আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪৬

এক লম্পটের লোমহর্ষক কাহিনী

ডান্ডিবার্তা | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আজ এমনই একজন লোকের মূখোশ উন্মোচন করতে যাচ্ছি যার কাহিনী শুনলে সবাই হতবাক হবেন। তিনি এমনই একজন লম্পট ও পাষন্ড ।যিনি নিজের জন্মদাতা পিতার বউ (সৎ মা) তাদের বাসার ধারের কাছেও আসতে দেন না! যিনি নিজের স্ত্রী এবং সন্তান থাকা সত্বেও অন্যে মেয়ে দেখলেই অবলা পাঠার মত আচরণ করে, এমনকি শতাধিক মেয়ের সাথে অবৈধ প্রণয় গড়ে তুলে কারো সংসার ভেঙেছে, কেউ বা অবৈধ সন্তান জন্ম দিয়ে এই পাষন্ডের জন্য অভিশাপ দিচ্ছে!এই পাষন্ডের নাম সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি, পিতার নাম মৃতঃ আফজাল হোসেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েতনগর ইউনিয়নের দক্ষিন মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকায়। সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি ছাত্র বয়সেই প্রেম করে পারিবারিক অমত সত্ত্বেও বিবাহ করেন। যার কারণে তাঁর বাবা ভীষন কষ্ট পায়। এমনকি এক সময় মৃত্যু বরণ করেন। তাদের বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় নিজের স্ত্রী এবং ঘরে ফুটফুটে পুত্র সন্তান রেখে তিনি ভাড়াটিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের তৈরী বাইতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়ের অভিবাবকের নিকট ধৃত হন এবং উত্তম মাধ্যম পেয়ে তার পরিবারের ধারায় ঐ ভাড়াটিয়া বাসা ত্যাগ করেন। এর কয়েক দিন পর পাশের বাসার স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে প্রেম করতে গিয়ে আবারো ধৃত হন এবং ওনাকে একটা ঘরে বন্দী করে রাখা হয়, টাকা পয়সা দিয়ে কিছু পরিচিত লোক ওনাকে মুক্ত করে আনেন। এলাকায় তিনি আবারো এই কাজের পুনারাবিত্তি ঘটান। তবে একটা ঘটনা ছিল আরো মারাত্তক সালাউদ্দিন আহমেদ সালমির বাড়ীর ভাড়াটিয়া এখন বর্তমানে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সিগারেট ও পান বিক্রি করেন নুর তাজির মা ও মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌণ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।এলাকায় জানাযানি হয়ে যাওয়ায় তাদের কেউও বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তার প্রভাবশালী পরিবার যার বিচার আজও পায়নি নুর তাজির মা ও মেয়ে।তবে তিনি প্রেম বলতে নিছক প্রেমকে বুঝান না তিনি এপর্যন্ত যার সাথেই প্রেমের সম্পর্ক করেছেন তার সাথেই যৌণ সম্পর্ক করেছেন। তবে সবমিলিয়ে ৩০’রও বেশি হবে।এলাকায় আশপাশের বাসার বিভিন্ন মেয়ে, কারো স্ত্রীদের সাথে চলছে প্রেমের মেলা অন্যদিকে চলছে সেখানকার নারী কর্মীদের সাথে চুটিয়ে প্রেম এবং যৌণ সম্পর্ক স্থাপন। জানা যায় মাসদাইর সরদার বাড়ী সংলগ্ন একটি বাড়ীর ভাড়াটিয়ার মেয়ে শারমিন এর সাথে কিছু দিন চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন। তারপর শুরু হয় দৈহিক সম্পর্ক। স্ত্রীকে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে পাঠিয়ে দিয়ে সেই পুরানো কায়দায় যৌন খেলায় মেতে ওঠে।এই ঘটনাও তার বাড়ীতে টের পেয়ে যায়, আর এই শারমিন তার বিয়ের সময় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে গিয়ে বিয়েতে বাধা দিতে চায় সেই সময় সালাউদ্দিন আহমেদ সালমির ঘনিষ্ট বন্ধু ডা: আলমগীর ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সেই ঘটনা আপস মিমাংসা করেন। তবে মজার ব্যাপার হলো সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি সবজায়গায় নিজেকে অবিবাহিত পুরুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রথমে মেয়েদের পটান। আর চেহারা সুন্দর হওয়ায় মেয়েরা সহজেই তাকে বিশ্বাস করে। তিনি প্রেম করার মধ্য দিয়ে প্রায় ডজন খানেক মেয়ে ধর্ষণ করে বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়েছে যার শিকার রংপুরের রতœা। অসহায় মেয়ে রতœা রংপুর থেকে আসে সে সময় খুবই সুন্দরী ছিল বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়। মেয়েটিরখুব ইচ্ছা ছিল।অনেক বড় স্বপ্ন ছিল এলাকার মানুষের কাছে বলে বেরিয়েছে আমি মাসদাইর ঘোষেরবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাহেবের ছেলের বউ হবো। রংপুরের রতœার স্বপ্নটিও পূরণ হয়নি অসহায়ের মত চলে গেছে মেয়েটি তার নিজের বাড়ি রংপুরে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।যে কিনা তাকে বিশ্বাস করেছিল অন্যভাবে। অথচ সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি তাকে বিয়ে করবে সপ্ন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে রাত্রিযাপন ও যৌনকর্ম সিদ্ধ করে। এমনকি ঢাকায় একটা অফিসে চাকুরী দেবার নাম করে ঢাকার এক হোটেলে তাকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৩ দিন রাখেন। তারপরও ‘সে’ জানতো না যে সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি বিবাহিত এবং তার ছেলে আছে। এরই মধ্যে মেয়েটির গর্বে বাচ্চা আসে। সালাউদ্দিন আহমেদ সালমিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় মেয়েটি। কিন্তু সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি তাকে রাতারাতি নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে বলে, এবং তার বৌ-বচ্চার কথা তাকে বলে দেয়। মেয়েটি তখন লজ্জায় আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে আসে এবং নিজ বাড়ি রংপুরে চলে যায়। এবং দুই দিনের মধ্যে একটি ছেলেকে বিয়ে করে। সালাউদ্দিন আহমেদ সালমির ঔরশজাত সন্তানকে সে তার বর্তমান স্বামীর সন্তান হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু তার মনে আজো সেই ব্যাথার আগুণ খুড়ে খুড়ে খাচ্ছে।মাসদাইরের ঘোষের বাগ আল আকসা জামে মসজিদ সংলগ্ন মৃত বিল্লাল মিয়ার তিনটি মেয়ে বিলকিস, ববিতা, হ্যাপি, ওরা তিনজনও সালাউদ্দিনের কাছ থেকে রেহাই পাইনি যৌন নির্যাতনের শিকার থেকে পড়ে এলাকাবাসীর চাপে পড়ে কিস্তি থেকে টাকা তুলে মৃত বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী শাহিনীœকে ছোট একটি বাড়ী কিনে দেয়। এমনকি নিজের বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি টাকা ধার নেয়, বন্ধুদের ধারকৃত টাকা বন্ধুদের বউদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। শুধু তাই নয়।কোন বন্ধু যদি বিদেশ পাড়ি দেয় জীবিকার তাগিদে তখন তার কপাল খুলে যায়। কারণ তখন তার কুদৃষ্টি থাকে তার ওই বন্ধুর অসহায় বউটির উপর। সালাউদ্দিন আহমেদ সালমি ইয়াবা সেবনের সময় নিজের মুখে বলে বাবা সেবন না করে অপারেশনে তিনি যান না। বাবা সেবনের সময় নিজের অফিসে গর্বের সাথে বলে বাবা খাব ফিলিংসে ডে-ট্রিটমেন্ট করব সিঙ্গাপুরে।মাসদাইর ঘোষের বাগ এলাকার থান কাপড় ব্যবসায়ী আরিফ ওরফে কেনিজ আরিফ কিছু দিন আগে দেড় কোটি টাকা দিয়ে জায়গা কিনে ঘোষের বাগে। এই জায়গার জন্য কমিশন বাবদ (চাঁদা) সালাউদ্দিন কে ২০ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য করে। টাকা দিতে না চাইলে এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার ফেরদৌস ওরফে কালা ফেরদৌস বাহিনীকে লেলিয়ে দেন এবং প্রশাসনের ভয় ভীতি দেখান বলে জানান এলাকাবাসী ।এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য সালাউদ্দিন আহমেদ সালমির মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় সেই জন্য তার বক্তব্য নিতে পারেনি এই প্রতিবেদক।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা