচ্ছি। আর বর্তমানে চলছে আমাদের চলামান কর্মসূচি এটার ধারাবাহিকতায় আমরা এই তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচি পেয়েছি। যাকে ঘিরে আমরা কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে কর্মসূচি পালন ও সফল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর সেদিন বিএনপির সমাবেশ রয়েছে আমরা সেখানে কোন উত্তেজনা কখনো করি নাই ও করবো ও না। আর যদি তারা আমাদের উপরে কোন কোন আক্রমন করে আমরা সেটাকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা জেলা বিএনপি দীর্ঘদিন যাবৎই দলীয় সকল প্রোগ্রামে জনসমুদ্র সৃষ্টি করে যাচ্ছি। আর বর্তমানে ও আগামীকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় সমাবেশের আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আর এবার সর্বকালের শ্রেষ্ট কর্মসূচি পালন হবে। আমরা বর্তমানে আমাদের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছি। আমরা আশাবাদী আমরা সফল হবো। অপরদিকে আমরা জানতে পেয়েছি এই মহা-সমাবেশের দিন নাকি আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের তারুণ্যের জয়যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু তারা কিভাবে সেখানে থাকবে আমি বুঝি না। কারণ সেদিন পুরো দেশের বিএনপির সকল নেতাকর্মী ঢাকায় বিশাল বড় বড় মিছিল নিয়ে যোগদান করবে যার মাঝে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে নাকি আমাদের সন্দেহ। কিন্তু আমরা প্রস্তুত রয়েছি সম্মেলন সফল করার জন্য যতই বাধা আসুক বর্তমানে আমরা ব্যাপকভাবে ঢাকায় জনসমুদ্র সৃষ্টি করবো। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও আমাদের ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমানের নির্দেশে আমাদের মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আর নারায়ণগঞ্জ থেকে সব্বোর্চ নেতাকর্মী নিয়ে আমরা ঢাকার সমাবেশে উপস্থিত হবো। ইতিমধ্যে যতই নৈরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা করতে চেয়েছে সকল সময় কিন্তু নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগ সোচ্চার ছিলো। আর ২০১৪ সালে তারা যে আগুণ সন্ত্রাস করছে সে রকম কিছু করতে চাইলে শামীম ওসমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ তা প্রতিরোধ করতে ব্যাপক প্রস্তুত রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিগত দিনে ও আওয়ামী লীগের সকল শান্তি সমাবেশে সহযোগী সংগঠন হিসেবে ও পাশে রয়েছি। আর শুক্রবার ঢাকায় আমাদের দলীয় কর্মসূুচি রয়েছে সেটাকে ঘিরে আমরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে বহুল নেতাকর্মী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হবো। আর একই দিনে বিএনপির ও প্রোগ্রাম যেহেতু রয়েছে সেদিকে লক্ষ্যে করে আমরা আমাদের প্রস্তুতির ধারাটা একটু ভালো রেখেছি। কারণ যেহেতু তারা আগুণ সন্ত্রাস নামে পরিচিত তাদের নৈারজ্য সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ও ঘটাতে পারে সেই লক্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের প্রতিহিত করার জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম বলেন, শুক্রবার বিএনপির প্রোগ্রমাকে ঘিরে জেলা বিএনপির সাথে আমাদের দলের মহা-সচিবের সাখে যোগাযোগ হয়েছে। আর সেন্ট্রাল থেকে ও আমাদের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নানা দিক নির্দেশনা রয়েছে। সকল দিক মিলিয়ে আমরা সেদিন মহা সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে সর্বোচ্চ নেতাকর্মী নিয়ে সেই সমাবেশে যোগদান করবো। বর্তমানে সমাবেশকে সফল করার লক্ষে আমাদের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত দিনে আমাদের যতগুলো মিছিল নিয়ে ঢাকায় নেতাকর্মীরা ছিল। এবার তার থেকে ও বেশি সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে আমরা শুক্রবারের মহা-সমাবেশে যোগদান করবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ সেই ৭১ সালের যে শান্তি রক্ষি বাহিনী তৈরি করেছিল তারা কিন্তু দেশটাকে অত্যাচার নির্যাতন করে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার কারণেই কিন্তু তাদের পতন হয়েছিল। তাহলে বর্তমানে শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে তারা কি বুঝাতে চায়। তাই আমরা মনে করছি ৭১ সালে ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সকল সাধারণ জনগণ একত্র হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ভাবেই বর্তমানে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করবো। এখানে কোন শান্তি সমাবেশে আমাদের কিছু করতে পারবে না। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল বর্তমানে জেলা বিএনপির সকল প্রোগ্রামেই ব্যাপক লোক নিয়ে অংশ গ্রহণ করি। আর সেই লক্ষে শুক্রবার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ লোক জমায়েত করে আমরা ঢাকার মহাসমাবেশে উপস্থিত হবো। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমরা প্রস্তুতি সভা সহ আলোচনা সভা করে আসছি। এছাড়া ও নিয়মিত কেন্দ্রীয় যুবদলের নিকনিদের্শনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। যার কারণে আমি বলতে পারি অতিতে যত লোক তার থেকেও বেশি লোক এই সমাবেশে অংশ গ্রহণ করবে। আর এই খুনি হাসিনার পতনের ঘন্টা এই শুক্রবারেই বেজে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর শুক্রবারের পরে এই অবৈধ সরকার আর টিকে থাকতে পারবে না। আর সেদিন আওয়ামী লীগ ও আমাদের দেখা দেখি ঢাকায় শক্তি পদর্শন করতে নামছে আর আমি আশা করছি গত ১২ জুলাই যেভাবে তারা খালি চেয়ার শান্তি সমাবেশ পালন করেছে আর সেদিনে তার থেকে ও বেশি করুন অবস্থা হবে তাদের। আর সেদিন যদি আমাদের কোন বাধা দিতে চায় এই সরকারের প্রশাসন আমরা সেই বাধা ভেঙ্গেই সেখানে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা