আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫৪

সৌন্দর্য হারাতে বসেছে বাবুরাইল খাল

ডান্ডিবার্তা | ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাবুরাইল খাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্মিত নারায়ণগঞ্জের বড় একটি উন্নয়ন প্রকল্প। ফতুল্লার কাশীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের মীনাবাজার পর্যন্ত দখল দূষণে প্রায় বিপন্ন হয়ে যাওয়া খাল উদ্ধার করে এ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও এর কাজ অধিকাংশই শেষ। শুরুর দিকে বাবুরাইল খালের স্বচ্ছ পানি এবং রাতের বেলায় খালের দুইপারে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো আলোক শয্যা দেখে দৃষ্টি ফেরানো কঠিন ছিল। তবে সময় যতো যাচ্ছে ততোই যেন ফিকে হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই খালের সৌন্দর্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, ককশিট, কোকের বোতলসহ বিভিন্ন আবর্জনায় সয়লাব হয়ে আবারো পুরানো রূপে ফিরতে শুরু করেছে বাবুরাইল খাল। মাছ চাষ করায় স্বচ্ছ পানি সবুজ রং ধারণ করেছে। এদিকে দুইপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো স্টিট লাইটগুলো ছেয়ে গেছে ফেস্টুন ও ব্যানারে। একই সাথে খালের পানিতে দেখা গেছে গ্যাস ও পানির ভাসমান পাইপ ও মাছের জন্য ফেলা হিজল গাছের ডাল। অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মানুষজনের অসচেতনতা এবং জনপ্রতিনিধিদের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অপরিচ্ছন্ন নর্দমায় পরিণত হতে চলেছে বাবুরাইল খাল। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, মূলত এই খালকে ঘিরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করেই এই ময়লা জমছে খালের পানিতে। বাবুরাইল খালের পাশে অবস্থিত বাংলাবাজার এলাকার স্থানীয় শিক্ষক শহীদ আলম বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো সচেতনতা নেই। এতোগুলো টাকা দিয়ে সৌন্দর্যের জন্য এই খালটি করা হলো, কিন্তু মানুষ এটাকে এখন নর্দমা বানিয়ে ফেলছে। বাসা বাড়ির ময়লাও মাঝে মধ্যে দেখি যে খালে ফেলছেন অনেকে। আর জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তারাও এই খাল রক্ষণাবেক্ষণে উদাসীন। তারা সামাজিকভাবে এই খালের সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে কোনো প্রচার প্রচারণা করে না।’ বাবুরাইল খালের একটি বড় অংশ বয়ে গেছে নাসিকের ১৬নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে। জানতে চাইলে ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াদ হাসান বলেন, ‘মেয়র এই খালটি একজন স্থানীয় সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে (আফরোজা আফরোজ বিভা) দিয়েছেন মাছ চাষের জন্য। যাতে খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু যিনি পরিষ্কারের কথা বলে খালে মাছ চাষের অনুমতি নিয়েছেন তিনিই তো পরিষ্কার করে না। এখানে মাছ চাষের নামে টিকিট ছাড়া হয় কিন্তু মানুষ টিকিট কিনে মাছ ধরতে এসে মাছ পায় না। আর স্থানীয় মানুষ তো চাইবেই ময়লা ফেলতে। কিন্তু যাদের দায়িত্ব রক্ষণাবেক্ষণ করার, তারা যদি না দেখে তাহলে তো ময়লা হবেই।’ তবে এ বিষয়ে জানতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বিভাকে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা