আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:২৯

কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি না’গঞ্জে

ডান্ডিবার্তা | ১০ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। উভয় দলই চায় নারায়ণগঞ্জে ছিট বাগিয়ে নিতে। যার দরুন নারায়ণগঞ্জে প্রতি মাসেই একাধিক জাতীয় নেতার উপস্থিতি বিদ্যমান। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল থেকেই কেন্দ্রীয় নেতারা পদচিহ্ন রাখছেন নারায়ণগঞ্জে। ঢাকার সবচেয়ে কাছের জেলা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেই পদচারণা বাড়ছে তাদের। ঢাকার বিভিন্ন কর্মসূচি সফলে অন্যতম জোগানদাতা হয় নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মী। বিষয়টি যে অমূলক নয় তা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই প্রমাণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর কিংবা জেলা বিএনপির কর্মসূচি। উভয় ক্ষেত্রেই ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত হতে দেখা যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন বেশ নিয়মিত হয়ে উঠছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজির হক টিটু। এছাড়া বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতা হিসেবে পরিচিত মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমানের মত নেতারা চলে আসছেন কর্মসূচিতে। অন্যদিকে নানান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে পদচারণা রাখতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম, কবির বিন আনোয়ার, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাসিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজ্জামেল হকসহ অনেকেই। মাত্র এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই এত এত জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক ও সভা করেছেন নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীরা। স্পষ্টতই সামনের নির্বাচনী রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা একেবারেই পরিষ্কার। সূত্র বলছে, গত ২৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেন শামীম ওসমান। দীর্ঘদিন পর মাঠের নেতা হয়ে রাজপথে নেমে মিছিল করেছেন তিনি। স্লোগান দিয়ে আলোচনায় এসেছেন দেশজুড়ে। শামীম ওসমানের মিছিলের চাইতে বড় মিছিল পুরো সমাবেশে দ্বিতীয়টি ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এত বড় মিছিলের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সমাবেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নারায়ণগঞ্জ। একই দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, জেলা যুবদল, মহানগর বিএনপির বিশাল মিছিল প্রবেশ করে পল্টনে। সমাবেশ সফল করার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জকে বাড়তি দায়িত্ব দেয়া হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে। আর সেই দায়িত্ব পালনে বরাবরই চমক দেখিয়েছেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের চাইতে নারায়ণগঞ্জের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বেশি লোকবল নিয়ে কর্মসূচিতে হাজির হন। এমন নানাদিক থেকে সংগঠনকে গতিশীল করতে নারায়ণগঞ্জের ভূমিকা দেখে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার কার্যক্রমকে চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা সর্বদাই নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারণ দেশের যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় থাকে নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক। আর তাই নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের নিয়ে যেই দল সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে পারবে, তারা তাদের নিজ নিজ দাবি আদায়ে এগিয়ে থাকবে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতাদের পদচারণা বাড়ছে নারায়ণগঞ্জে। প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারায়গঞ্জকে গুরুত্ব দেয়ার কারণ নারায়ণগঞ্জ নিজেই তৈরি করেছে। এই জেলায় যেমন রয়েছে আইভী ও শামীমের মত হেভিওয়েট নেতা। তেমনি রয়েছে শামীমকে চ্যালেঞ্জ করার মত বিএনপি নেতা গিয়াস। এছাড়া রূপগঞ্জ থেকে শুরু করে পুরো নারায়ণগঞ্জে হাজারো কর্মী সমর্থককে নিয়ে মাঠে নেমে আসার মত নেতা দিপু ভূঁইয়াও রয়েছেন এই জেলায়। ফলে নারায়ণগঞ্জ তার নিজ শক্তিতে নিজেকে বলীয়ান করে নিয়েছে। নিজের গুরুত্ব নিজেই তৈরি করেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা