আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:২৫

জেলা বিএনপিতে বিশৃঙ্খলা

ডান্ডিবার্তা | ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচীতে সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের মধ্যে। এতে করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে তিক্ততা। জেলা বিএনপির সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মসূচী পর্যবেক্ষন করে এমন তথ্যই জানা গেছে। এর মধ্যে গিয়াস নিজের নিয়ন্ত্রণে ও খোকন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে নেতাকর্মীদের দিকভ্রান্ত করছেন। দুজনের সমন্বয়হীনতা কারণে জেলা বিএনপির প্রথম রাজপথের জোরাল কর্মসূচী ঢাকার প্রবেশপথে ঘেরাওয়ের দিন মাঠেই নামতে পারেনি জেলা বিএনপি। এতে ক্ষুব্দ দলীয় প্রধান তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতারা। দলের একাধিক সূত্র জানায়, গত ২৯ জুলাই ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীর দিন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোথায় আসতে হবে কিভাবে আসতে হবে এবং কেমন কর্মসূচী হবে সেটিই জানাননি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর মধ্যে সেদিনের কর্মসূচীতে দুজনের একজনকেও মাঠে পাননি কর্মীরা। গিয়াস ও খোকনের মাঝে দূরত্ব ও সমন্বয়হীনতা এর মূল কারণ বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। দলের ১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচীর দিন কাঁচপুরে দলের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এদিন মাঠে খোকন উপস্থিত হলেও গিয়াসকে দেখা যায়নি সংঘর্ষের আশেপাশে। এদিনও দুজনের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। দলের দলের দায়িত্বশীল দুজনের মধ্যে এমন অবস্থায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই নেতাকর্মীরা চান দ্রুত তাদের মধ্যে সমন্বয় ফিরিয়ে এনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নতুন মাঠে রাজপথে সক্রিয় করতে জেলা বিএনপিকে। গত ২৯ জুলাই, দিনটি ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশের প্রথম জোরাল কর্মসূচী যেখানে সফলতা পায়নি দলটি। এদিন জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজছে কেন্দ্র। সুত্রমতে, ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী ছিল। সে লক্ষ্যে জেলা বিএনপিকে কেন্দ্র থেকে দিক নির্দেশনাসহ সব ধরনের সহায়তা করা হয়েছিল যেন এদিন শক্ত অবস্থান নিয়ে শুধু দেশে নয় বিশ্বেও আন্দোলনে নিজেদের শক্তির বার্তা দিতে পারে দলটি। তবে সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি বিএনপির। এর আগের দিন সমাবেশের শেষদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তারা কি প্রস্তুত কিনা যেকোন কর্মসূচীর জন্য? সেখানে হ্যা উত্তর আসলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। এদিকে জানা যায়, ২৮ জুলাই ঢাকায় সমাবেশে তারেক রহমানের বক্তব্য শুরুর আগেই ফিরে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনেকে পথে তার এ ঘোষণা শুনতে পান। নেতাকর্মী, বিভিন্ন উপজেলা ও থানা ইউনিটের দায়িত্বশীল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলরা জানান, মূলত ২৯ জুলাই কর্মসূচীর ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব তাদের কোন দিক নির্দেশনা দেননি। কর্মসূচী কোথায় পালিত হবে, কোথায় নেতাকর্মীরা জড়ো হবে, কোথা থেক শুরু হবে এবং কিভাবে কর্মসূচী সফল হবে তা জানায়নি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের মধ্যে। নেতাকর্মীরা জানান, এদিন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিভিন্ন ইউনিট বিএনপি ও নেতাকর্মীরা একেক দিকে জড়ো হন। কোথায় কিভাবে কি হবে তা বার বার জানতে গিয়াস খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন বার্তা দেননি। সকাল ১০ টায় কর্মসূচী থাকলেও সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোন বার্তা না পেয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু কিছু নেতাকর্মী নিয়ে সড়কে উঠে পড়েন। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে চোখে গুলি খান ফতুল্লা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। মূলত এদিন কেন ও কি কারণে বার্তা না দিলে এমন সমন্বয়হীন ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সে প্রশ্নের উত্তর দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এবার কেন্দ্রের নেতারাও খুঁজে দেখবেন এবং আগামী কর্মসূচীগুলোতে এ ধরনের ভুলগুলো আর সেভাবে যেন না হয় সেজন্য কেন্দ্রের তদারকি চান নেতাকর্মীরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা