আজ সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ১৩ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ৪:৫৬

হামিদ-আইভীতে শত প্রশ্ন

ডান্ডিবার্তা | ১১ মে, ২০২৫ | ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

মোস্তফা কামাল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নয় মাস পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড পাড়ির ঘটনা। এক দিনের মাথায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার। একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত নয়। সময়ের ফের বলে কথা। এ সময়েই আওয়ামী লীগের ভালো নেতাদের বিএনপিতে যোগদানের গ্রিন সিগন্যালের খবর। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবিতে রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ। নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের জনপ্রিয় মেয়র আইভী আওয়ামী লীগ করলেও ৫ আগস্টের পর পালাননি। নিজ বাসভবনেই ছিলেন গ্রেপ্তারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অভিযানে গিয়ে শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে আইভীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় সেখানে তার বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন। গাড়িবহর নিয়ে পুলিশও ছিল সতর্ক অবস্থানে। গ্রেপ্তারের সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কি জুলুমবাজ, আমি কি হত্যা করেছি, আমি কি চাঁদাবাজি করেছি, আমার এমন কোনো রেকর্ড আছে নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছি, তাহলে কীসের জন্য কী কারণে, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই।’ আইভীর এ দাবি খÐন করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান জানিয়েছেন, আইভীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে সে সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, দিনের আলো ফুটলে যাবেন। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় তিনি সহযোগিতা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইভীর বিদেশযাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ। তবে দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না তার। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবিনামাকারীদের অভিযোগ, হত্যা মামলার আসামিদের অনেকে সরকারি প্রটেকশনে আছে। বিদেশ পালানোর ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে—এ মর্মে কয়েকজন উপদেষ্টার নামধাম নিয়ে অভিযোগও করছে তারা। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আবদুল হামিদের সঙ্গে গেছেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয় গত ১৪ জানুয়ারি। তাতে আরও আসামি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদসহ ১২৪ জন। এমন একটি মামলার আসামি হয়েও হামিদের দেশত্যাগে কেন নিষেধাজ্ঞা নেই? কীভাবে বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেলেন? প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে সরকার ও সরকারের বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্যোশাল মিডিয়ায় আরও বেশি। এ ব্যাপারে ক্ষোভের তীব্রতা বেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দিকে। তার পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। সেখানে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে দেশ ছাড়তে সহযোগিতা করেছেন। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন গণ অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। খুব ধারালো অভিযোগ তাদের। সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তাকারীদের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও পথরোধে পড়ে তিনি বলেছেন, এতে জড়িত ও সহায়তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তা করতে না পারলে ‘আমি চলে যাব’। মানে পদত্যাগ করবেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ ঘোষণার পর রাত ৮টার দিকে আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের কথা গণমাধ্যমকে জানানো হয়। একই সঙ্গে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবি পুলিশের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথাও জানানো হয়। অতিরিক্ত আইজিকে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেশ কিছু গণমাধ্যম নিশ্চিত হয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট ব্যবহার করে রাতে ফ্লাইটে উঠেছেন আবদুল হামিদ। ভিআইপি গেট ব্যবহার করার বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের গোচরেই। ভিআইপি গেট ও লাউঞ্জ ব্যবহারকারীদের ওপর বিমানবন্দরে কর্তব্যরত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বাড়তি নজর এমনিতেই থাকে। কোনো একটি সংস্থার আপত্তি থাকলেও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বাধাহীনভাবে কারও দেশত্যাগের সুযোগ থাকে না। দেশত্যাগে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কোনো চিঠি দেননি। কোনো গোয়েন্দা সংস্থারও আপত্তি ছিল না। এ কারণে আবদুল হামিদের ইমিগ্রেশন ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার আপত্তির কারণে অনেকের বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়া হয়। কোনো একটি সংস্থা আপত্তি করলেই কারও বাধাহীনভাবে দেশত্যাগের সুযোগ থাকে না। হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরও আবদুল হামিদের নাম কোনো সংস্থার তালিকায় কেন ছিল না? ইমিগ্রেশন হচ্ছে বিদেশযাত্রার অনুমতির শেষ ধাপ। বিমানবন্দরে আসার আগপর্যন্ত এরকম একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির গতিবিধি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জানাই থাকে। ভিভিআইপি, ভিআইপি বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি দেশ ছাড়লে তার বিষয়ে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিরা তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়ে থাকেন। হামিদের ক্ষেত্রে এসবের ব্যত্যয় ঘটল কেন? জুলাই-আগস্টের ফ্রন্টলাইনারদের কাছে নমুনা ভালো ঠেকছে না। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবিতে আবার মাঠে নেমেছে তারা। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থানও নিয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীতে বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে। জুলাই গণহত্যার এজাহারভুক্ত আসামিরা বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়ে কীভাবে? এ প্রশ্নের আইনি ব্যাখ্যা সরকার এখনো দিতে পারেনি। নমুনা বুঝে তাই আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সোচ্চার জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য, শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রপক্ষের নেতাকর্মীরা। এসব তৎপরতার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড অন্তর্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে এ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই। দল হিসাবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাতপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কিনা। এ যুক্তি যিনি দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা করে কোন লাভ নেই।’ মাহফুজ আলম তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘বলে রাখা ভালো, দুজন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপদেষ্টাও (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও পক্ষে ছিলেন। গতকাল বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসাবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।’ পোস্টটিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দেবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম। পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্ব্বাচন হবেই।’ পোস্টে মাহফুজের বক্তব্য, ‘আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!’ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রæদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সাথে চলবেন…’ বলার অপেক্ষা থাকছে না, মেসেজে ভরা মাহফুজ আলমের পোস্টটি। ঠিক এ সময়েই গোলমাল পেকেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে ‘আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারী কর্মীরাও বিএনপির সদস্য হতে পারবেন’ বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে। তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে দাবি করেছেন, এ সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেননি অথবা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের আমলের আগেই দল থেকে চলে গেছেন এবং দলটির দুঃশাসন-লুটপাট সহ্য করতে না পেরে যারা দল থেকে সরে এসেছেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা