কেন্দ্রের নজরধারীতে মহানগর যুবদল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি বর্তমানে সরকার পতনের আন্দোলনের ১ দফা দাবি নিয়ে দফায় দফায় তীব্র আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই ধারবাহিকতায় বিরোধী দল হিসেবে নানা হামলা-মামলার ও শিকার হচ্ছে অনেকে। কিন্তু সকল হামলা মামলাকে উপেক্ষা করেই আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। সেই সাথে কেন্দ্রীয় দলসহ প্রত্যোকটি জেলার নেতাকর্মীদের রাজপথের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যারা দলের মূল পদে বসে থেকে দলের ক্লান্তিলগ্নে হামলা-মামলা ভয়ে আন্দোলণ সংগ্রাম থেকে যারা পিছপা থাকছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেন বিএনপির হাইকমান্ড। বর্তমানে ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি ছিল বিএনপির একটি ভয়ানক রচিত দিন। এই কর্মসূচিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী আহতসহ গ্রেফতার হয়েছেন। যার কারণে এই কর্মসূচিতে যে সুবিধা ভোগীরা অংশ গ্রহণ করেননি তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করছে হাইকমান্ড। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রদলের সভাপতি কাজী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে আরো অনেকেই পদ হারানোর আতঙ্কে আছেন। ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বের অবহেলা করায় নিস্কিয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বিএনপি। তদন্ত শেষে নেওয়া হবে কঠিন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এমনটাই সূত্র জানিয়েছে। এদিকে রাজধীন লাগায়ো জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় এই জেলাকে নিয়ে ভাবেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সেই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই কেন্দ্র ঘোষিত জেলা ও মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিতে গেলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবিধাভোগী নেতা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল। যা নিয়ে বর্তমানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল। এমন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের নজরদারি চাইছেন তৃণমূল। এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান পুলিশের বাড়িতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কিন্তু মূল আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নিস্ক্রিয় ভূমিকা থাকায় সংগঠনে সৃষ্টি হয়েছে নানা মুখী সমালোচনার ঝড়। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিকে অবহেলা করায় কি মহানগর যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের দিকে কেন্দ্রের নজরদারি ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তূ এবং সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল মহানগর যুবদলের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত কল্পকাহিনীর জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থ স্বার্থসহ তাদের বিরেুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলেই অভিযোগকারী নেতার বিরুদ্ধে হামলাসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে নানা গড়িমসি সব মিলিয়ে তাদের মাঝেই রয়েছে নানা ব্যর্থতা। যা বর্তমানে মহানরগ যুবদলের নেতৃত্ব অযোগ্য বলে দাবি করছেন নেতাকর্মীরা। এমনকি মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি গঠনের পর থেকে সকলের প্রতি নেই কোন সম্বনয়তা। যাকে ঘিরে বলা চলে মহানগর যুবদলে তাকলেই শুধু বিশৃঙ্খলা। এবার গত ২৯ জুলাই কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিকে নিয়ে অবহেলা করার কারণে অনেক নেতাকর্মী বর্তমানে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের দাবি ক্লান্তিলগ্নে যারা কর্মীদের পাশে না আশে তারা কোনভাবেই জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে পারে না। আর এই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের এমন নিস্কিয় ভূমিকাকে ধিক্কার জানিয়েছে নেতাকর্মী। এমনকি বলছে সামেন বিএনপির আনন্দোলন সংগ্রাম আরো জোড়ালো রূপ ধারণ করলে রাজপথে এদেরকে পাওয়াটা আরো মুশকিল হয়ে পরবে। এই সুবিধাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে মহানগর যুবদলকে মুক্ত করতে চায় তৃণমূল। যা না হলে, দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে এ সংগঠনটি হারিয়েও যেতে পেরে। দিকে লক্ষ্যে রেখে অতি শীগ্রই মহানগর যুবদলের কর্মকান্ডের কেন্দ্রকে লক্ষ্যে রাখতে মহানগরীর নেতৃবৃন্দের জোরদার দাবি রয়েছে। আর ২৯ জুলাইয়ের বিষয়টি নিয়ে মহানগন যুবদলের রিপোর্টটি যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবি জনিয়েছে নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক ও সহ সভাপতি পদমর্যাদা দুলাল প্রধান বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখানো কোন রিপোর্ট আসেনি। আর বর্তমানে বিএনপি এ বিষয়টা নিয়ে জোড়ালো ভূমিকা রয়েছে। আমরা যদি মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে এমন কোন রিপোর্ট পাই; তাহলে অবশ্যই একটা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”