
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট উত্তাল রাজপথ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত রাজনীতি। এখন রাজপথে সোচ্চার বিএনপি। বিএনপি নেতাদের দাবি পিছু হটার সুযোগ নেই। হামলা-মামলা যতই আসুক সরকার পতনের আন্দোলন বেগবান হবেই। এটা শুরু বিএনপ দাবি তা নয়। এটা এখন সারা বাংলার সাধারণ মানুষের। নেতাদের দাবি তাদের আন্দোলনে এখন সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। কারণ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অত্যাচারে দেশের মানুষ আজ ভালো নেই বলে মন্তব্যে করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, এই সরকারের পতনের জন্য কি করতে হবে। তিনি এক সমাবেশে বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য যা যা করার দরকার সবকিছুই করতে হবে। আসলে রাজি আছেন তো যদি রাজি থাকেন তাহলে দুই হাত তুল বলেন। সুতরাং আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, গত ২৯ তারিখে পুলিশের গুলিতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে এক চোখে অপারেশন করা হয়েছে। সে এখন চোখে দেখতে পারছে না। আপনারা অনেকেই জানেন এবং শুনেছেন। এভাবে সারা বাংলাদেশে আমাদের শত শত ভাইদেরকে গুলি বিদ্ধ করা হয়েছে। আবার অনেকে আমাদেরকে ছেড়ে চিরতরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এই স্বৈরাচারী সরকার যে অন্যায় অত্যাচার করছে তা কি আর প্রশ্রয় দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, আমাদের নেতা এদেশের কোটি মানুষের স্পন্দন এদেশের বীর জননেতা তারেক রহমান যে আন্দোলনে ডাক দিয়েছে সেটা কি এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শোনেন হাসিনাকে বিতাড়িত করতে হবে আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই এক আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। আমরা একসাথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাল্লাহ। আমাদের আদেশ কে দিয়েছেন জননেতা তারেক রহমান সেই আদেশ আমাদেরকে পালন করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, শোনেন এখন যদি আপনারা প্রতিবাদ না করেন সামনে কিন্তু আরও কঠিন বিপদ আসতাছে। মনে রাখবেন ভাইয়েরা অন্যায় কারী ও অন্যায় সহ্যকারী সমান অপরাধ। সুতরাং অন্যায় করা যাবে না অন্যকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আমরা আড়াইহাজারবাসীসহ সকলে মিলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারকে পতন ঘটাবো ইনশাল্লাহ। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিব। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন হিরো আলমের প্রসঙ্গে বলেন, আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তারা যে তা করবে না তার জ্বলন্ত প্রমাণ ঢাকার-১৭ আসন। বিরোধী দলের আমরা কেউ অংশগ্রহণ করি নাই। যার কারণে এমন লোকজন (হিরো আলম) অংশগ্রহণ করেছে যাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা না। কিন্তু তাদেরকে ভয় পেয়েছে সরকারি দলের সর্মথক ও প্রার্থীরা। তারা ভাবতে পারে নাই তার (হিরো আলম) সাথে বিজয়ী লাভ করবে। সেজন্য তারা ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছে। তারা সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে (হিরো আলম) নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেছে। পুলিশ তাকে (হিরো আলম) সন্ত্রাসীদের সামনে এনে দিয়েছে। পুলিশের সহায়তায় তার উপর নির্মম নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। দেশবাসী ও সারা দেশের মানুষ দেখেছে। তাদেরকে আজকে সবাই ধিক্কার জানায়। তিনি আরও বলেন, যেভাবে মানুষের অর্থ সম্পদ লুণ্ঠন করছেন ও যেভাবে আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন জনগণ আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনগণ আজকে আপনাদের পছন্দ করে না। জনগণ চাচ্ছে আপনারা কখন দ্রুত ক্ষমতা ছাঁড়বেন ও তাদেরকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দিবেন। আপনারা এতো অপরাধ করেছেন এখন আপনাদের দুশ্চিন্তা। ক্ষমতা যদি হারান কিভাবে আপনারা জনগণকে মুখ দেখাবেন। তিনি বলেন, প্রশাসন আজকে তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারছে না। আপনাদের হুমকিতে ধমকিতে ভয়ভীতির কারণে আজকে তারা অন্যায় কাজ করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। তারা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, হামলাকারীদের সাহায্য করছে। আজকে যে সজীবকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে সরকারি দলের পান্ডারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, জনগণ যখন একদফা দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে রাজপথে নেমে এসেছে তা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার সহ্য করতে পারে নাই। আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির উপরে তার লেলিয়ে দাওয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং পুলিশ বাহিনী মিলে নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের উপরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পরেছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্ষীয়ান নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে নির্যাতন করার দৃশ্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী দেখেছে। মামুন মাহমুদ বলেন, আমরা আর কোন দাবি এই সরকারের কাছে করবো না। দাবি দাওয়ার দিন শেষ। আমাদের দাবি একটিই যা আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন। “দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ”। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে আসি নাই, আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আসি নাই। আমরা এখানে সমবেত হয়েছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবি নিয়ে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা আপনি নির্লজ্জ মানুষের ভোটের অধিকার কুক্ষিগত করেছেন, দিনের ভোট রাতে করেছেন। ইতিহাস বলে কোন স্বৈরাচারী সরকার জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চায় না। এই সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন বিন্দু মাত্র নেই। আপনার পায়ের তলায় মাটি নাই, জনগণের সমর্থন নাই। যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে দশটি আসনও পাবে না আওয়ামী লীগ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আজকে এই বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। আমাদের এই আন্দোলন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। দেশে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতির মাধ্যমে এদেশে ৭৪’র দূর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি প্রতিহত করার জন্য আমাদের আন্দোলন। এই সরকার থাকলে এদেশে আবার দূর্ভিক্ষ হবে। এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার তাকলে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার থাকবে না। শেখ হাসিনার সরকার থাকলে দেশে খুন গুম হত্যা নির্যাতন হবে, দেশের হাজার হাজার মানুষ নির্যাতণের শিকার হবে, মিথ্যা মামলায় জেলে যাবে। তিনি আরো বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করা, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আজকে সেই সাংবিধানিক অধিকারকে সরকার কেড়ে নিতে চায়। আপনারা দেখেছেন ২৯ জুলাই তারিখে সরকার হায়ানার মত ঢাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী, পুলিশের ছদ্ধবেশে যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ডিবির পোশাক পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, গুলিবর্ষণ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে লাল বাহিনী, নীল বাহিনী রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিলেন। রক্ষাবাহিনী গঠন করেও আপনাদের পতন রক্ষা করতে পারেন নাই। যতই নির্যাতন করবেন ততই পতন আপনাদের সামনের দিকে আসবে। নির্যাতন করে দেশের মানুষকে পশ্চিম পাকিস্তানীরাও ধমিয়ে রাখতে পারে নাই, দেশকে স্বাধীন করেছিলো। দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জানে, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেনা, আন্দোলন করছে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসূফ খান টিপু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গুন্ডা বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদে আজকের সমাবেশ। গত ২৯জুলাই আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছি তখন সরকারের গু-াবাহিনী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগরসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই- এ দেশটা কি আপনার বাবার একার? এ দেশটা আমাদেরও। আওয়ামীলীগারদের বলতে চাই- দেশটা কি তোমাদের একাই? তোমরা কি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করো না? আমি কি বসবাস করি না? পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন পান, আপনারা আওয়ামীলীগের নেতাদের, এমপিদের কথা শুনে যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেন তাহলে অবশ্যই প্রতিবাদ করবো, আর প্রতিবাদ করতে গেলে যদি নির্যাতন করে তাহলে অবশ্যই প্রতিরোধ করবো। পরে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগরসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য মাহামুদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে থাকলেও তারা বাড়িঘর ছাড়া। কারণ তারা গ্রেফতার এরাতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের ডাক আসলেই বেরিয়ে আসছেন তারা। এভাবেই এখন রাজনীতি মাঠ উত্তাল। এ অবস্থা বেশী দিন চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। দ্রুত এর অবসান হওয়া জরুরী।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯