আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:২১

হারিয়ে যাচ্ছে ‘মোনেম মুন্না সড়ক’

ডান্ডিবার্তা | ১৪ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ

মোনেম মুন্না, কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া এক নাম। ফুটবলের সোনালী সময়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সে সময় মুন্নার ফুটবল প্রতিভায় মোহিত ছিল পুরো দেশ। ‘আবাহনীর মুন্না, মুন্নার আবহনী’ কখনওই আলাদা করতে পারেনি কেউ। ‘ধানম-ির ৮ নম্বর রোড দিয়ে যাওয়ার সময় মনটা খারাপ হয়ে যায়। রাস্তাটা মুন্নার নামে করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর কোন চিহ্ন নেই। একটা নামফলক ছিল কিন্তু ছিন্নমূল মানুষরা সেটার উপর ভেজা কাপড় শুকাতে দেয়। ফলে মুছে গেছে মুন্নার নাম। এর বদলে মুন্নার একটা স্ট্যাচু হলে ভালো হতো। আর তা না হলে একদিন মুন্নাও মুছে যাবে এদেশের মানুষের মন থেকে। ’সেখানে একটা মনুমেন্ট হোক। সবাই জানুক মুন্না কে ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সৈনিক এবং বুদ্ধিজীবীদের নামে রাজধানীতে শতাধিক সড়কের নাম রাখা হয়েছে অনেক দিন হলো। কিন্তু এসব সড়ক নগরবাসীর কাছে পুরনো নামেই পরিচিত। সড়কগুলোর বেশিরভাগেরই নামফলক নেই। দু-চারটিতে থাকলেও সেগুলো বেহাল। কোনওটি হেলে পড়েছে। কোনওটির ওপর পোস্টার সাঁটানো। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে অনেকের। জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নাম রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিএনপির সাবেক প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। কিন্তু এ নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। স্থানীয়রাও জানেন না সড়কটি কার নামে। এখন ঐ এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কিন্তু দুঃখের বিষয় উন্নয়নের মহ সমুদ্রের মাঝেও আওয়ামীলীগের ১৫-১৬ বছরের মধ্যেও আবাহনীর ঘরের ছেলে বাংলাদেশের সর্ব কালের সেরা কিং ব্যাক মরহুম মোনেম মুন্নার নামীয় সড়কটির নাম ফলকটির অবস্থা আগের মতো। জাতির কাছে আমরা লজ্জিত।ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যদি মুন্নাকে সহ বাংলাদেশি প্লেয়ারদের কে সম্মাননা দিতে পারে আমরা কেন সড়কটাকে টিকিয়ে রাখতে পারবো না? ১৯৬৮ সালের ৯জুন নারায়ণগঞ্জে জন্ম মোনেম মুন্নার। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৮৭ সালে আবাহনীতে যোগ দেওয়ার পর দলবদল করেননি, ক্যারিয়ার শেষ করেছেন আকাশি-হলুদ জার্সি পরে। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আবাহনীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকে দলকে এনে দিয়েছেন পাঁচটি লিগ এবং তিনটি ফেডারেশন কাপের শিরোপা। দীর্ঘ ১১ বছর জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন মুন্না। তার অধিনায়কত্বে ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সেটাই লাল-সবুজ পতাকার প্রথম সাফল্য। কলকাতার বিখ্যাত ক্লাব ইস্টবেঙ্গলেও দুই মৌসুম সুনামের সঙ্গে খেলে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে অবসরের পর আবাহনীর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার সময় কিডনিজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুন্না। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর কিছু দিন ভালো থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি, ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ফুটবলকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা