সোনারগায়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অনৈতিক সুবিধা আদায়য়ের চেষ্টা নব্য সন্ত্রাসীদের

সোনারগাঁ প্রতিনিধি সোনারগাঁ উপজেলা তালতলা এলাকায় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সে প্রতিষ্ঠানের লোকজনের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠেছে নোয়াগাও ইউনিয়নের কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে হেয় প্রতিপন্ন করে মানসম্মান নস্ট করার অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন বস্তল এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন বস্তল এলাকার বিভিন্ন দাগে প্রায় অনুমান ৩০০ বিঘা জমি খরিদ করিয়া জমিতে এম্পায়ার স্টীল মিল নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরী করে আসছেন কোম্পানির পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। সেখানো আলমগীর হোসেন, মামুন মিয়া, আলি আকবর সহ ৮/১০ লোক নিয়োগ দেন কতৃপক্ষ। তাহারা সেখানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি কতৃপক্ষ একই উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ও লাধুরচর এলাকায় বিভিন্ন মৌজায় বেশকিছু জমি খরিদ ও বায়না করেন। এবিষয়ে একটি কুচক্রী মহল শিল্প প্রতিষ্টান না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে কোম্পানি ও কোম্পানির লোকজনের হুমকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে গত ৫ আগস্ট দুপুরে এম্পেয়ারের লোকজন তালতলা এলাকায় মুজিব মাকেটে যায় কেনাকাটা করতে। এসময় নোয়াগাও ইউনিয়নের মুকবিল হোসেন ও তার সহযোগিতারা তাদের দেখামাত্র এম্পেয়ার কোম্পানিকে গালিগালাজ করা শুরু করে। এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনে এম্পেয়ারে দায়িত্বে থাকা আলমগীর হোসেন, আলি আকবর মিয়া ও মামুন মিয়া প্রতিবাদ করে। এসময় তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাগবিত-ার জের ধরে একটি মহল কোম্পানির মানসম্মান নস্ট করার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার রাতে মুকবিল মিয়া নামের এক ব্যাক্তি কোম্পানির দায়িত্বে থাকা আলমগীর হোসেন, মামুন মিয়া সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি সাজানো অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন তালতলা এলাকার মেইন রাস্তার পাশে জনৈক আজিজ জাকির মিয়ার ফলের দোকানের সামনে অনুমান দুপুর ১ টার দিকে আলমগীর হোসেন, মামুন মিয়া সহ কয়েকজন বিবাদী তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরনের চেষ্টা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়িত্ব পেয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আসাদ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সকল ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবিষয়ে একাধিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভিযোগের আলোকে এখানে এমন কোন ঘটনা তারা দেখেনি বা শুনেনও নি। তবে ৩/৪ জন ব্যক্তিদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়েছে সামান্য। সাথে সাথেই তা আবার নিজেদের মধ্যে সমাধানও করে নিয়েছে তারা। হয়তো কারো ইন্ধনে তারা মিথ্যা নাটক করে আসছে। তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আসাদ মিয়া জানান, জমি কেনা বেচা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। মামলা নেয়ার মতো কোনো ধরনের ঘঠনা এখানে ঘটেনি। এদিকে কোম্পানির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আলমগীর হোসেন বলেন, কোম্পানির কাজ বন্ধ করার জন্য মুকবিল সহ তার ১০/১৫ জন সহযোগী আমাদের হুমকি দিয়ে উল্টো আমাদের মানসম্মান নস্ট করার পায়তারা করছেন। আমরা আইনের আশ্রয় নিব। তাদের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানীর মামলা দায়ের করবো।