আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪৪

বিএনপির অঙ্গ সংগঠনে আস্থাহীনতা

ডান্ডিবার্তা | ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে বিভাজন স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। দায়িত্বশীল নেতারা সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বার বার। আর এতে করে মাঠের জোরাল কর্মসূচী সামনে আসলে সেখানে জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সফলনা অনিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছেন বিএনপি বোদ্ধারা। সুত্রমতে, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকায় ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচী পালন করেছেন জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। এদিন দলের মধ্যে গ্রুপিং ফুটে উঠেছে। এর ফায়দা ক্ষমতাসীন দলের কাছে যাবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। জানা যায়, ঢাকায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রদলের তিন গ্রুপ আলাদা আলাদা মিছিল করে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া আলাদা, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের জিকু আলাদা ও সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ আলাদা শোডাউন করেছেন এদিন। তিনজনের মধ্যে নিয়মিত দূরত্ব থাকলেও বিগত সময়ে তা প্রকাশ্যে আসেনি। সর্বশেষ দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তা ফুটে উঠল। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান কারাগারে থাকলেও তার মুক্তির কোন দাবি করেনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। মাহবুবের অনুসারিদের মিছিলের জন্য বলাও হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে আলাদা মিছিল করেছেন ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন সালু। এতে করে তাদের আসাংগঠনিক মনোভাব প্রকাশিত হয়। এতে করে মাহবুবের সমর্থকরা আলাদা মিছিল করে এদিন। জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব এদিন আলাদা মিছিল করেন। সেখানে সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে বলা হয়নি। এতে করে তাদের মিছিলে দেখা যায় অল্প লোকজন। অপরদিকে এতে মনক্ষুন্ন না হয়ে আলাদা বিশাল মিছিল করে রনি। তাদের মধ্যে রনি ছাড়া বাকিরা মিছিল করে র‌্যালিতে গিয়েই বাড়ী ফিরলেও রনি ছিলেন শেষ পর্যন্ত মাঠে। মূলত দলের প্রতি অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ প্রতিটি সংগঠনের আগামী দিনের রাজপথের সফলতা নিয়ে দলকে ভাবাচ্ছে। এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রের নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা না হতেই সমন্বয়হীনতায় পড়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার পরদিন দলের কর্মসূচী থেকে ফেরার পথে আহ্বায়ক গ্রেপ্তার হন। এতে করে দায়িত্ব পান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন সালু। দায়িত্ব পাবার পর রফিক ও সালুর প্রথম কর্মসূচী ছিল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি ঢাকায়। এদিন ঢাকায় দুজন নেতাকর্মী নিয়ে আসলেও প্রতিটি ইউনিটকে তারা দাওয়াত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের অনুসারিদের এদিন কর্মসূচী কোথায় কিভাবে আসতে হবে সেটিও জানাননি তারা। এতে করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছেন নেতাকর্মীদের মাঝে। দলের একাধিক সূত্র জানায়, রফিক ও সালু এক ধারায় রাজনীতি করলেও মাহবুব ভিন্ন ধারাও রাজনীতি করেন। এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই। এতে করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মনে করেছিলেন যেকোন এক ধারার হাতে হয়তো যাবে নেতৃত্ব কিন্তু সেটি না হয়ে তাদেরকে মিলিয়ে একত্রে কমিটি দেয়ায় এখন সমন্বয়হীনতার শিকার হচ্ছেন জেলার অধীনস্থ ইউনিটের নেতাকর্মীরা। এদিকে এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনের রাজপথের কর্মসূচীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে কোন আশা রাখা যাবেনা বলে ভাবছেন নেতাকর্মীরা। যেখানে সাধারণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী নিয়ে এ ধরনের বিভাজন তৈরী হয় সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচীতে সমন্বয় করতে পারবে বর্তমান নেতৃত্ব সেটি দূরের প্রত্যাশা বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের নতুন কমিটি হলেও এতে উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি দলের নেতাকর্মীরা মাঝে। জেলা যুবদলের কমিটি দুভাগে বিভক্ত হলেও মহানগর বিএনপি এক রয়েছে। তবে মহানগর বিএনপি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ভয়ে শহরে সেখানে উচ্ছ্বাস বা আনন্দ মিছিল করতে পারেনি তারাও। জানা যায়, সম্প্রতি ঘোষিত জেলা যুবদলের কমিটির আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব একসাথে কাজ করছেন। তারা দুজন পদ পাওয়ায় তাদের কিছু অনুসারির ফেসবুকে উচ্ছ্বাস ছাড়া দলের কোন ইউনিট কিংবা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। এর মধ্যে কোন আনন্দ মিছিল কিংবা মিষ্টি বিতরণও হয়নি কমিটি নিয়ে। দলের নেতাকর্মীদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবদলের দেখভাল করছেন সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তিনি দলের সকল ইউনিটকে একত্রিত করে কোন গ্রুপিং না করে সবাইকে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। এর মধ্যে হটাৎ তাকে আহ্বায়ক না করে অন্য দুজকে তার উপরে পদায়নে নাখোশ দলের নেতাকর্মীরা। এতে করে উচ্ছ্বাস ছিলনা নেতাকর্মীদের মাঝে। অপরদিকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ কমিটি পাবার পর রয়েছেন বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিতদের আতংকে। তাদের ভয়ে রাজপথে কোন আনন্দ মিছিল কিংবা মিষ্টি বিতরণের কার্যক্রম দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। সেভাবে কোন ইউনিটের নেতারা ফেসবুকেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। অপরদিকে বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিতদের ভয়ে থাকা নেতাদের বার বার নানাভাবে আরো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন তারা। সর্বশেষ দলের মুখে কালো কাপড় বেধে কর্মসূচীতে যুবদলের নতুন নেতাদের উপর হামলা করে পদবঞ্চিতরা। এতে আহত হন অনেকে। এমন ঘটনা সামনে আরো ঘটতে পারে বলে মনে করছেন নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা