
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সরকার পতন আন্দোলন সফল করতে ব্যর্থ এখনো বিএনপি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবী জানিয়ে এক দফা আন্দোলন চলমান রয়েছে বিএনপির। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন গত ১২ জুলাই বিএনপি এক দফা আন্দোলন ঘোষনার পরে যেভাবে সরকারকে চাপে রাখা দরকার ছিল তারা সেভাবে চাপ তৈরী করতে পারে নাই। আর এজন্য বিএনপির আন্দোলন তেমন একটা সুফল বয়ে আনছে না বলে মনে করেন সচেতন মহল। এদিকে দেশে ফিরেই বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করছে এটা খুব ভালো। কারণ এতে করে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে। আমি তো খবর রাখি কোন এমপি কতবার এলাকায় যায়। আগে যারা এলাকায় যেত না কিংবা একটু পিছিয়ে ছিল তারা এখন সক্রিয় হয়েছে। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল অক্টোবরেই তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হঠাবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে। কিন্তু এখন বিএনপি অন্য সুর পাল্টে তারা বলছে যে দুর্গাপূজার মধ্যে তারা কোন বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় না। বরং দুর্গাপূজার পরে আন্দোলন করবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ গতকাল শনিবার থেকে সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের উৎসব যাত্রা শুরু করছে। গতকাল শনিবার থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এরপর ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসভা এবং দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করে দলকে নির্বাচন মুখী করবেন। আর এরকম অবস্থায় নভেম্বরে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে যাবে এই ভাবনা এখন মোটামুটি ভাবেই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে অনেকের কাছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সমাবেশের পর এবার আওয়ামী লীগ সমাবেশ দিয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক কাচঁপুরে সমাবেশ করবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেছেন, এই অক্টোবরে সরকারের পতন ঘটবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এই মাসে সর্বোচ্চ আন্দোলন গড়ে তুলবো। কিন্তু তাদের বিপরীতে বসে নেই ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামীলীগের নেতারা বলছে বিএনপির যে কোন নৈরাজ্যকে প্রতিহত করবে। ঢাকার প্রবেশ মুখে মাহড় থাকবে ক্ষমতাসীস দল এমন মন্তব্য করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল যে সেপ্টেম্বরে তারা চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তেমন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। অক্টোবরে তারা বড় ধরনের আন্দোলনের কথা বললেও তারা এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোন আন্দোলন তৈরি করতে পারছে না। দলীয় সুত্র বলছে, আন্দোলন নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি রয়েছে। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, এক দফা আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়া হবে, নাকি নির্বাচনে যাওয়া এ ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপিকে। নাহলে এই দুটি চাপেই বিএনপি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, আমরা যদি সত্যি সরকারের পতন ঘটাতে চাই তাহলে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য এখনই সময়। আর এক মুহূর্ত দেরি করা যাবে না। এখন থেকে যদি আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে একটা বড় ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তখন বিএনপির সামনে নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। তাছাড়া যদি আমরা নির্বাচন বর্জন করি তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেবে না। কাজেই বিএনপির আন্দোলনের জন্য আর অপেক্ষা করাটা সমীচীন নয় বলেই বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন। কিন্তু অকারণে এবং রহস্যময় বাস্তবতায় বিএনপি আন্দোলনের বড় কোনো কর্মসূচি দিতে পারছে না। বরং বড় কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের অনীহা এবং টানাপোড়েন চলছে। অপরদিকে বিএনপির আরেকটি অংশ মনে করছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ইস্যুটি সমাধান হতে পারে এ কারণেই তারা আন্দোলনের লাগাম টেনে ধরছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন বিএনপি আসলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে। এই জন্যই বড় ধরনের আন্দোলন দিচ্ছে না। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, আম ছালা দুটোই যাওয়ার উপক্রম হবে যদি বিএনপি এখনই আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে। তবে বিএনপির মধ্যে এখন নির্বাচন মুখী ধারাটি প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে নির্বাচন এই বিষয়টি অনেকে ইতিবাচক ভাবে দেখতে চান। বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সেটি তারা নিশ্চিত করবেন বলেও বিএনপিকে আশ্বস্ত করছে। নির্বাচনে যেতে গেলেও এখন থেকেই তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কিন্তু আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটো ব্যাপারেই বিএনপি দ্বিধান্বিত। তাই রাজনৈতিক বোদ্ধমহলে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি কোন পথে যাচ্ছে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি কোন পথে যাবে আন্দোলন না নির্বাচন?
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯