আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:১৬

চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে আ’লীগ-বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ১৬ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী সেপ্টেম্বরেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। খুব সহজ ভাষায় এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যেও একটি সময় বেঁধে দেয় কমিশন। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন সেটি ঘোষণা করা হয়। বলা যেতে পারে তফসিল ঘোষণার পর মানে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিটি দলের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতী নেয়া। আবার নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচনের দিন তারিখ পরিবর্তনও করতে পারে। তবে তা ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হয়। গেল রোববার ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামীলীলীগের বর্ধিত সভা দলের নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ ম্যাসেজ ছিলো। আগামী নির্বাচনে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তাঁর জন্যই কাজ করতে হবে এমনই নির্দেশনা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর কর্মীদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচন আওয়ামীলীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই মনে করছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনে বিদেশী চাপের পাশাপাশি দেশীয় নানা ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। তবে অনেকে আবার তৃতীয় শক্তির উত্থানের ঘ্রানও পাচ্ছেন বলে চায়ের টেবিল থেকে বিভিন্ন স্থানে বলতে শোনা যায়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। আগামী নির্বাচন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলের জন্যেও বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে তাঁর দলের হাল ধরেছেন। তাঁর অবস্থান ধরে রাখতে দলটিকে যেভাবে সাজানো দরকার তিনি তা-ই করছেন। অপরদিকে উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি আপোষহীনের মতোই এগিয়ে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু তাঁরই প্রমান বহন করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে আওয়ামীলীগ দলের স্বার্থে তিনি প্রার্থীতা পরিবর্তন করতেও পারেন। সে ক্ষেত্রে কারো কোনো সুপারিশও কাজে আসবে না। গত রোববার গনভবনে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় আমরা যাকেই নমিনেশন দিই, ভালো-মন্দ, কানা-খোড়া যা-ই হোক, আপনাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। তিনি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থেকে মানুষের হৃদয় জয় ও তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনের নির্দেশ দেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা মানুষের কাছে গেলে, সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে, ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিলে, অবশ্যই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। ‘এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে আমাদের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া। সেই কথাটা মাথায় রেখে আমাদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ, আমরা যখন নমিনেশন দেবো, অবশ্যই আমাদের মাথায় এটাও থাকবে যে, কাকে নমিনেশন দিলে ওই সিটটা আমরা ফিরে পাবো। সেখানে অনেক এসএমএস পাঠালে, আর কারও গীবত গাইলেই যে আমরা সে কথা শুনবো, তা কিন্তু আমি শুনবো না। স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, ওই কথা আমি শুনবো না। কারণ, আমার নিজের হিসাব-নিকাশ আছে। আজকে ৪২ বছর আপনাদের সঙ্গে প্রতিটি এলাকায় ঘুরেছি। কাজেই আমার একটা ধারণা আছে। আমার দলেরও আছে। আমরা সার্ভে করি। রিপোর্ট নিই। কার অবস্থান কতটা? সেটা বুঝে কিন্তু আমরা নমিনেশন দিই।’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো ভাবেই সম্পন্ন করতে দিতে চায়না বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু শরীক দল। তবে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরও শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। আর বিরোধী দলের দাবী আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে হস্তান্তর করুক। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনেই নির্বাচন হউক। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হলে, সেখানে তত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। আর এনিয়েই আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে মতানৈক্য। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচন,কমিশন সংবিধান মোতাবেকই করবেন। তবে অনেকর মতে, তৃতীয় শক্তির উত্থান হলে তা কোনো দল বা দেশের জন্য শুভকর হবে না। তাই আগামী নির্বাচন আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং সর্বপরি নিবর্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে অনেকে। অপরদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বিএনপিও তাদের দল গুছিয়ে রাখছেন। তবে এবার যেকোন মূল্যে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলেও অনেকে নিশ্চিত করেছেন। তবে দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের দাবী তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই বলেও একটি কথা রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কতোটা বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে তা আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফুটে উঠবে বলে মনে করছে অনেকে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা