তারুণ্যে নির্ভার আন্দোলন সংগ্রাম

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজপথ উত্তাল হচ্ছে। আর এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে তরুনরা। আওয়ামীলীগের তরুনরা চায় বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করতে আর বিএনপির তরুনরা চায় আন্দোলন সফল ভাবে চালিয়ে যেতে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি বর্তমানে রাজপথে এগিয়ে রয়েছে। তবে আগামী দিনের রাজনীতি করুনদের উপর নির্ভর এটা উভয় দলের শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করতে শুরু করেছে। তাই এখন উভয় দলই তরুনদের প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরেই রাজপথে সরব রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর এবং জেলা বিএনপি। কেন্দ্রের নির্দেশে অধিকাংশ কর্মসূচি তারা সফলভাবে পালন করে আসছেন। তাদের ধারাবাহিকতায় জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠন জেলা ছাত্রদল, জেলা যুবদল এবং মহানগর বিএনপির অঙ্গসংগঠন মহানগর ছাত্রদল, মহানগর যুবদল রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির এই চারটি অঙ্গসংগঠন রেকর্ডসংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ঘটাচ্ছেন। বর্তমানে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি পদে রাকিবুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর যুবদলের আহবায়ক পদে মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব হিসেবে মনিরুল ইসলাম সজল ও যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে শাহেদ আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে নাহিদ হাসান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুবায়ের রহমান জিকু এবং জেলা যুবদলের আহবায়ক পদে গোলাম ফারুক খোকন ও সদস্য সচিব পদে মশিউর রহমান রনি রয়েছেন। এই অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের রাকিবুর রহমান সাগর, যুবদলের শাহেদ আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের মশিউর রহমান রনি এই চার তরুণে স্বপ্ন দেখছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। দলের প্রতি তাদের ইতিবাচক দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ বিএনপির প্রত্যাশা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চার তরুণই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে। এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বদলাতে শুরু করে জেলা ছাত্রদল। আগের তুলনায় ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে দলটি। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া জানান, দায়িত্ব পেয়ে দলের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সবগুলো কর্মসূচি পালন করে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও পালন করবো। আগামীতে জেলা ছাত্রদল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এই আমার বিশ্বাস। অন্যদিকে চলতি বছর ৬ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর ছাত্রদলেরও কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে রাকিবুর রহমান সাগরের নেতৃত্বে মহানগর ছাত্রদল আসে। বর্তমানে মহানগর বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে মহানগর ছাত্রদলের বেশি ভূমিকা থাকে। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে তাদের রেকর্ডসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটে। এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানান, আমাদের উপর আস্থা রেখে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল আমাদের হাতে মহানগর ছাত্রদলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি দলকে সবসময় সুসংগঠিত রাখার। পাশাপাশি গত বছরের ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় যুবদলের তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই কমিটির আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর তিনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন। অর্থাৎ তিনি জেলা বিএনপিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে জেলা যুবদলের মূল দায়িত্ব পড়েছে সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির উপর। তিনি একাই বর্তমানে দলকে সামলিয়ে যাচ্ছেন। গোলাম ফারুক খোকনের অনুপস্থিতি তিনি কাউকে টের পেতে দেননি। জেলা বিএনপির প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে তার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক যুবদলের নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছেন। রনির বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন জেলা যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় যুবদলের প্যাডে দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলালের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে যাদের আহবায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে তাদের চেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ। এর আগে তিনি মহানগর ছাত্রদলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মহানগর যুবদলেও। কাগজে-কলমে তিনি যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে থাকলেও মূলত মহানগর যুবদলের নেতাকর্মী তার নির্দেশনার অপেক্ষা থাকে। মহানগর বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে মহানগর যুবদলের যতোসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকেন এর অধিকাংশই থাকে শাহেদের কর্মী। তার নেতৃত্বে মহানগর যুবদল সবসময় উজ্জীবিত থাকে। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে রেকর্ডসংখ্যক যুবদলের নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটিয়ে তিনি বাজিমাত সৃষ্টি করেন। অপরদিকে আওয়ামীলীগের তরুন নেতারা রাজপথে মূল নেতাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তারা বিভিন্ন সভা সেমিনার চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন শোকের মাস হিসাবে আওয়ামীলী, যুবলীগের চেয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছে। এক জুয়েলের নেতৃত্বে প্রতিদিন সভা সমাবেশ হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরে জোড়ালো ভ’মিকা রেখে চলছেন, এসআই জুয়েল, হাবীব মাস্টার, আজিজুল হক আজিজ, এম এ সালাম, ওয়াহিদুজ্জামান অহিদসহ অনেকে।