আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৪৯

হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

ডান্ডিবার্তা | ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা চিকিৎসায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে। লাশের পোকা ধরে গেলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষের কোন খবর ছিল না। লাশের গন্ধ ছুটে গেছে পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে মেহেদেী হাসান নামে এক লোকসহ ৩/৪ জন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় এ বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা হাসপাতালে রেখে চলে যায়। ঐ সময় বৃদ্ধের কোন জ্ঞান ছিল না। তার পা ভাঙ্গা ও মাথায় আঘাত ছিল। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেওয়ারিশ হিসাবে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখে। কিন্তু তাকে সঠিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বা পঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। চিকিৎসার অভাবে সে হাসপাতালেই মারা যায়। কথন মারা গেছে তাও হাসপতাল কর্তৃপক্ষ জানে না। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডা. বেলায়েত জানান, আমাদের এখানে এ রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। মূলত সঠিক চিকিৎসার অভাবেই সে মারা গেছেন। আর তার কোন ওয়ারিশ ছিল না। আর মামলা তাকে বেওয়ারিশ হিসাবে ঢাকা মেডিক্যাল কিংবা পঙ্গু হাসপতালে পাঠাবো তারা সেখানে রাখবে না। তাই আমাদের এখানে যতটুকু চিকিৎসা দেয়ার তাই দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে তেমন জনবল ন্ইে যে, এ রোগীর পিছনে লোক রাখা যাবে। আর এখানে একটি সমস্যা হলো এ হাসপতালকে যেন পূর্নবাসন কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে। যখন যার ইচ্ছা তাকেই এনে রেখে যাচ্ছে। এ ব্যপারে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ রোগীর কোন ওয়ারিশ না থাকায় আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমাদের এখানে হাড়ভাঙ্গাসহ জটিল রোগের চিকিৎসা নেই। এ ব্যপারে বৃদ্ধকে হাসপতালে নিয়ে আসা মেহেদী হাসানোর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের উত্তর লক্ষণখোলা কড়ইতলা এলাকা এলে এখি একটা লোক রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমারা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আমাদের ধারনা কোন অজ্ঞাত গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে ফেলে রেখে গেছে। পরে ডাক্তার কি চিকিৎসা দিয়েছে আমরা জানিনা। লাশ উদ্ধারকারী বন্দর থানার দারোগা আহাদ জানান, ধারনা করা হচ্ছে লোকটি ২দিন আগেই মারা গেছে। তাই লাশের ক্ষতস্থানে পোকা ধরে গেছে। আমার লাশের পরিচয় জানার জন্য পিবিআইয়ে সাহায্য নিয়েছি। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। এদিকে পিবিআইয়ের দারোগা বদিউজ্জামান হাসপাতালে এসে লাশের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেন। পরে তারা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা বায়োমেটিক প্রদ্ধতি ব্যবহার করে তার পরিচয় সনাক্ত করি। তার নাম খোরশেদ আলম, পিতা হাজী মো: ইন্তাজ উদ্দিন। বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ভার্কুতা ইউনিয়নের মুশুরী খোলা, ফিরিংগী কান্দা এলাকার বাসিন্দা। বন্দর থানা পুলিশ লাশের স্বজনদের সংবাদ দেয়ার চেষ্টাা করছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা