আজ শুক্রবার | ৪ জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫২
শিরোনাম:
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার উপর শামীম ওসমান বাহিনীর গুলির দৃশ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়    ♦     হাইব্রিডরা বিএনপির জন্য কাল!    ♦     স্ত্রীর দেয়া কিডনিতে প্রাণে বেঁচে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী    ♦     পদত্যাগ করেছেন মম    ♦     নির্বাচনী রাজনীতি কোন দিকে গড়াচ্ছে?    ♦     ভাল লোকেরা দেশ ছেড়ে পালায় না: গিয়াস উদ্দিন    ♦     জুলাই আন্দোলনে শহীদের মাগফেরাত আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া    ♦     সদর ইউএনও’র বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন    ♦     ফতুল্লা পোস্ট অফিস টু শিবু মার্কেট রোডের বেহাল দশা!    ♦     অপহরণকারী চক্রের দুই নারীসহ ৪জন গ্রেপ্তার    ♦    

সদর ইউএনও’র বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

ডান্ডিবার্তা | ০৪ জুলাই, ২০২৫ | ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে নির্দেশনা না মানা এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি নেতা ও বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ হাসান আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বক্তাবলী খেয়াঘাটে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন হাসান আলী। তিনি গত মার্চ সরকারি বিধি মোতাবেক আমি খেয়াঘাটের ইজারা প্রাপ্ত হই। আয়কর ও ভ্যাট টেক্স পরিশোধ করি। ঘাট সুন্দর ভাবে পরিচালনা করা জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করি। কমিটির ৯ জন আমি মোঃ হাসান আলী, আব্দুর রশিদ মেম্বার, হাজী দেলোয়ার হোসেন, মোজাম্মেল হক, নজরুল ইসলাম প্রধান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল ও সুমন। মোঃ হাসান আলী আরো বলেন, আমরা নয়জন পার্টনার ছাড়াও আরো ৫৫/৬০ জন এই খেয়াঘাটের সাথে জড়িত। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশে ৮ সপ্তাহের জন্য সময় পাই। কিন্তু ইউএনও আদালতের নির্দেশ না মেনে গতকাল ২ জুলাই আবারো টেন্ডার সম্পূর্ণ করেন। আমার নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিলেন না দেওয়ায় তিনি এমন শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি পুরো উপজেলায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। আমরা ২ মাস খেয়াঘাটটি ঠিক মতো চালাতে পারি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদেক চৌধুরীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন কথা। ওনি (হাসান আলী) যখন রিয়াদ চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে খেয়াঘাট প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সেটা পুরোটাই ভাইরাল হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা সেটা (ইজারা) বাতিল করি এবং নতুন করে ইজারা দেই। ওনি তো উচ্চ আদালতে পিটিশন করেছেন এবং রাজাপুর খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও পুনঃদরপত্র আহŸানের নোটিশ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, এমন কোন আদেশের কপি আমরা হাতে পাইনি। যদি পাই তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো। তিনি এখন সেই ইজারা হারিয়ে বাজে কথা বললে তো হবে না। ওনার অভিযোগগুলো পুরোটাই ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য বক্তাবলী ইউনিয়নের রাজাপুর খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও পুনঃদরপত্র আহŸানের নোটিশ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ২৪ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রিট পিটিশন নং ১০০৪৬/২০২৫ এর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিট আবেদনটি দায়ের করেন খেয়াঘাটের বর্তমান ইজারাদার মো. হাসান আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর নিযুক্ত আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ। মো. হাসান আলী জানান, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী স¤প্রতি তাঁর ইজারা বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহŸানের নোটিশ দেন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজারা বাতিল ও পুনঃদরপত্র আহŸানের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এই আদেশের ফলে ইজারাদার হাসান আলী বর্তমানে রাজাপুর খেয়াঘাট পরিচালনায় আর কোনো আইনগত বাধার সম্মুখীন নন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, “হাইকোর্টের আদেশ সম্পর্কে আমি এখনো কিছু জানি না। আদেশের কপি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা