আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:২৫

বন্দরে ৪টি স্কুলের ফল বির্পযয় শিক্ষার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন

ডান্ডিবার্তা | ১৫ মে, ২০২৪ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরের বেশ কয়েটি স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বন্দরের ৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবারের এসএসসি খারাপ ফলাফল করেছে। বন্দর উপজেলায় ২৩টি স্কুলের মধ্যে ২৩তম হয়েছে সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৬২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করে মাত্র ২৫জন। বাকি ৩৭জন ফেল করেছে। এ স্কুলের পাশের হার ৪০.৩২ শতাংশ। ২২তম হয়ে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মডার্ণ একাডেমী। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৮জন এর মধ্যে পাশ করে ৪০জন বাকি ২৮জন ফেল করে। এ স্কুলের পাশের হার ৫৮.৮২ শতাংশ। ২১তম হয় নাসিম ওসমান মডেল একাডেমী। এ স্কুল থেকে ৯৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ৫৮জন বাকি ৩৬জন ফেল করে। এ স্কুলে পাশের হার ৬৩.০৪ শতাংশ। বন্দরের ঐতিহ্যবাহী নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলটি ২০তম হয়েছে। এ বিদ্যালয় থেকে ২২০জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৪৪জন পাশ করে। বাকি ৭৬জনই ফেল করেছে। এ স্কুলের পাশের হার ৬৫.৪৫ শতাংশ। নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে ফেসবুকে নানা জন বিভিন্ন কমান্ড করতে শুরু করেছে। একজন লিখেছেন কিছু অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালনা করলে শিক্ষার মান আরো নিচে নেমে আসবে। এ স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাস না করে বেশী সময় পার করে নিজেরা পিকনিক করে। অদক্ষ প্রশাসনিক কার্যক্রম। আরো একজন লিখেছে কোচিংয়ের টাকার জন্য স্কুলের প্রশসন বেপরোয়া হয়ে উঠে। কিন্তু তাদের শিক্ষাদানে অনিহার কারনে আজকের এই অবস্থা। তারা ৬ মাসের কোচিংয়ের টাকা অগ্রিম নিলেও শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখতে পারেনি। অনেকে বলেন কোচিংয়ের টাকা নিলেও মূলত কোচিং তেমন করানো হয়নি। কিন্তু কোচিংয়ের টাকার জন্য পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ারও নজির রয়েছে। স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের স্কুলের প্রতি কোন নজর নেই। যার কারনে আজকের এই অবস্থায় এসে দাঁিড়য়েছে। এদিকে অবিভাবকরা বলেন, এ স্কুলটি এক সময় শিক্ষার মান অনেক ভাল ছিল। বর্তমান প্রধান শিক্ষক স্কুলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শিক্ষার মান দিন দিন নিচে নেমে আসছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজেকে অনেক পাওয়াফুল মনে করেন। তিনি শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অবিভাবকদের সাথে খারাপ আচরন করে। শুধু তাই নয় তিনি স্কুলে রাজনৈকি প্রভাব বিস্তার করে রেখেছেন। একটি অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান প্রধান শিক্ষককে নিজের মেয়ে বলে আখ্যায়িত করার পর তিনি অনেক বেপরোয়া হয়ে উঠেন। শিক্ষার মান উন্নয়নে এমপি সেলিম ওসমান এ স্কুলের প্রতি আলাদা নজর দিলেও এবার শিক্ষার্থীরা তার মান রাখতে পারেনি। এবারের এসএসসির ফলাফলে এমপি সেলিম ওসমানের সন্মানে আঘাত বলে মনে করেন অভিভাবকরা। তাই অভিভাবকরা অদক্ষ প্রধান শিক্ষককে অপসারন করে দক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালনার দাবি জানান। তাই অভিভাবকরা এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অপরদিকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মর্ডাণ একাডেমীর চেয়ারম্যান বলেন, আমার এখানে যারা ভর্তি হয়েছে তারা ান্য স্কুল থেকে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরা। তাদের আমি শিক্ষাদান করে পাশ করিয়েছি। যারা ফেল করেছে তারা নিয়মিত স্কুলে আসে নাই। তাই তারা ফেল করেছে। যদি তারা নিয়মিত স্কুলে আসত তবে আমার স্কুলে পাশের হার শতভাগ হতো। আমি মনে করি যাদের ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে ান্যান্য স্কুল তাদের আমি ঘষে মেজে তৈরী করে ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা