আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:২৫

বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি পদ পেতে দৌড়ঝাপ

ডান্ডিবার্তা | ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি বর্তমানে সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে রাজপথে আন্দোলনমুখী অবস্থানে রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সামনে আরো কঠোর আন্দোলনের রূপ রেখা তৈরি করছে দলটির হাই কমান্ড। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অপরিপূর্ণ কমিটিগুলোর শূণ্যস্থান পূরন করার লক্ষে কাজ করছে হাইকমান্ড। জানা গেছে, ঢাকার লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় আন্দোলণ সংগ্রামে বিগত দিন থেকেই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে এই জেলার নেতৃবৃন্দ। সেই লক্ষে নানা চড়াই উত্তড়াই অতিক্রম করে আসতে যাচ্ছে নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এই পূর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে ইতিমধ্যেই নেতাকর্মীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। এর আগে দীর্ঘ ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম ফারুক খোকন। এই দুই জনের হাতকে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে। জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির আলাপ আলোচনা পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে সূত্র মনে জানা গেছে, ৩০ আগস্ট কেন্দ্র থেকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের খসড়া তালিকা পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল জেলা বিএনপিকে। সেদিকে লক্ষ্যে রেখেই ইতিমধে কয়েক দফায় অনলাইন ও অফলাইনে আলোচনা অবহৃত রেখেছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এদিকে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের খবরে আনন্দের ঢেউ বইছে জেলা বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে। এ দিকে যোগ্যতা যাচাইয়ে বাছাই করে যোগ্যদের হাতেই কমিটি তুলে দিবে দলটির হাই কামান্ড। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বনে গেছে, এদের পরবর্তীতে পদের শূণ্যস্থান পূরণ করবে দলটি ইতিমধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদ, যুগ্ম সম্পাদক সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে নাম আলোচনায় যারা রয়েছে, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমি শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে সদস্যপদে রাখার সম্ভবনাই বেশি। এদের ধারাই আগামীতে জেলা বিএনপি রাজপথে আরো সুসংগঠিত হয়ে উঠবে। দলীয় সূত্র মতে জানা গেছে, গত ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম সভাপতি হিসেবে আব্দুল মতিন চৌধুরীকে নির্বাচিত করা হয়। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম। এরপর ১৯৯২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রোকন উদ্দিন মোল্লা। রূপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম। তারপর ২০০৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় চাষাঢ়াস্থ শহীদ জিয়া হলে। এই সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারবাদী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম আলোচনায় থাকায় ২০০৯ সালের ২৫শে নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে বাদ দেয়া হয়। সর্বশেষ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায় ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ না দেখায় সাড়ে ৩ বছর পর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে পুনরায় অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। নির্দেশনা ছিল ৩ মাসের মধ্যে থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এই আহ্বায়ক কমিটি সবগুলো ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি। এর মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র নির্বাচন করায় তৈমূর আলমকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। দুই বছরের মাথায় একই বছরের ১৫ই নভেম্বর মনিরুল ইসলাম রবি ও মামুন মাহমুদের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৭ জুন জেলা বিএনপির সভাপতি হন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম ফারুক খোকন। এই দুইজনেই বর্তমানে জেলা বিএনপি অনেকাটই গর্জে উঠছে এমনকি রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা পালণ করা শুরু করেদিয়েছে। এদের মাধ্যই তৃণমূলদের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বজনপ্রীতি করে নয় যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য নেতাদের এই কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে। এদিকে পদপত্যাশীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ইতিমধ্যে সকলেই আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি। দল যদি আমাদের ধারা সংগঠনে আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করে তাহলে আমাদের স্থান দিবে। আর আমরা বর্তমানে এই স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটাবোই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা