ঝুলে আছে জেলা বিএনপির কমিটি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জকে রাজনৈতিক আন্দোলনের সূতিকাগার বলা হয়ে থাকে। তার কারন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ৬৬’র ছয় দফা থেকে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, সর্বক্ষেত্রেই আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সক্রিয় ছিল। এমনকি রাজধানীর লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চোখ সবসময় নারায়ণগঞ্জের দিকেই থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বর্তমানে সরকার পতনের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন। সকল আন্দোলনেই অন্য সকল জেলা থেকে অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিগত দিনে জেলা বিএনপির কার্যক্রম ধীরগতি দেখা গেলে ও বর্তমানে নতুন আহ্বায়ক কমিটির গঠনের পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়ে গেছে এই জেলা বিএনপি পরবর্তীতে গত ১৭ জুন জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলনের মাধ্যমেই জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ নির্বাচিত করা হয়। তারপর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৪ মাস যাবৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েই চলছে জেলা বিএনপির রাজনীতি। এরই মধ্যে আলোচনা উঠেছিলো অতি শীঘ্রই আসতে চলছে জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি। কিন্তু এই কমিটি আসলো না এখনো। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিলো ৭ দিনের মধ্যে খসড়া কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রে একটি খসড়া কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। যা দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ দিনেও কমিটি রূপে আসতে পারেনি। এর মধ্যে আসার শূরু করেছে বিএনপির নতুন রূপ রেখা প্রথমেই টানা ১৫দিনের কর্মসূচি এরপর আরো কঠোর ভূমিকা আসতে পারে। কিন্তু কেন্দ্র নানা অলসতা দেখিয়ে এখনো জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি সাবমিট করছে না এমনটাই বলা হচ্ছে। এটা নিয়ে বর্তমানে পদ প্রত্যাশীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান। এমনকি আসছে ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ জনসমাবেশ সেখানে ও জেলা বিএনপির দিক থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এককভাবেই লোক সমাগম জমায়েত করবে এখানে যদি সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ কমিটি এমন কেউ থাকতো তাহলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারতো। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসতে ইচ্ছা পোষন করছে এদের সাথেই সমন্বয় করে ১৫১ সদস্য বা ১৬১, ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের আবাস ও পাওয়া গিয়েছিল। এমনকি গত ২৪ আগষ্টে কেন্দ্রের নির্দেশ এসেছিলো ৩০ তারিখের মধ্যে খসড়া জমা দিলে সপ্তাহের মধ্যেই আসবে কমিটি কিন্তু জমা দেওয়ার ২০/২২ দিনে ও আসলো না জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বরের জনসমাবেশকে স্বরণকালের শ্রেষ্ঠ সমাবেশে রূপ দিতে চায় জেলা বিএনপি। জানা গেছে, জেলা বিএনপির ৯ সদস্য আহ্বায়ক কমিটির গঠনের পর থেকে এই গিয়াস ও খোকন একের পর এক চমক দেখিয়েছেন। এমনকি এদের ধারা সকল ইউনিট আরো শক্তিশালী ও গতিশীল হয়ে উঠেছে। এদিকে জেলা বিএনপির সম্মেলনের চার মাসে ও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে চলছে জেলা বিএনপি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু কয়েকদিন কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে নানা তৎপরতা দেখা গেলেও বর্তমানে আবারো ঝিমিয়ে পরছে। যা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ মান রয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশে কয়েক দফা মিটিং হলে ও এখন আর সেই মিটিংয়ের দেখা পাওয়া যায় না। এখন আবার কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে হচ্ছে নানা মিটিং কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তোলজোড় নেই। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রে কমিটির খসড়া জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোন রেজাল্ট আসেনি। আমরা আশাবাদী অতি শীঘ্রই কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়ে যাবে। আমরা আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।