জনস্বার্থের নামে আন্দোলনে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা দেশের বিরোধী সবচাইতে বড় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বর্তমানে অনেকটাই গর্জনের সাথে রাজপথের আন্দোলণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর সকল আন্দোলণ সংগ্রামে যে কোন মূল্যেই দেশের সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততায় সফল করে যাচ্ছে। জানা গেছে, বিএনপি ইতিমধ্যে তিনটি দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে, ১২ জুলাই পদযাত্রা, শোক র‌্যালী ও ঢাকার বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ এবং ২৭ জুলাই ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতে দেখা গেছে বিএনপির লাখো মানুষের ভিড় যা চোখ কেড়েছে দেশের মানুষের। যার মূল কারণ বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে, যতই আন্দোলণ ততই সফলতা সেই লক্ষ্যে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আর বর্তমানে বিএনপির আন্দোলণ মোকাবেলা করতে শান্তি সমাবেশের নামে রাজপথে থাকা শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। কিন্তু কোন বাধাকেই উপক্ষো করছে না এই বিএনপির নেতাকর্মীরা তারা একটি শ্লোগানেই এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে বাধা সেখানেই প্রতিরোধ। এমনকি রাজধানীর লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় বর্তমানে অন্য অন্য জেলাগুলো থেকে সব থেকে বেশি আন্দোলণ মুখী অবস্থায় রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকল আন্দোলণের আগেই এই জেলার নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি মূলক সভা পালন করে থাকে ও নগরীর আম জনতার সাথে আলাপ আলোচনা করে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ততা করছে। এমনকি জনগণ ও তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার কারণেই বর্তমানে বিএনপির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। যার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি, যেভাবে বিএনপি চলমান আন্দোলণ বেগবান ঘটছে তা বিগত দিন থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে উেেঠ যা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকার বর্তমানে দেশকে একবারে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বর্তমানে মানুষের গণতন্ত্র নাই, ভোটরে অধিকার নাই, এই সমস্যা থেকে দেশকে ঠিক করে আবার জনগণের গণতন্ত্র তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন দরকার। আর এই শেখ হাসিনার অধীনে কোন সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশে বিএনপিসহ ৪৯ টা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে আর সকলেই এই সরকারের বিরোধীতা করছে একত্র ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে। তারই প্রতি ফলন আপনারা বিএনপির সকল মিটিং মিছিলে দেখতে পাচ্ছেন। বিএনপির সকল প্রোগ্রামে বর্তমানে লাখ লাখ সাধারণ জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। আর আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই এই দেশের জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। আর এই প্রতিষ্ঠার আন্দোলণে জনগণেরই বিজয় হবে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি জনসমর্থন দল। আর বিগত দিনে এই দলের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের হয়েই কাজ করে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ও দফায় দফায় বিএনপির আন্দোলণে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে ও আগামীতে আরো বাড়বে। কারণ হলো বিএনপির সকল দাবিই সাধারণ জনগণকে ঘিরে। আর বর্তমানে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সকল আন্দোলণে ডাকের আগেই দৌঁড়ে আসছে। আর বর্তমানে আমরা ১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছি আগামীতে রাজপথে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি আরো চমক দেখাবে। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম বলেন, বর্তমানে আমরা বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ১ দফার আন্দোলণের কর্মসূচি অবহৃত রেখেছি। আর আমরা এই মাসে প্রায় তিনটি দলীয় কর্মসূচি পালন করেছি। এই তিনটি কর্মসূচিতেই কিন্তু জনসমর্থন ছিল দেখার মতো। আর বর্তমানে বিএনপির সকল আন্দোলণে বিএনপির নেতাকর্মীদের থেকেই বেশি ভূমিকা থাকে সাধারণ জনগণের। আর এই মাসে আমাদের আরেকটি প্রোগ্রামের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর বর্তমানে সাধারণ জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। আর আমরা এখন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল বিগত দিন থেকে আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ যার পরিপ্রেক্ষিতে সকল সময়ের মতো জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সকল সময় দলীয় সকল আন্দোলণে ঝাঁপিয়ে পরার জন্য প্রস্তুত। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্র পূর্ন উদ্ধারের আন্দোলণ ও দেশের মানুষের ভোট অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলণ এই লক্ষেই আমরা কাজ করছি। আর বর্তমানে আমরা আশাবাদী যে অতি শীঘ্রই দেশের জনগণের হাতেই এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটবে। আর কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের মাধ্যমেই মানুষ তার ভোট অধিকার ফিরে পাবে। আর আপনারা দেখেছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আর আপনারা অবগত আছেন যে বিএনপির প্রান হচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরা এই কর্মীরা বর্তমানে সকল বাধা পেরিয়ে উজ্জ্বীবিত আছে। আর ইতিমধ্যে তাদের উপরেই বেশি হামলা-নির্যাতন করা হচ্ছে তার পরে ও তারা সেগুলো পাশ কাটিয়ে উজ্জ্বীবিত হচ্ছে। যার কারণে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জেলা যুবদলের সদস্য সদস্য মশিউর রহমান রনি বলেন, আমাদের সকল কর্মসূচি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কর্মসূচি। আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের দফায় দফায় এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণের থেকে শুরু করে। সকল শ্রেনীর মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করছেন। যার কারণে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বিএনপির হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী এখন রাজপথে। আমরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে একটি বার্তা দিচ্ছি যে, সামনে যে আন্দোলন হবে, আর শেখ হাসিনাকে বিদায় করার জন্য আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান যে কর্মসূচির ডাক দিবে সকল কর্মসূচিতে বিশেষ করে সাধারণ জনগণ ঝাঁপিয়ে পরবে আর ইতিমধ্যে আমরা এটার প্রমান ও পেয়েছি। মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ তাদের গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সেই লক্ষেই কিন্তু নারায়ণগঞ্জ বিএনপি তথা পুরো দেশের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা গর্জে উঠেছে। আর বর্তমানে কিন্তু আমাদের চলামান আন্দোলণের যে দ্বারা যেটার মধ্যেও একটি চেঞ্জ আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমাদের ৩টি কর্মসূচি পালন হলো আবার মহা সমাবেশ পালিত হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুঝা যায় বিএনপি এখন আরো জোরালো ভূমিকা পালন করা শুরু করে দিয়েছে। আর বিএনপির সমাবেশ মানেই বলা চলে রাজপথ লোকেলোকারন্ন হয়ে যাওয়া। তিনি আরো বলেন, বিএনপি বর্তমানে জনগণের দল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। যার কারণে বিএনপি সমাবেশ ডাক দিলে ও তা সফল করে দেশের সাধারণ জনগণ। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া বলেন, আমরা তিনটি দলীয় কর্মসূচি পালণ করেছি আর সকল কর্মসূচিতেই আমাদের সাথে আমরা দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত হতে দেখিছি। যার কারণ বলে বুঝা যাচ্ছে বিএনপি সাধারণ জগণের পছন্দের একটি দল। আর এই দল আগে ও জনগণের হয়ে কাজ করেছে আগামীতে ও করে। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, আমরা বর্তমানে গণতান্ত্রিক আন্দোলণে রয়েছি, একটি জনগণের ভোট অধিকার রক্ষায়, জনগণের গণতন্ত্র রক্ষায়, দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে আমাদের এই আন্দোলণ। আর এই আন্দোলণ আমাদের চলমান থাকবে যে পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন না হবে। আর আপনারা অবগত আছেন এই মাসে আমরা দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে তিনটি কর্মসূচি পালন করেছি। আর দলীয় হাইকমান্ড আমাদের যে নির্দেশ দিবে আমরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে যাবো। আর ইতিমধ্যে ১২ জুলাই আমাদের বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার পরবর্তীতে শোক র‌্যালী হয়েছে, আগামীকাল তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের আন্দোলণ ততটাই তীব্র ও জোরালো হবে। আর একটা সময় বাধ্য হবে এই সরকার তার গদি ছেড়ে নামতে ও জনগণের ভোট অধিকার ফিরিয়ে দিতে। আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে তারা চাইবে আর যদি না মানে তাহলে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। আর আমাদের সকল আন্দোলণ কিন্তু সফল হচ্ছে যার কারণ হলো সাধারণ জনগণ। আর এই বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল, আর যার কারণে বিএনপির সকল প্রোগ্রামে এক ডাকেই দেশের কোটি কোটি বিএনপির সমর্থন ও সাধারণ জনগণ ঝাঁপিয়ে পরছে।