নয়ামাটিতে বিখ্যাত মাছুয়ার দুধের মালাই পাউরুটি
জাহাঙ্গীর ডালিম
পাকিস্তান আমল থেকে নয়ামাটির জনপ্রিয় চায়ের দোকান। নারায়ণগঞ্জে গেঞ্জি বা আন্ডার গার্মেন্টসের জন্য বিখ্যাত নয়ামাটি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান হওয়ায় রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য এখানকার মালিক শ্রমিক সকলের প্রথম পছন্দ গরুর দুধের মালাই পাউরুটি আর গরুর দুধের চা। তবে সেটাও কড়া লিকারের গরুর দুধের চা। সেই গরুর দুধও হবে একদিনের পুরানো। ফলে চিনি কম দিয়ে কড়া লিকারের চা এমনিতেই মিষ্টি হয়, আর গরুর দুধের মালাই পাউরুটি উপরে দিয়ে তারপর চিনি দিয়ে দেন। সেই থেকেই এরকম মাছুয়া দুধের মালাই পাউরুটি জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠে বন্ধন মার্কেটের দুধের মালাই পাউরুটি ও চা বিক্রেতার চেয়ে মার্কেটের নামেই চায়ের দোকান সুনাম অর্জন করে। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এখনও থেকেই ২০২৪ সালে এসেও বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। মাছুয়া পাকিস্তান আমল থেকে পাউরুটি উপরে দুধের মালাই রুটি বিখ্যাত। নয়ামাটি বন্ধন মার্কেট নিচ তলায়। মাছুয়া মারা যান ১৯৮৮ সালে। তারপর থেকে ছেলে খোকন এই দোকানের হাল ধরেন। সেও হয়ে গেছে ৪৬ বছর ধরে দোকান করছেন। খোকন এর সাথে আলাপকালে বলেন, গরুর দুধের মালাই মাউরুটি বিক্রি করে ধীরে ধীরে সুনাম অর্জন করে। প্রতিদিন কম করে এক হাজার মালাই পাউরুটি ১০ টাকা আর গরু দুধের চা ৬টাকা করে এক হাজার কাপ চা বিক্রি করেন। ব্যতিক্রম স্বাদের এই গরুর দুধের মালাই পাউরুটি গরুর দুধের চা বিক্রির আয় দিয়ে চলছে সংসার। সপ্তাহের শুক্রবার বন্ধ থাকে। বৃহস্পতিবার সব থেকে বেশি ভীড় থাকে তার দোকানে। এভাবেই হয়ে উঠেন “মাছুয়ার গরুর দুধের মালাই পাউরুটি।