এজেন্ডা বাস্তবায়নে আ’লীগে অনুপ্রবেশ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি ঘেষা নব্য আওয়ামীলীগ নেতা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে নিয়ে ক্ষোভ জেড়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। দলীয় কোন কর্মকান্ড নাম সর্বস্ব তাকে পাওয়া গেলেও দলের জাতীয় কোন কর্মসূচীতে সেন্টুর ছায়া পর্যন্ত চোঁখে পড়ে না। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতেও কোন ধরনের কর্মসূচী পালন করতে তাকে দেখা যায়নি। তবে, একটি সূত্র। বলছে দেশে অবস্থান না করায় তিনি কর্মসূচী পালন করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, মন থেকে কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন না সেন্টু মূলত চেয়ারম্যানের পদ বহাল রাখাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্যই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব ধ্বংস করার মিশন বাস্তবায়নে বিএনপির এজেন্ডা হয়ে কাজ করছেন নব্য আওয়ামীলীগ নেতা মমিরুল আলম সেন্টু এমন অভিযোগ দীর্ঘদীন ধরে অভিযোগ করে আসছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। সূত্রমতে, নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর সাথে মৌন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে। অনেকেই চেয়ারম্যান সেন্টুকে মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের অভিযোগ, মনিরুল আলম সেন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা ভাবে কোনঠসা করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। আর এ বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে মনিরুল আলম সেন্টু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাওয়া পাল্টাতে থাকে। আওয়ামী লীগে আসা বিএনপি বহিস্কৃত নেতা সেন্টুকে মেনে নিতে পারছে না দলের ত্যাগী নেতারা। এছাড়া চেয়ারম্যান সেন্টুও চাচ্ছেন নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলতে। কুতুবপুরকে পরিচ্ছন্ন একটা ইউনিয়ন গড়তে চান তিনি। এদিকে চেয়ারম্যান সেন্টুর সাথে যখন দলের পুরনো নেতাদের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে তখন এ সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন দলের তৃতীয় একটি পক্ষ। কুতুবপুর আওয়ামী লীগে অস্থিরতা তৈরি করে এই পক্ষটি ফায়দা লুটতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা জানান, মনিরুল আলম সেন্টু চেয়ারম্যান পদ আঁকড়ে থাকার জন্যই মূলতঃ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। সে আওয়ামীলীগকে এখনো বুকে ধারণ করতে পারেনি। যে কারণে আওয়ামী লীগের নেতাদের কোনঠাসা করতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু জানান, আমি জনপ্রতিনিধি, কুতুবপুরের মানুষের চেয়ারম্যান হয়েছি। আমার ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত করতে চাই। এ কাজ করতে গিয়ে যদি কারো বিরুদ্ধে, বিপক্ষে যায় আমার কিছু করার নেই। আমি কারো বিপক্ষে নই।