আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:৫৫

আ’লীগের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ

ডান্ডিবার্তা | ১১ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে নাশকতা সৃষ্টির জন্য সংঘব্ধ হচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ইতিমধ্যে বিদেশে বসে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নাশকতার নির্দেশানা দেয়া হয়েছে। আর সেই নির্দেশনা পেয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আর এ নির্দেশনা আসে সেই সকল চিহিৃত সন্ত্রাসীদের কাছে। যারা দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামীলীগের হয়ে সন্ত্রাসী করেছে এবং অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। তারা সন্ত্রাসীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। আর আওয়ামীলীগের সেই নির্দেশনা ফাঁস হয়ে যায়। এতে আওয়ামীলীগের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ পায়। নারায়ণগঞ্জে টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে দিক নির্দেশনা নিয়ে ফের নাশকতার জন্য সংগঠিত হবার চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিদেশ থেকে যুবলীগ নেতা মীর সোহেল ও পাগলার সন্ত্রাসী মির হোসেন মিরুর নির্দেশনায় স্থানীয়ভাবে নিজেদের মেলে ধরার পরিকল্পনা করছে তারা। ইতোমধ্যে তাদের টেলিগ্রাম গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন নীল নকশা। ফতুল্লার বহুল বিতর্কিত যুবলীগ ক্যাডার মীর সোহেল আলী আমেরিকাতে গেছেন এমন পোস্ট হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাঁর ভাই মীর ফয়সাল ওই পোস্ট করেছেন। গত ৫ আগস্টের আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছুড়েছিলেন তিনি। এছাড়া অনেক জায়গায় হামলার অভিযোগে মামলাও হয়েছে। তিনি ছিলেন শামীম ওসমানের ফতুল্লা জোনের বিশ্বস্ত ক্যাডার। ফতুল্লা ও আশপাশ এলাকার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল সোহেলের। সোহেল মূলত শাহ নিজামের বন্ধু ছিলেন। এক সময়ে তিনি ছাত্রদল করতেন। পরে যুবলীগে যোগ দেন। অপরদিকে মির হোসেন মিরুকে সবাই তাকে চিনেন একজন দুর্ধষ সন্ত্রাসী হিসেবেই। পুলিশের খাতায়ও আগে তিনি তালিকাভুক্ত ছিলেন। প্রায় ২ হাজার মানুষের প্রাণের বিনিময়ে সংগঠিত ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে যারা পালাতে পারেনি তাদের কেউ কেউ কারাগারে, আবার অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী স্থানীয় ভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মীয় পরিচয়ে বা বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। তবে থেমে নেই তাদের চক্রান্ত। অনলাইনে সংগঠিত হয়ে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। সুযোগ পেলেই চালাতে পারে বড় নাশকতা। ইতোমধ্যে ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিক স্থানে ঝটিকা মিছিল, মশাল মিছিল, পোস্টারিং এবং এনসিপির তোরনে অগ্নিসংযোগের দুঃসাহস দেখিয়েছে। আত্মগোপনে থাকা এসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় না আনতে পারার কারনেই এই দুঃসাহস অনবরত দেখিয়ে যাচ্ছে তারা। ২১ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫ টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের শিবু মার্কেট এলাকায় যুবলীগের মিছিলের প্রস্তুতি মুহূর্তে ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। এরা সকলেই ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ও যুবলীগের কর্মী বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জানান থানার ওসি। ফাঁস হওয়া টেলিগ্রাম চ্যাটগ্রুপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নামে একটি গ্রুপে অন্তত ১০৭ জন সদস্য রয়েছেন। যেখানে এসএম আহমেদ দিপু নামে একব্যক্তি যুবলীগ নেতা মীর হোসেন মিরুর হয়ে সবাইকে বার্তা দিচ্ছেন। সেই বার্তায় বলা হয়, ‘ঐক্য হও লড়াই খুব নিকটে। শক্তি সঞ্চয় করেন সবাই। আমরা যাতে কুতুবপুরে একসাথে নামতে পারি। মিরু চাচা যোগাযোগ বাড়ান। আমাদের দ্রুতই মাঠে নামা লাগবে। সবাই যাতে একসাথে মাঠে নামতে পারি। শামীম চাচা, ভাইজানকে যাতে আমরা চমক দেখাইতে পারি।’ এছাড়া গ্রুপ থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাইনুল হোসেন নিখিল, মীর সোহেল আলী, মীর হোসেন মিরুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়। গ্রুপে থাকা এক সদস্য নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘এই গ্রুপে প্রায় প্রতিদিনই ভিডিও ও অডিও কলে নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছে মীর সোহেল, মিরু সহ আওয়ামী লীগের ফতুল্লা অঞ্চলের লোকজন। এখানে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়। সুযোগ পেলে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনাও করে যাচ্ছে তারা। এমন অসংখ্য গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’ সূত্র বলছে, নিয়মিত এসব বৈঠকের মাধ্যমে যেমন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির উপর নজরদারি চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন। তেমনি প্রতিনিয়ত পরিকল্পনা করে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে পোস্টারিং, ঝটিকা মিছিল, গোপন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নাকের ডগায় আওয়ামী লীগের লোকজন ঘুরে বেড়ালেও তাদের কিছুই করতে পারছে না। উল্টো তাদের রক্ষা করতে এবং থানা পুলিশ ম্যানেজ করতে বিএনপির কতিপয় নেতারাই এগিয়ে আসছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন অসংখ্য টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে বা সুযোগ বুঝে জেলাজুড়ে চালাতে পারে নাশকতা। পুলিশ প্রশাসন যদি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে অস্থিরতা তৈরী হবে রাজনৈতিক অঙ্গনে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা