
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর অবশেষে আগামী রোববার সকালে কারামুক্ত হচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল জানান, “জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এরমধ্যে ৩০টিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলায় জামিনে আছেন। আদালতের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছেছে, তাই তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।” এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন জাকির খানের দুই ছোটভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, নাজির আহমেদ, আব্দুল আজিজ এবং মৃত মনিরুজ্জামান শাহীন। ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি সকালে মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকারকে। নিহত সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। ঘটনার পর তার বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের তৎকালীন বিএনপি সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জাকির খানসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০৬ সালে জাকির খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। র্যাব জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন থেকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন জাকির। পরে তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। একসময় শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, সাব্বির হত্যা মামলার পর জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যান। এরপর প্রায় দুই দশক দেশে না থেকে ২০২১ সালে ভারত হয়ে ফের দেশে আসেন। পরে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সাব্বির হত্যা মামলার বিচার কাজ গতি পায়। গত বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি এই মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির দ্রæত নিষ্পত্তি ঘটে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯