আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:০৩

দুঃসময়ে বহিরাগতরা লাপাত্তা!

ডান্ডিবার্তা | ০৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:১৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি তথা তাদের অন্যতম শরীকদল জামাত-শিবির জোট দীর্ঘদীন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ানো বিএনপি ও জামাত শিবিরের কতিপয় নেতৃবৃন্দ এখনো সেই পূর্বের ন্যায় অপকর্ম চালিয়ে আসছে। ক্ষমতাসীনদলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে কতিপয় বহিরাগত দলের বিতর্কিত নেতৃবৃন্দ প্রবেশ করেছে। চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড! এমনকি স্থান করে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পদ পদবীও। ক্ষমতাসীনদলের পদ পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড করার ফলে দলের বদনামের পাশাপাশি অবমূল্যায়িত হচ্ছে দুঃসময়ে থাকা রাজপথের নেতা-কর্মীরা। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। বহিরাগতদের আগমনের ফলে ক্ষমতাসীনদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। দলীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে ঊপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃনমূল নেতৃবৃন্দ। দলীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বহিরাগতরা ভোগ করছে বলে অভিযোগে উঠে আসছে তৃনমূল থেকে। বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অতীত ভূলে গেছে! তাই ক্ষমতাসীনদলের সে সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বহিরাগতদের নিয়েই রাজনীতি করে আসছে। এর ফলে একদিকে দলের বদনামের পাশাপাশি ভবিষত্যে দলীয় স্বার্থে বর্তমানে অবমূল্যায়িত এবং ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে দলীয় প্রয়োজনে পাবে না বলেও ত্যাগী নেতৃবৃন্দ তাদের অভিমত ব্যাক্ত করেন। তৃনমূল নেতৃবৃন্দ তাদের অভিযোগে জানান, সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্য দিয়েই সুবিধাবাদীরা বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করছে। এতে বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী বা স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যরাও চোখের পলকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়ে যাচ্ছেন। বাগিয়ে নিচ্ছেন দলের বিভিন্ন পদ-পদবিও। জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর যাবত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অনেক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তবে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কত সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। তবে সহযোগী ও ভ্রাতৃ-প্রীতম সংগঠনগুলোর মধ্য দিয়ে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে। মূলদল আওয়ামী লীগে কিছুটা করাকরি থাকায় মূলত সহযোগী সংগঠনগুলোকে তারা প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করেছে। জেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কারনেই ক্ষমতাসীন দলের গুটি কয়েক সুবিধাবাদী প্রভাবশালী নেতা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে পদ-পদবী পেতে বহিরাগতদের সুযোগ করে দিচ্ছেন। যাদের ছত্র ছায়ায় অণ্যদল থেকে আসা বিতর্কিতরা আজকে দলের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে এর বাগ ভাটোয়ারা বহিরাগতদের শেল্টার দাতারা পেয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ তুলেন তৃনমূলের নেতা কর্মীরা। আর এ জন্যই বহিরাগতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠলেই বিভিন্ন কৌশলে বহিরাগতদের বাঁচাতে বিভিন্ন পন্থায় মরিয়া হয়ে উঠেন সুবিধাভোগী নেতারা। যার ফলে সাংগঠনিকভাবে বহিরাগতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দলীয় হাই কমান্ডের বেগ পেতে হচ্ছে। তাই তৃনমূল দাবি করেন, বহিরাগতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আগে তাদের শেল্টার দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হলে বহিরাগতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বারংবার চিন্তা করবেন ঐ সকল প্রভাবশালী শেল্টার দাতারা। তাই বহিরাগত এবং বিতর্কিতদের শেল্টার দাতাদের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা তৃনমূল রাজনীতিবীদদের। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আওয়ামী লীগে বা সহযোগী সংগঠনে জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের নেয়া হবে না। হয় তো দু-একটা জায়গায় এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সহযোগী সংগঠনগুলো তো আওয়ামী লীগের বাইরে আলাদা কোনো নিয়মে চলতে পারে না। সুতরাং তাদের (সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের) আওয়ামী লীগের নিয়ম মানতে হবে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, নির্দেশনা থাকলেও বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগে অনু-প্রবেশ) থেমে নেই। বিশেষ করে সহযোগী সংগঠনগুলো আরও বেশি সুযোগ করে দিচ্ছে সুবিধাবাদীদের। সহযোগী সংগঠনের নেতারা নিজেদের সুবিধার জন্যই মূলত অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে জায়গা করে দিচ্ছেন। আবার ভালোভাবে দেখছেনও না তারা কোথা থেকে আসছে বা কেন আসছে। পৃথক সংগঠন হওয়ায় জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদেরও এ বিষয়ে কিছু করার থাকে না। আবার জেলা পর্যায়ের রাজনীতি থেকেও এগুলো সব সময় জানাও সম্ভব হয় না। তবে অতীতের বিষয়গুলো বহিরাগতদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং দলীয় ফোরাম থেকে খোঁজখবর নিয়ে অন্যদল থেকে আশা ব্যাক্তিদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা