তত্বাবধায়কেই অনড় বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এখানে একতরফা নির্বাচনই হবে। আমি গত বছর মেয়র নির্বাচন করেছি। সেখানে দেখেছি নির্বাচন করে পুলিশ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সদর-বন্দর আসনের নানা দিক তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যদি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় আমি রূপগঞ্জ অথবা ৫ থেকে প্রস্তুতি আছি। তত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন করবো না। তিনি বলেন, আমি নির্দলীয় নির্বাচন করেও প্রায় এক লাখ ভোট পেয়েছি। মানুষ চায় ভোট দিতে। আজ যারা ক্ষমতায় তারা একাই সব ভোগ করছে। ভোট চুরির কাজ আরও পাকাপোক্ত হচ্ছে। আমি মনে করি সরকার বনাম জনগণ নির্বাচন হবে। কারণ জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এবং প্রতিটি এলাকায় এমপিরা গ্রুপ করছে। তারাই সব সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি বিএনপিতেই আছি। যখনই কর্মসূচি থাকে আমি হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেই। দল বহিষ্কার করেছে তার নিশ্চয়ই কারন আছে। তবে দলের প্রয়োজনে দল আমাকে আবারও নেবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমরা একদফা আন্দোলনে আছি। জনগণের দাবী নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা সে দাবী আদায়ের জন্য কাজ করছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সদর-বন্দর আসনের নানা দিক তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সদর-বন্দর আসন বিএনপির আসন। এখানে সবসময় বিএনপি জিতেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এখানে বিএনপিই বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, এখানে প্রতিটি ওয়ার্ড ইউনিয়নে আমাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। জাতীয় পার্টি থাকায় এখানে আওয়ামী লীগ দুর্বল। তারা কাঙ্খিত সেবা পায়নি। আজ বৃষ্টিতে মানুষ চলাচল করতে পারে না। এতটা খারাপ অবস্থা। এখানে রাস্তাঘাট ছোট এবং সবসময় যানজট লেগেই থাকে। তিনি বলেন, আমি ২০১৬ সালে মেয়র নির্বাচন করেছিলাম। আগামীতে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে আমি এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবো। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বিগত ১৯ বছর ধরে আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি আমি মনেকরি দলীয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দাবী থাকতেই পারে যে একটা লক্ষ্যে পৌঁছানো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সদর-বন্দর আসনের নানা দিক তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি জনগণের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষকে আরও সেবা দেয়া তাদের আরও কাছাকাছি যাওয়ার জন্যেই আমি প্রার্থী হতে চাই।