আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:০৮

আমি মেয়রের পিছনে লাগব না: সেলিম ওসমান

ডান্ডিবার্তা | ২৫ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, আমি মেয়রের পিছনে লাগব না। মেয়রের আইন মেয়রের কাছে। আমি হারাম খাই না কাউকে খেতে দেব না। হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিষয়ে সংসদ সদস্যের কাছে সিটি কর্পোরেশন এলাকার এক বাসিন্দার নালিশ দেয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। অভিযোগকারীর উদ্দেশ্যে এসময় তিনি বলেন, আপনি যতই নাটক করেন না ক্যান আমি মেয়রের পেছনে লাগব না। মেয়রের আইন মেয়রের ধারায় চলবে। আপনাদের সমস্যা হয়ে থাকলে উনাকে জানান। আমাকে জানানোর চেষ্টা কইরেন না। সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা বলার পর আমি কাগজ দেখছি। আমার মেয়র এতো বড় নির্দয় না। আপনাদের ট্যাক্স দিতে সমস্যা হলে উনাকে জানান। তার একটা কপি আমাকে দিতে পারেন। এতো গরম খাইয়েন না। ট্যাক্স দিবেন আপনার সন্তান, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ থাকার জন্য। সেলিম ওসমানের এই ঘোষণায় মেয়র আইভীর বিষয়ে তার ইতিবাচক অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ তলা ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচনের অবশিষ্ঠ দিনগুলোতে বন্দরের শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর অঞ্চলের এই সংসদ সদস্য। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেলিম ওসমানের সহধর্মীনি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নাসরিন ওসমান। সেলিম ওসমান বলেন, আমি যেই দিন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছি সেইদিন থেকে আমি মনে করছি আমি জনগনের গোলাম। নির্বাচন আসতে বহুদিন, এটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমি যা করেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে করেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনারা দোয়া করবেন আমার জন্য। আমি আল্লাহর কাছে এতটুকু দোয়া করবো যাতে আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়তে পারে। তিনি বলেন, এখানে যেই ভবনটি ছিলো সেটা অত্তন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ডেকে আমি বললাম এটা ভেঙ্গে নতুন ভবন করার সময় আমার নাই, জায়গা কিনেন বিল্ডিং বানান। একটা মানুষের যদি ইচ্ছা না থাকে, তাহলে ভালো কাজ করা সম্ভব হয় না। এই গার্লস স্কুলের চারপাশে দিয়ে একটি দেয়াল দেয়া দাবি আমাকে জানানো হয়েছিলো। কন্টেক্টার কই, কাজ শুরু করেন; আপনারা টাকা আপনি পেয়ে যাবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, মায়ের জাত কত কষ্ট করে এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে জানো তোমরা। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা তোমাদের মাধ্যমেই জন্ম নিবেন। তোমাদের সে ভাবেই তৈরি হতে হবে। আমি কয়দিন আছি কয়দিন নাই জানি না। বন্দর গার্লস স্কুলে একটি ক্লিনিক নির্মান এবং স্কুলটিকে সরকারি করার কথা উল্লেখ করে সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের চলার পথে দু-চারটা ভুল হতেই পারে। আমাদের সাবধান হতে হবে যতে আমি ভুল না করতে পারি। এই স্কুলে একটি চিকিৎসালয় তৈরি করেন। যাতে আমার নাতনীরা কোন সময় অসুস্থ হলে, যাতে মহিলা চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নিতে পারে। আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, তাহলে এই স্কুলকে একদিন সরকারি ঘোষণা করা হবে। আমি যাই বলি, তাই করি। নবীগঞ্জ ঘাটে চলাচলরত ফেরি ব্যবস্থাপকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সেলিম ওসমান বলেন, বন্দরের মানুষ আজ শান্তিতে আছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে ৮৫ ভাগ মানুষ বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে চাকরী কিনবা ব্যবসা করে। আর বন্দরের ৮৫ ভাগ মানুষ এই বন্দরেরই। এই বন্দরে আমার দুটি কাজ বাকি আছে। আমরা নবীগঞ্জ ফেরি চালু করতে পেরেছি, কিন্তু সেখানেও কিছু সমস্যা আছে। পয়সা বেশি কামাই করার জন্য একটা ফেরি চালায় আরেকটা রেখে দেয়। ফেরি যদি খালিও চলে তারপরেও দুটি ফেরি চালাতে হবে। আমি এখান থেকে নির্দেশনা দিলাম, ফেরির জন্য যাতে একটি রিকশা ওয়ালারও অপেক্ষা করতে না হয়। তিনি বলেন, বন্দরের বেশ কিছু উন্নয়ন করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়ারি যুদ্ধের কারণে সম্পুর্ণ হতে পারেনি। যার পুরো দোষ আমি নিজের কাধে নিচ্ছি। কিন্তু আমারো তো কিছু করার ছিলো না। তখন চেষ্টা করেছি শুধু একটা, কেউ যাতে খাবারের অভাবে না মরে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলেছি মানুষের বাড়িতে, বাড়িতে যাও; একটা লোকও যাতে কষ্ট না পায়। আমার একটা চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর কেউ বসে থাকেনি। সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমার আরও পরে দেশে আসার কথা ছিলো। কিন্তু যার জন্য আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, যার জন্য আমি সেলিম ওসমান আজ এই অবস্থানে সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমি না এসে পারবো কি করে। এখনো ২০-২২টা স্কুল পড়ে আছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে আমি আমার সন্তানদের ভালো ভাবে লেখাপড়া করাতে পারিনি। ওই দুঃখেই আজ আমি তোমাদেরকে সাপোর্ট করি। আমার শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমি চেষ্টা করবো যাতে স্কুলের বাচ্চারা যাতে কষ্ট না পায়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। বিশেষ অতিথি- বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খুদা বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়াডের কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। অন্যানদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ, এনসিসি ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না প্রমুখ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা