সিদ্ধিরগঞ্জের ত্রাস সজু অস্ত্র মাদকসহ গ্রেপ্তার

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ত্রাস কিশোর গ্যাং প্রধান ও মাদক সম্্রাট তানজিম কবির সজিব ওরফে সাজুকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বক্তারকান্দি টু নয়াকান্দি হাইস্কুলগামী ইটের রাস্তা সংলগ্ন বালুর মাঠ এসিএ ফাইবার গ্লাস শো-রুমের পিছনে অভিযান চালিয়ে ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ৪৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সন্ত্রাসী সজু সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকার প্রয়াত বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবিরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়। র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ডিএডি আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে গজারিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজাকারের নাতি হিসেবে পরিচিত সজু নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কদমতলী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। কিশোর গ্যাং বাহিনী গঠন, মাদক কারবারি চক্র গড়ে তুলা ও নিরীহ মানুষের জমি দখলের বহু অভিযোগ রয়েছে এই যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী সাজুর বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কদমতলী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ডজনের বেশি মামলার আসামি ও মাদকের ডন হয়েও সাজু সম্প্রতি একটি অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একজন গানম্যান রাখেন। লাইসেন্স প্রাপ্ত অস্ত্রের পাশাপাশি অবৈধ একাধিক অস্ত্র ও তার সাঙ্গফাঙ্গদের হাতে ৪-৫টি ওয়াকিটকি দিয়ে এলাকায় এমনভাবে ঘুরে বেড়াতেন যেন, তিনি সরকারি প্রশাসনিক কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সন্ত্রাসী সাজু অস্ত্র প্রদর্শন করে তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজ বাড়িতে বাংলা মদের কারখানা ও বিভিন্ন স্পটে প্রকাশ্যে মাদক বেচা কিনা করতেন। পাশাপাশি সে অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত বলে একাধিক সূত্র দাবি করে আসছিল। তাদের এ দাবির সত্যতা মিলে র‌্যাবের হাতে গজারিয়াতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর। মাদকের পাশাপাশি অস্ত্র বিক্রি করতে সাজু বিভিন্ন সময় গাজারিয়া আসা যাওয়া করত বলে র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়। সাজুকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জড়িয়ে পড়লে কদমতলী এলাকায় উল্লাস ও স্বস্তি ফিরে আসে।