ওরা নির্বাচনের আগে মরণ কামড় দেবে : শামীম ওসমান

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট তল্লায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। ওই শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, এমপি শামীম ওসমান। জানে আলম বিপ্লবের শোক সভাটি সমাবেশে রূপ নেয়া দীর্ঘ সময় বক্তব্যে রাখেন শামীম ওসমান। অনুষ্ঠানে প্রধান সারিতে ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা ও ফতুল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডবাসী। অনুষ্ঠান শেষে জানে আলম বিপ্লবের প্রশংসা করেছেন আগত মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, এমপি শামীম ওসমানকে পেয়ে আমরা সকলে আনন্দিত। তিনি দেশের অবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে রেখেছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। আমরা আবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে এমপি হিসেবে শামীম ওসমানকে ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চাই। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহজাহান ভুইয়া জুলহাস জানান, জানে আলম বিপ্লবের যে কোন অনুষ্ঠানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সারি রাখেন। তার মত যোগ্য নেতা আগামী দিনে আমাদের প্রতীক হয়ে থাকবে। এমপি শামীম ওসমানও বিপ্লবের প্রশংসা করেছেন। আসলেই বিপ্লব প্রশংসা হওয়ার মত ছেলে। দলীয় কোন পদ পদবী না থেকেও আজকের শোক সভাটি সমাবেশে রূপ দিয়েছেন। এত গরমের মধ্যে শত শত মানুষ নিরবে এমপি শামীম ওসমানের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে শুণেছেন। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালী মাহমুদ খান জানান, এমপি শামীম ওসমান উপস্থিতিতে শোক সভাটি বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে। জানে আলম বিপ্লব সকল মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীকে উপস্থিত করাতে পেরেছেন। পরিশ্রমিক জানে আলম বিপ্লব আওয়ামীলীগের একজন সাচ্চা কর্মী। তল্লা এলাকার এই ছেলেটি আগামী দিনে আওয়ামীলীগের বড় নেতা হবে দোয়া করি। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফতুল্লা ৯নং ওয়ার্ডের তল্লা মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় শামীম ওসমান বলেন, ওরা নির্বাচনের আগে মরণ কামড় দেবে। গতকাল জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন। সে ভাষণ ফলো করলে আপনারা বুঝতে পারবেন ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমাদের কৈশর হারিয়ে গেছে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ পেছনে যেতে থাকে। আমাদের রাজনীতিতে আসতে হয় গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। নির্বাচনের আগেই ওরা মরন কামড় দেবে। বাংলাদেশের ওপর কামড় দেবে। বাংলাদেশকে ওরা ধর্ষণ করবে। এটা হতে দিবেন কী দিবেন না এটা আপনাদের ইচ্ছা। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ওই আমেরিকা এসে বলল মাটির নিচে গ্যাস আছে, গ্যাস বিক্রি করতে হবে। জাতির পিতার কন্যা বললেন পঞ্চাশ বছরের গ্যাস রিজার্ভ না রেখে আমি গ্যাস বিক্রি করবো না। আমি শামীম ওসমান ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে ৩৪ হাজার ভোটে পাশ করেছি। পাশ করার পর নেত্রী ফোন করে বলল তুমি পাশ করেছো, আমি বললাম না আপা বাক্স বদলে দিয়েছে। সেনাবাহিনী বলল চলে যান শামীম ভাই। জাতীয় শোক দিবসে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহজাহান ভুইয়া জুলহাস, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চেয়ারম্যান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালী মাহমুদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মহসিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহনেওয়াজ, আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিছির আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও জি এম আরমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।