
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আলোচিত সমালোচিত সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে ‘‘ধ্বংস বাবা’’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে আলোচিত নারী কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) আয়শা আক্তার দিনা। তিনি বলেন- ‘‘নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে সদস্য সচিব হিসেবে আবু আল ইউসুফ খান টিপু আসার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনৈতিক চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। সাখাওয়াত টিপু ভাই এর দুর্ব্যবহারের কাছে বরাবরই নিরুপায়। কারণ, সাখাওয়াত সাহেব ভদ্রলোক। সে জুনিয়রদের সামনে টিপু ভাই এর কাছে অপদস্ত হওয়ার ভয়ে অনেক অত্যাচার মেনে নেয় তা আমরা নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি। সাখাওয়াত ভাইকে কথা বলার জন্য মাইক দেওয়া হয়না তাও আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি কিভাবে টিপু ভাইয়ের অপরিপক্ক রাজনীতির কারনে শাওনকে শহীদ হতে হয়েছে। শাওন পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর সবাই তাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে, সেখানে টিপু ভাই নাই।’’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কাউন্সিলর আয়শা অঅক্তার দিনা তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক পোস্টে এসব কথা লেখেন। পোস্টটিতে তিনি প্রশ্ন রাখেন- ‘‘আজ শাওনের পরিবারের জন্য টিপু ভাই এর ভূমিকা কি জানতে চাই? রাজপথে সাখাওয়াত ভাই মাইর খায় পুলিশ তার পান্জাবী ছিড়ে ফেলে টিপু ভাই সেখানে স্পটে নাই। সাগর প্রধানকে পুলিশ যেভাবে মেরেছে ছেলেটা হাটতে পারছিলো না, সেই স্পটেও টিপু ভাই নাই। সবাই মামলা খায় অথচ টিপু ভাইয়ের নামে কোন মামলা নাই। মহানগরের প্রোগ্রাম করতে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী টিপুর হাতে মাইর খায় অথচ তৈমুর ভাই, গিয়াস ভাই, কালাম ভাইকে কখনো দেখিনাই কোন কর্মীর গায়ে হাত তুলতে। টিপুর হাত থেকে মহিলাদলের নেত্রীরাও রেহায় পায়না, মহিলাদলের নেত্রীকেও তার শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও আমরা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি।’’ মানবতার কল্যাণে কাজ করে ইতিমধ্যেই আলোচিত নারী কাউন্সিলর দিনা উল্লেখ করেন- ‘‘টিটু ভাই যেদিন চোখে গুলি খেলো সেদিন জেলা ও মহানগর একসাথে চিটাগাং রোডে বিশাল নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে থাকবে অথচ টিপু ভাই পন্ডিতি করে মহানগরের লোকজন নিয়ে চিটাগাং রোডে উঠলো পুলিশ ও দেখলো স্বল্প নেতাকর্মী ব্যাস ওমনিতেই পুলিশ চড়াও হয়ে গেলো। পুলিশ মারমুখী আচরণ শুরু করলো ঐদিকে এর প্রভাব পরলো শহীদুল ইসলাম টিটু ভাইয়ের উপর। চোখে পুলিশের গুলি লাগলো আজ তার দুটি চোখই হাড়াতে বসেছে।মাহমুদ ভাইয় যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছিলো তখনো টিপু ফটোসেশান নিয়ে ব্যস্ত।ঠিক মত তার চিকিৎসার টাকাটাও দিলোনা।চলে গেলো চিরতরে না ফেরার দেশে মাহমুদ ভাই। এবার আপনারই বলেন ২০০৬ এ বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি এত ক্ষতির স্বীকার হয়নাই যতটা ক্ষতি এই টিপু সদস্য সচিব হওয়ার পর হয়েছে।এই পরিবার গুলোর দায় ভার কে নিবে?’’ আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে উদ্দেশ্য করে আয়শা আক্তার দিনা তার স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন- ‘‘প্রোগ্রাম করার জন্য ৮ লক্ষ টাকা কেন্দ্র টিপুকে দিয়েছে অথচ সরজমিনে নাকি একলক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা কই গেলো? মাহমুদ ভাই এর পরিবারকে একটা এমাউন্ট ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে পারতো। শাওনের পরিবার কে ক্ষতিপূরণ হিসাবে একটা এমাউন্ট দিতে পারতো। টাকাগুলো গেলো কই? টিপু ভাই কে যারা চিনে তারা জানে তার তেমন কোন আয়ের উৎস নেই। সারাদিন কোর্টে একহাজার টাকাও ইনকাম করতে পারেনা। কিন্তু এত শানশওকত ভাবে কেমনে চলে। রাজনীতি করতে হলে মহানগরের সদস্য সচিব হলে দলের প্রতি অনেক খরচ করতে হয়। অঙ্গদলের নেতাকর্মীরাই দল চালানোর জন্য যারযার পদ রক্ষার জন্য ঘরের টাকা খরচ করে রাজনীতি করে।সেখানে নারায়ণগঞ্জের মত গুরুত্বপূর্ণ শহরে সদস্য সচিব সাহেব কোন ইনকাম সোর্স থেকে দলের জন্য টাকা খরচ করে? আসলে সদস্য সচিব হওয়ার পর থেকে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করে বেড়ায় আর ঐ ভিক্ষার টাকা দলের পিছনে খরচ না করে নিজের আখের গোছাচ্ছে। শাওনের পরিবারের অভিশাপে, শহীদুল ইসলাম টিটু ভাই এর দীর্ঘশ্বাসে স্বেচ্ছাসেবক দলের যে ছেলেটা তার হাতে থাপ্পড় খেয়েছে ওর নিরব অভিশাপে,নারী নেত্রীর গায়ে হাত তোলার অপরাধে, মাহমুদ ভাই এর পরিবারের দীর্ঘশ্বাসে এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাবে ধ্বংস বাবা ওরফে আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বানরের গলায় যেমন মুক্তার মালা শোভা পায়না তেমনিই ধান্দাবাজ টিপুকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদস্য সচিব পদ শোভা পায়না। এতগুলি পরিবারের ক্ষতি তার মত অদক্ষ লোকের কারনে হয়েছে।মানুষ দাড়ী রাখলে তাকে নমনীয় দেখায় অথচ টিপু ভাইকে দেখলে মনে হয় কারে জানি কামড় দিব কারে জানি এক্ষুনি মারতে বসব এমন আক্রমণাত্বক চেহারা। মানুষের মন যেমন থাকে তার চেহারায় তা ফুটে উঠে।’’ স্ট্যাটাসটিতে সবশেষে আয়শা আক্তার দিনা বলেন- ‘‘কেন্দ্রের কাছে এবং নারায়ণগঞ্জের প্রথম সাড়ির নেতাদের কাছে আমার অনুরোধ এই রাক্ষস এর হাত থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে অবমুক্ত করা হউক।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯