
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ২৮ অক্টোবরকে সামনে রেখে চূড়ান্ত আন্দোলনের রোডম্যাপের দিকে এগোচ্ছে বিএনপি। দুর্গাপূজার ছুটির পর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে নেতাকর্মীদের থাকার আহ্বান জানিয়ে যথা সময়ে নির্বাচন করার হার্ডলাইনের দিকে এগুচ্ছে আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে নিয়ে প্রতিরোধে পাল্টা সমাবেশে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার সবচেয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। আগামী ২৮ তারিখ আমাদের সমাবেশ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট। ফ্লাইওভার থেকে তিন মিনিটে যাওয়া যায়। শাপলা চত্বরও কাছাকাছি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ঢাকার সবচেয়ে কাছে। আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের সমাবেশে সবচেয়ে বড় সাপোর্ট যাবে। মির্জা আজম বলেন, ‘ওরা এখন দিন তারিখ ঠিক করে দিচ্ছে যে তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তাহলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা কী এখানে বসে থাকবো। আমরা বলেছিলাম ৪ তারিখ সমাবেশ করবো। সেটা হবে। কিন্তু তার আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা অবরোধের সেদিন আমরাও ঢাকা দখলে রাখবো।’ এদিকে বিএনপি তাদের ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে সফল করতে প্রশাসন এবং পুলিশের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছে সূত্র। এক্ষেত্রে বিএনপিপন্থী অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের একটি সিন্ডিকেট গঠিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন ভাবে সরকারের সাথে যোগাযোগ করছে এবং এই যোগাযোগের মাধ্যমে তারা প্রশাসনের লোকজনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিপন্থী এই সমস্ত সাবেক আমলারা নিয়মিত বৈঠক করছেন এবং এই সমস্ত বৈঠকে তারা প্রশাসনে ৩ ধরনের ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করছেন। যে সমস্ত ব্যক্তিরা সরকারের অন্ধ সমর্থক প্রথমে তাদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদেরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূতাবাসে, বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাসে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় তালিকা করা হয়েছে হলুদ তালিকা। যে তালিকায় আছেন মোটামুটি নিরপেক্ষ এবং বর্তমান সরকারের সুবিধাভোগীরা। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ সুযোগ পেলেই বিএনপির পক্ষে আসবে তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য। এদের মধ্যে থেকে কিছু কিছু ব্যক্তিকে বিএনপি তাদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এর বাইরে রয়েছে সবুজ তালিকা, যে তালিকায় বিএনপিপন্থীদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, সবুজ তালিকায় যারা আছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং প্রশাসনে তাদের ভূমিকা কি হবে, আগামী ২৮ অক্টোবর সময় পর্যন্ত তারা কি কি ধরণের কর্মকান্ড নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে সেই সম্পর্কে তাদেরকে ব্রিফিং করা হচ্ছে। একই রকম তালিকা তৈরি করা হয়েছে মাঠ প্রশাসনের ক্ষেত্রেও। মাঠ প্রশাসনেও যারা বিভিন্নভাবে বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া ভবনের মাধ্যমে যারা চাকরিতে ঢুকেছেন, এই সমস্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলা প্রশাসক হিসাবে মাঠের দায়িত্ব পালন করছেন। এদেরকে পক্ষে আনার জন্য এবং এদের সাথে একটি নেটওয়াার্ক তৈরি করার জন্য কাজ করছেন বিএনপিপন্থী সাবেক আমলারা। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও একটি গোপন নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ চলছে। যেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পুলিশে যারা বিএনপি জামাতপন্থী রয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সামনের দিনগুলোতে সরকার পতনের আন্দোলনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও মাঠে নামাতে চায় বিএনপি। তাদের পরিকল্পনা হল এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা যে সচিবালয় থেকে কতিপয় আমলা বেড়িয়ে আসবে এবং বিএনপির আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাবে। বিএনপি লক্ষ্য করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে একজন বিচারকের মন্তব্য সারা দেশে তোলপাড় করেছে। সেই একইভাবে সচিবালয় থেকে বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যদি বিএনপির সমর্থনে বা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়, তাহলে সেটি আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক হবে। আর এই লক্ষ্য রেখেই বিএনপি এখন কাজ করছে। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, গত এক বছর ধরে তারা পেশাজীবিদের মধ্যে কাজ করছে। সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে বিএনপি একটি নেটওয়াার্ক তৈরি করেছে। পেশাজীবিদের সমাবেশে ডেকেছে। তাতে বিএনপিপন্থী বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কৌশলগত কারণে প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনীতে যারা বিএনপিপন্থী আছে তাদেরকে প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে সামনের দিনগুলোতে চূড়ান্ত আন্দোলনে তাদেরকে দিয়েই বিএনপি চমক সৃষ্টি করতে চাইছে। এদিকে মির্জা আজমের সহযোগিতা চাওয়ার প্রেক্ষিতে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। আমরা যদি ক্ষমতাচ্যুত হই তাহলে এক রাতের মধ্যেই ৬৫ হাজার লোক মারা যাবে। রাজনৈতিক কৌশল আমরা কীভাবে নেবো তা বসে ঠিক করতে হবে। ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে-শুনে পা ফেলতে হবে। আমরা কারও গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাধা দেবো না। এটা নেত্রীর নির্দেশ না। তিনি বলেন, ‘আগামী ৪ তারিখ দেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটা যখন শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে।’
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯