শক্তি দেখাতে চায় বিএনপি’র তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বর্তমানে চলমান আন্দোলণ সংগ্রামের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার ঢাকায় বিশাল আকারে লোক জমায়েত করে ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগান তুলে মহা-সমাবেশ পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বর্তমানে দফায় দফায় আন্দোলণের মাধ্যমে আন্দোলণ মুখী অবস্থা রয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ১০ দফা নিয়ে রাজপথে ব্যাপক আন্দোলণে ছিলেন দলটি। এবার আন্দোলনের ধরণ পরিবর্তন করে আরো কঠোর আন্দোলণের দিকে ঝুঁকছে দলটির নিতিনির্ধারকরা। যার কারণে বর্তমানে চূড়ান্ত আন্দোলণ সংগ্রামের লক্ষ্যে নিয়ে ঢাকামুখী আন্দোলন শুরু হয়েছে বিএনপির। বর্তমানে সরকার পতনের একদফা নিয়ে ঢাকার রাজপথ গরম করে রেখেছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে গত ১২ জুলাই ঢাকার রাজপথে সমাবেশ করে ঢাকার অলি গলিতে কম্পন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার আজ শুক্রবার মহা-সমাবেশের মাধ্যমে সর্ব কালের শ্রেষ্ট কর্মসূচি দেখাতে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্যে নিয়ে বর্তমানে জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল থানা পর্যায়ের নেতকার্মী ব্যাপক প্রস্তুতি রেখেছেন। যার মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় কম্পন সৃষ্টি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নেতাকর্মীদের একটাই দাবি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের মহা সমাবেশ পরিচালনা করবো এখানে সরকারি দল অরাজনৈতিকতা করতে চাইলে আমরা তাদের বিরোধী ও পতিরোধ করেই সমাবেশ সফল করার দাবি নেতৃবৃন্দের। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন বলেন, শুক্রবারের কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আর বর্তমানে আমরা দফায় দফায় সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। আমরা রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ইতিমধ্যে দিপু ভুইয়ার নির্দেশে সকল প্রোগ্রামেই হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ সফল করেছি। বর্তমানে ও করবো আর সেখানে উপস্থিত হতে যদি আমাদের কোন বাধা পেরুতে হয়। সেই সকল বাধা পেরিয়েই আমরা ব্যাপকভাবে সমাবেশ সফল করবো। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, বর্তমানে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি সেদিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহাসমাবেশ হবে। আর বর্তমানে এই সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশী চলছে। কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করেই সমাবেশে অংশ গ্রহণ করবো ব্যাপকভাবে। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী বলেন, বর্তমানে বিএনপির সকল নেতাকর্মীই রাজপথে গর্জে উঠেছে। সেই লক্ষ্যেই বর্তমানে দফায় দফায় আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি রয়েছে। আর সকল কর্মসূচিই আমরা যথাযথভাবে সফল করে যাচ্ছি। কিন্তু এই মহাসাবেশে আমরা ব্যাপকভাবে অংশ গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি এই পোগ্রামে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি একটি বিশাল চমক সৃষ্টি করবে। আর সেদিন আমাদের যতই বাধা দেক না কেন আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করেই সেই সমাবেশ সফল করবো। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক করুন অবস্থা সৃষ্টি করেছে এই স্বৈরাচারী সরকার। এই শোষনবাদি সরকারের পদত্যাগ করানোর লক্ষেই আমাদের আজা শুক্রবার মহা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মহা-সমাবেশকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জ্বীবিত ও প্রস্তুত এই সমাবেশ সফল করতে। আর বর্তমানে আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মী একত্র হয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি কিভাবে এই সমাবেশ সফল করা যায়। আমরা আশাবাদী সব্বোর্চ নেতাকর্মী নিয়ে এই সমাবেশ সফল করতে পারবো। আর এই সমাবেশকে ঘিরে যদি পুলিশ প্রশাসন কোন বাধা দিতে চায় অতীতের মতোই সকল বাধা উপেক্ষা করেই আমরা সমাবেশ সফল করবো। সোনারগাঁ থানা বিএনিপর সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা বর্তমানে সব সময় দলীয় প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুত থাকি। কারণ বর্তমানে আমাদের চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে সেই লক্ষ্যেই আমরা রাজপথে রয়েছি। আর আমরা এই ২৮ জুলাই ঢাকায় সোনারগাঁ থানা বিএনপি একটি গর্জন সৃষ্টি করবে সেই লক্ষ্যেই আমরা আমাদের সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের সাথে প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে ব্যাপক পরিকল্পনা রেখেছি। আর একই দিনে আপনারা জানেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ও প্রোগ্রামের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেটা ছিল ২৪ জুলাই কিন্তু বর্তমানে সেটাকে ২৮ জুলাই ঘোষণা করেছে। যার কারণে বলা চলে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার ইচ্ছা। কিন্তু আমরা শান্তি পূর্ণভাবেই সমাবেশ পালন করে যাবে। আর যেখানেই বাধা পাবো সেটাকেই উপেক্ষা করেই উপস্থিত হবো। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, ২৮ জুলাই শুক্রবার আমাদের কেন্দ্রীয় ঘোষিত মহা-সমাবেশ এই সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে আমাদের আমরা প্রস্তুতি সভা পালন করেছি ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় আলাপ আলোচনা অবহৃত রেখেছি। আশা করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জুলাই। সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, এই মহা সমাবেশকে ঘিরে সদর থানা বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি সেদিন স্বরণ কালের রের্কড সংখ্যক নেতাকর্মী হবে এই সদর থানা বিএনপির সাথে। আর সেখানে অংশ গ্রহণ হতে যত বাধা আসুক যত বিপত্তি আসুক। যতই প্রতিকুল অবস্থা হোক না কেন আমরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবো, এটা আমাদের ওয়াদা। বন্দর থানা বিএনিপর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা বলেন, বন্দর থানা বিএনপির রাজনীতি বর্তমানে অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ ও সকল দলীয় কর্মসূচি ঘিরে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এছাড়াও আমরা আজকে মহানগর বিএনপির সাথে প্রস্তুতি সভা পালন করেছি। আবার আমাদের সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে রেখেছি সেই ক্ষেত্রে আমাদের সবোর্চ প্রস্তুতি আছে আমরা সকল বাধা উপক্ষো করেই সমাবেশে যোগদান করবো।