সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছত্রছায়ায় কমিশন বাণিজ্য করে বেকার থেকে এক দশকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আহসান উদ্দিন আহমেদ সায়মুম। নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ করে দেশ ও দেশের বাইরে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন গাড়ি, বাড়ি-ফ্ল্যাটসহ ভবনসহ বিপুল সম্পদের। ১৫ বছর আগেও বেকার ছিলেন সৈয়দ আহসান উদ্দিন আহমেদ সায়মুম। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুরে ভবঘুরের মতো চলাফেরা করতেন তিনি। পরে ঢাকায় মোটরসাইকেল শো রুমে চাকরি নেন ২০ হাজার টাকায়। কিছুদিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্যাশিয়ার বনে যান। সেই সুযোগে আসাদুজ্জামান কামালের বিভিন্ন সেক্টরের কমিশনের অর্থের ভাগ পেতো সায়মুম। আসাদুজ্জামানের পাশাপাশি সাবেক বিমান ও পযটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগি ছিল সায়মুম। একে একে প্রভাবশালীদের সাথে ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে বাড়তে থাকে সায়মুমের সম্পদ। নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্য, রাশিয়া থেকে গম ও বিমানসহ বিভিন্ন কেনাকাটার কমিশনের ভাগ যেতে সায়মুমের পকেটে। হাজার কোটি টাকার মালিক সায়মুমের একাধিক আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে রাজধানীর গুলশান ও উত্তরাতে। ঢাকা ও কক্সবাজারে সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সাথে পাঁচ তারকা হোটেলের মালিকানাতেও রয়েছে তার নাম। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত টাকা শ্যালক আসিফের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করতো। এভাবে দেশের গন্ডি পেরিয়ে দুবাইয়েরও বিস্তৃত হয় তার সম্পদ। এলাকাবাসী জানায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও আলিশান ভবন গড়ে তুলেছেন সায়মুম। রয়েছে কয়েকটি জমিও। চড়তেন দামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে। পাঁচ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছে সায়মন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া সায়মুমসহ অন্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।