কমিশন বানিজ্যে বেপরোয়া জাহেদ আলী চেয়ারম্যান

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর যেন মুর্তিমান আতংকে পরিনত হয়েছে জাহেদ আলী ওরফে কাপা জাহেদ আলী। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৭.৮.৬.৫. ৪ নং ওয়ার্ডে কোন কাজ করতে গেলেই চাঁদাবাজ জাহেদ আলী পরিবার কে দিতে হয় চাঁদা। ৬নং ওয়ার্ডের মানুষ এই চাঁদাবাজ পরিবারকে কোন জমি ক্রয় /বিক্রয়, জমির সীমানা,নতুন বাড়িঘড়,করতে গেলেই লাগে তাদের দাবীকৃত টাকা, নয়তো কোন কাজই কেউ করতে পারে না। ৬নং ওয়ার্ডে বিটিভি সোসাইটির বালির ভরাটের কাজ জাহেদ আলী পরিবার স্থানীয় কাউকে তোয়াক্কা না করেই তাদের ভাতিজির জামাই নাজমুল কে দিয়ে বালু ভরাট করে। বিটিভির সাইটে প্রায় ১ কোটি বালু ভরাট করে যার প্রতিফিট বালুর দাম দরা হয় ১৩ টাকা। এই ১৩ টাকা থেকে জাহেদ আলীর পরিবার নিয়ে নেয় ৪ টাকা, জাহেদ আলী ৩ টাকা কমিশন নেয়।আর বালু ভরাট বাবদ নাজমুল নেয় ৬ টাকা। মুলত নাজমুল ৫ টাকায় বালি ফেলে সে ১ টাকা করে কমিশন নেয় সে আর ২০ হাজার ফিটের বডিকে চোরা নাজমুল ৩০ হাজার ফিট করে অতিরিক্ত ১০ হাজার ফিটের বালুর টাকা তার ভায়রা ছাএদল নেতা ডালিমের মাধ্যমে একাই হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে বালু চোর নাজমুল বালু চুরির টাকা দিয়ে পুবগ্র্রামে একটি ৩ তলা বাড়ি কিনে ইটালি প্রবাসী এক মেয়েকে নিয়ে কয়দিন বসবাস করে এখন ভাড়া দিয়েছে। এখানে স্থানীয় আওয়ামিলীগ ও জনগণের প্রশ্ন হলো, জাহেদ আলী ও তার ছেলেসহ পরিবার কিভাবে ৭ টাকা কমিশন নিলো স্থানীয়দের মাইনাস করে। সামনে আসছে জাতীয় সংসদ নিবার্চন। জাহেদ আলী পরিবারের অপকর্মের ফল গাজী এমপির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁবে বলে মনে করেন সচেতন এলাকাবাসী। ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগনকে মুলা দেখিয়ে জাহেদ আলীর পরিবার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জাতীয় নিবার্চনে জাহেদ আলী ও তার পরিবার এবং নাজমুল ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ের পরিবর্তে পরাজয়ের পথ সুগম করবে বলে মনে করেন সচেতন মহল ।জাহেদ আলী ও তার স্বজনরা বিল্ডিং কিনবে আর দুর্দিনের নেতা/ কর্মিদের ঘরে চাউল থাকবেনা তা কি করে হয়। স্থানীয় এক ব্লক কোম্পানি থেকে মাসিক ২ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে জাহেদ আলী ও তার পরিবার এবং নাজমুল। কর্মিরাও আশায় আছে জাতীয় নির্বাচনে সময় সঠিক জবাব দেওয়ার। শুধু ৬নং ওয়ার্ড নয়-৭/৮/৫ নং ওয়ার্ডে চাঁদাবাজির একই অবস্থা জাহেদ আলী পরিবারের। এ ব্যাপারে জামাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, জাহেদ আলী চেয়ারম্যান আমার জমি ভরট করে দিয়েছে। এর বেশী কিছু বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে জাহেদ আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং আমি কৃষি জমি ভরাটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে রায় এনেছি। প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমি ভরাট করতে নিষেধ করেছেন। আমার কমিশন খাওয়ার কোন প্রশ্ন আসেনা। মানিক ও মহিউদ্দিন মেম্বারগংরা এলাকায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।