বিএনপিকে দমানোর চেষ্টা চলছে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট   চলামান আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবে বর্তমানে দফায় দফায় দলীয় কর্মসূচিতে ঢাকামুখী অব¯’ান করছে বিএনপি। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি যখন ৫/৬ মাস তখনই রাজপথে ক্রমেই তৎরপতা বাড়া”েছ বিএনপি। বছর খানেক আগে শুরু করা দেশ ব্যাপী নানা কর্মসূচির পর এবার মহা-সমাবেশের ও ১ দফা দাবির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এগুলোর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় বিএনপি। আর বিএনপির চেয়ারপার্সনকে ছাড়া এই প্রথমবার মহা-সমাবশের ডাকা হলে ও এই কর্মসূচিকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের টানিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে দলটির হাইকমান্ড। সেই লক্ষে দলীয় সভা সমাবেশ গুলোতে বড় জমায়েত ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন টানতে মরিয়া বিএনপি। এছাড়া যখনই কোন কর্মসূচির ডাক আসে তখনই পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সেই লক্ষ্যে হিসেবেই এবার ও জেলা বিএনপির আওতাধীন রূপগঞ্জ থানা, সোনারগাঁও থানা, আড়াইহাজার থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছে। কারণ দফায় দফায় সকল নেতাকর্মীদের বাড়িতে চলছে পুলিশ তল্লাশী। যা নিয়ে বর্তমানে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান। কিš‘ নেতাকর্মীদের মাঝে দীর্ঘদিন দফায় দফায় আন্দোলনের কারণে যে উজ্জ্বীবিতভাব সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে কোন পুলিশ মহড়ায় ও নেতাকর্মীদের মাঝে ভয় না থাকলে ও সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে সতর্কতা অবলম্বন করছে সকলেই দাি নেতাকর্মীদের। এদিকে আবার ঢাকার রাজপথে থাকছে বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের ও কর্মসূচি যাকে ঘিরে উত্তেজনার আকাঙ্খাও হতে পারে অনেকের ধারণা। এদিকে ঢাকার লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় বর্তমানে এই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে উঠেছে সরকার দলীয় পুলিশ বাহিনী। একের পর এক কর্মী বা নেতাদের গ্রেফতার করা হ”েছ। যাকে ঘিরে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে। অপরদিকে সকলের মধ্যে ব্যাপক প্র¯‘তির কারণে এগুলোকে নৈমিত্তিক কাহিনী বলে এড়িয়ে যা”েছ। গ্রেফতার ও তল্লাশী বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে বর্তমানে আমাদের মহানগরে গ্রেফতার চালা”েছ। আর এগুলো করে প্রমান হ”েছ এই প্রশাসন পুরোপুরি আওয়ামী লীগের একটি প্রশাসন। আর এর মাধ্যমেই বুঝা যায় এই প্রসাশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। আর বিরোধী দলকে দমন করার জন্যই এই প্রশানকে সাজানো হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের নির্দেশ অনুযায়ী হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করা হ”েছ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, বর্তমানে এই সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশী করে যা”েছ। যার কারণে অনেক নেতাকর্মী কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে নিজ বাসভবন রেখে অন্য জায়গায় অব¯’ান করছে। এছাড়া ও বিকেলে আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে আবার সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহিদ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারাব থেকে একজন, আড়াইহাজার থেকে দুইজন, ভুলতাসহ অনেক জায়গায় গ্রেফতার চলছে। কিš‘ বিএনপি বর্তমানে চলমান কর্মসূচিতে রয়েছে। যার কারণে আমি মনে করি এই গ্রেফতার পরোয়ানা বিএনপিকে কিছু করতে পারবে না। বিএনপির জনশ্রোতে সব ভাসিয়ে দেওয়া হবে। সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবৎই অমাদের সোনারগাঁ থানা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশী করছে পুলিশ। আর গতকাল সোনারগাঁ থানার আওতাধীন ২জন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও আমাদের নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য পারমিশন দি”েছ না এই সরকার। কিš‘ আমরা এই নয়া পল্টনেই সমাবেশ পালন করবো যে কোন মূল্যেই। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, রূপগঞ্জ বিএনপিকে মহা সমাবেশে যাওয়া থেকে দাবিয়ে রাখতে বর্তমানে পুৃলিশের তল্লাশী চলছে। ইতিমধ্যেই সকল নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পুলিশ বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে যা”েছ। যেই আতঙ্কে কেউ নিজ বাসভবনে ও অব¯’ান নিতে পারছে না। এমনকি ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আওতাধীন ১০নং ওয়ার্ড থেকে ১ জন ও ৩নং ওয়ার্ড থেকে ২ জন মোট ৩জন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে এই পুলিশ। কিš‘ কোনভাবেই আমাদের দাবিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। আমরা আগামীকালের মহা-সমাবেশে জনস্রোত সৃষ্টি করবো। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, বর্তমানে মহা-সমাবেশেকে কেন্দ্র করে আমরা যাতে সকল নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় মহা-সমাবেশ সফল না করতে পারি সেই লক্ষ্যে সরকারের পুলিশ বাহিনীরা গতকাল বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের অনেক নেতাকর্মীর বাসায় তল্লাশী চালিয়েছে, আবার আরেক বিএনপি নেতা কাশেম ভাইকে গ্রেফতার করতে এসেছিল কিš‘ এলাকাবাসী পুলিশকে অনুরোধ করেছে যে সে অনেক অসু¯’ তাকে যাতে গ্রেফতার না করে সেই লক্ষে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। অপর দিকে আরেক বিএনপি নেতা বাবুল ভাইকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে এই মামলা গায়েবী গ্রেফতারিকে ভয় করি না আমরা বিগত দিন থেকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আমরা যে কোনভাবেই এই মহা-সমাবেশ সফল করবো। সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, আগামী মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতি মধ্যেই আমাদের সদর থানা বিএনপির আওতাধীন কয়েকটি নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশের অভিযান অবহৃত রয়েছে। আর আমাদের জানা মতে ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজালাল সরদারকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে এই বাকশাল পুলিশ। এছাড়া আর কাউকে এখনো গ্রেফতার করেছে কিনা এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। আর যতই বাধা আসুক মহা-সমাবেশকে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করবো ইনশাআল্লাহ।