ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শেখ হাসিনা বেশামাল: মাও.আতাউর রহমান

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা ২০১৪-২০১৮ সালের মতো যেনতেন নির্বাচন দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করে দিতে নানামুখি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের উপর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলা প্রমাণ করে সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেশামাল হয়ে পড়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পঞ্চবটির হরিহর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (ফাজেলপুর) এ তৃণমূল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার পতন ঠেকানো যাবে না। বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে অশান্তি ও সংঘাত সৃষ্টি করছে। বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রামে প্রশাসনিক বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন থানা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমান উল্লাহ। প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, ওলামায়ে কেরামের উপর নির্যাতন নিপিড়ন বন্ধ করুন এবং নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের গতি রোধ করুন, দেশের শান্তি বজায় রাখুন, অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই যেকোন কর্মসূচি তৃণমূলের সকল জনশক্তি, নেতাকর্মীরা সারাদেশে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও পালন করবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম। তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম,সেক্রেটারী মুহামাদ জাহাঙ্গীর কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহামাদ ওমর ফারুকসহ জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।