বন্দর আ’লীগে নেতৃত্বে অভাব!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে আওয়ামীলীগের দৈন্যদশা কাটছেনা। আওয়ামীলীগ দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের অভাব। আওয়ামীলীগ ৩ বার ক্ষমতার চেয়ারে থাকলেও বন্দরে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দলতে শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান। নেই কোন চেইন অব কমান্ড। শীর্ষ নেতারা শুধু নিজেদের আখের গুছাতেই ব্যস্ত। আর নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছে। যার কারণে বিগত উপজেলা নির্বাচনে বন্দরে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হতে পারেনি। সব সময় জাতীয়পার্টি আর বিএনপি জয়লাভ করেছে। গতবার আওয়ামীলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে অবশেষে মেকানিজম করে বিনা ভোটে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে দায়াদান করে চেয়ারে বসানো হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এবার আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করছে। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার অভিযোগ দীর্ঘ ১৫ বছরেও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ দলকে শক্তিশালী করতে পারেনি। তিনি শুধু নিজের আটখের গুছিয়েছে। তিনি বিভিন্ন সভায় বলে বেড়ান তিনি দুর্নীতি করেননি। কিন্তু তিনি বিগত উইপ নির্বাচনে প্রশাসন ম্যানেজ করে দেয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেননি? সে টাকার কথা তিনি একবারও বলেননি। যার কারণে সেই সকল প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছে। এ ব্যপারে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমএ রশিদ একজন দুর্নীতিবাজ তিনি টাকা নিয়ে কোথায় রাখেন? তার অবস্থা আমরা সকলে জানি। যিনি জুতা বোগলদাবা করে কাঁদা পেরিয়ে সড়কে উঠে মানুষের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া চেয়ে নিতেন মাত্র ১৫/১৬ বছরে কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো তিনি এর জবাব জনগণের মাঝে দেয়না কেন? আমরা এর হিসাব চাই। যার রিকশা চড়ার টাকা ছিলনা সে এখন দামি গাড়ি হাকিয়ে চলেন। কোথায় পেলেন তিনি আলাদিনে চেরাগ? তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামীলীগ করি। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা এবারের উপজেলা নির্বাচন উৎসব মুখর করার জন্য উম্মুক্ত করেছেন। যেহেতু দলীয় কোন মনোনয়ন নেই তাই আমি যে কাউকে সমর্থন করতেই পারি। এ জন্য আমাকে নাকি তারা বাহিস্কার করেছে। তা আমি লোকমুখে শুনতে পাই। কিন্তু এখনো আমাকে তারা বহিস্কারের চিঠি দিতে সহস পায়নি। আমি হাতে চিঠি পেলে আদালতে দাঁড়াবো। কোন বলে তারা আমাকে বহিস্কার করে? আমি আদালতের মাধ্যমে এর জবাব চাইব। কিন্তু তারা ভয়ে আমাকে চিঠি দিতে সাহস পায়নি। তাই যেহেতু আমি চিঠি পাইনি তাই আমিই ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে বহাল আছি। আমি দলকে ভালবাসি দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ ও উৎসব মুখর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি ক্ষোভের সাথে বলতে চাই এমএ রশিদ সভাপতি হওয়ার পর থেকে বন্দরে আওয়ামীলীগ দুর্বল থেকে আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিগত সিটি নির্বাচনে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে আমি একমাত্র আওয়ামীলীগের লোক নির্বাচিত হয়েছি। বাকি বিএনপি ও জাতীয়পার্টির লোক। তাহলে তিনি সভাপতি হয়ে দলের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেননি। এর কারণ হলো তিনি নেতৃত্বে সৃষ্টি করলে তার কদর কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন। তাই তিনি বন্দরে আওয়ামীলীগকে দুর্বল করে রেখেছেন। তার আগে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন যখন বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন তখন দলে প্রাণ চাঞ্চল্য ছিল। এখন আর সে অবস্থা নেই। তাই এ সকল লোককে বর্জন করে নতুন নেতৃত্বে সৃষ্টি করে দলকে শক্তিশালী করা জরুরী বলে মনে করি। আর একনই সময় তার মত মতলববাজ লোকদের ত্যাগ করা। আমি প্রকাশ্যে দলের খাতিরে তার বিরোধীতা করছি। কিন্তু গোপণে তার বিপক্ষে বন্দরের আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী রয়েছে। তারা তার পাশে ঘুরাঘুরি করলেও প্রকৃত পক্ষে তার বিপক্ষেই রয়েছে। তাই আমি চ্যালেঞ্জ করছি আমাকে যদি বহিস্কার করা হয় তবে আমাকে বহিস্কারের চিঠি দেয়া হউক। তার পরে দেখব তাদের বহিস্কার কতটা বৈধ।