আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:৩৩

ফতুল্লায় কবিরাজকে জবাই করে হত্যা

ডান্ডিবার্তা | ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় আল আমিন ভান্ডারি (৪৮) নামের এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত আল আমিন ভান্ডারি পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর জেলার সদর থানার দক্ষিন পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদের পুত্র। নিহত আল আমিন ভান্ডারি পেশায় একজন কবিরাজ। সে তার তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম সংসারের পুত্রকে নিয়ে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ীর নীচ তলায় ভাড়াবাসায় বসবাস করতেন। নিহতের ভাই আলিম শেখ জানায়,তার বড় ভাই নিহত আল আমিন ভান্ডারি বর্তমানে কবিরাজি করলেও এক সময় সে জাহাজে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন। তিন বছর পূর্বে সে জাহাজের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালি তার শ্বশুড় বাড়ী এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। দেড় বছর পূর্বে সে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসে শুরু করেন এর পাশাপাশি কবিরাজি করেন। জাহাজে চাকুরি করাকালীন সময়ে একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামের একজনের সাথে তার নিহত ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় তার ভাইয়ের নিকট আসতো এবং রাত্রি যাপন করতো। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে হাফেজ মাস্টার তার ভাইয়ের নিকট আসে। সাথে একটি কালো ব্যাগও ছিলো। তখন তার ভাই নিহত আল আমিন ভান্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলে। রাত চারটার দিকে নিহত আল আমিন ভান্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত নিজ রুমে দিতে বলে সাথে সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলে। রান্না করা ভাত এবং সেমাই খেয়ে আল আমিন ভান্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পরে। সকাল আটটার দিকে নিহতের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উকি মেরে দেখে নিহতের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পরে রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের সাথে থাকা হাফেজ মাস্টার চারটার পরে কোন এক সময়ে তার ভাইকে গলাকেটে জবাই করে পালিয়ে গেছে। হাফেজ মাস্টার সাথে করে নিয়ে গেছে তার নিহত ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম নিহত আল আমিনের স্ত্রী রোকসানার বরাত দিয়ে জানান, নিহতের পূর্ব পরিচিত হাফেজ মাস্টার রাত দশটার দিকে বাসায় আসে। পরে রাত একটার দিকে তাকে নিয়ে নিহতের শ্বাশুড়িকে গ্রামের বাড়ী নেয়াখালীতে যাওয়ার জন্য পঞ্চবটী বাসট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেয়। সেখান থেকে তারা নদীর ঘাটে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীকে বলে সে অসুস্থবোধ করছে এবং মাথা ঝিমুনি দিচ্ছে। সে ভাত খেয়ে মেহমান হাফিজের জন্য খাবার নিজ রুমে স্ত্রীকে দিয়ে আসতে বলে। স্ত্রী খাবার দিয়ে এসে দরজার বাইরে সিঁড়িতে বসে থাকলে তাকে গালমন্দ করে শালিকার ঘরে পাঠিয়ে দেয়। পরে সে দরজা লাগিয়ে দেয়। রোকসানা আল আমিন ভান্ডারির তৃতীয় স্ত্রী। গত রমজানের ঈদের পর রোকসানাকে বিয়ে করে আল আমিন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া(পিপিএম) জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস,এম জহিরুল হক, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া(পি,পি,এম), পরিদর্শক(তদন্ত) তসলিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক হারেস শিকদার, মফিজুল ইসলাম সহ পিবি আই পরিদর্শন করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা