বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই দেশ জাপানের মত উন্নত হতো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো এখন তারাই উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশকে অনুস্বরণের কথা বলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ জাপানের মত উন্নত হয়ে যেত। তিনি আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানিেেয় বলেন, এ সরকার আগামীতে পুনরায় নির্বাচিত হলে দারিদ্রতাকে যাদুঘরে পাঠাবে শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বৈশিষ্ট্যই আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা। জ্বালাও পোড়াও করা। বিএনপি জামায়াত আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল তাদের সেবা শুশ্রূষা করেছেন। বিএনপির কাউকে অন্যায় ভাবে জেলে রাখা হয়নি। তবে আগামীতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি, একেএম শামীম ওসমান এমপি, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজ সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল ও কমিউনিাট পুলিশের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে ‘নির্ভীক দুর্জয়’ নামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি জামায়াত তো আজকে নতুন না, ২০১৩-১৪ সালে আপনারা দেখেছেন না কি রকম ভাবে জ্বালাও পোড়াও করেছে। তারা বাস পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে। জীব-জন্তু পর্যন্ত বাদ যায়নি। এটিই বিএনপি জামায়াতের বৈশিষ্ট্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এজন্য প্রস্তুত আছে। আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যারাই এই অপকর্মগুলো করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। মাদক ও কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার সময়ে স্কুল কলেজগুলো বন্ধ ছিল। সে সময় সবকিছুতেই স্থবিরতা ছিল। আর ওই সময়েই আমাদের কাছে নতুন একটা অস্তিরতা শুরু হয়। অনেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এদের সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অভিভাবকদের সাথে কথা বলছি, সামাজিক নেতাদের সাথে আলাপ আলোচনা করছি। তাদের বয়সটাই এমন যেখানে ফোজদারি কোনো কার্যক্রম করা যায় না। তারপরেও আমরা সামাজিকভাবে যেখানে যা করার প্রয়োজন আমরা করছি। সংশোধনাগার রয়েছে সেখানে জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। এই জায়গাগুলো আমাদের পুলিশ প্রশাসন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই ভালো রেজাল্ট পাবো। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে এখানে মাদক আসে। আমাদের বর্ডারগাড এবং কোস্টগার্ড সতকর্তার সাথে কাজ করে আসছে। তারপরেও মাদক আসছে। আমাদের কোস্টগার্ড এবং বিজিবি আরও শক্তিশালী করছি। সবকিছু মিলিয়ে যদি নতুন প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে অনেক কিছুই অসম্ভব হয়ে পড়বে। এজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা কঠোর হস্তে দমন করে যাচ্ছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।