আওয়ামী দোসরদের তৎপরতা বাড়ছে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও সাবেক মহাপুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ দাখিলের পর বেপরোয়া হয়ে উঠতে শুরু করেছে আওয়ামী দোসররা। গতকাল রোববার দুপুর থেকে আওয়ামী দোসররা গোপনে বিভিন্ন স্থানে মিটিং করেছে। তারা এবার জঙ্গী কায়দায় দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে প্রশাসন পশুর হাট নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আওয়ামী দোসর অনেকে নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। আর এ সুযোগে তারা নতুন করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৩০ মে শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকীতেও বেশ কয়েকজন আওয়ামী দোসর বিএনপির কর্মীদের সাথে মিশে গিয়ে নিজ এলাকায় অবস্থান করার সুযোগ নিচ্ছে। তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে নব্য বিএনপি হিসাবে। আর কৌশলে আওয়ামী দোসররা নতুন ছক আঁকছে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রীয়ায় বাধা দেয়ার জন্য। তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের পর আওয়ামী দোসররা তৎপর হয়ে উঠেছে। অনেকে আকারে ইঙ্গিতে সরকারের সমালোচনাও করতে দেখা গেছে। এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এই মামলায় শ্যান অ্যারেস্ট দেখাতে বলেছেন আদালত। এই মামলায় পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক আছেন। আগামী ১৬ জুন এই মামলার তিন আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলো। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাÐের ঘটনায়। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী দোসরদের দুপুর থেকে কেমন যেন অস্থির দেখা গেছে। তারা দুপুরের আগে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলেও দুপুরের পর থেকে নানা জনের সাথে যোগাযোগ করছে। তবে তারা কোন লোক দেখেলে সরে গিয়ে কথা বলেন। তারা নিজেদের মধ্যে গোপন মিটিং করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন সংবাদ গোয়েন্দাদের মধ্যে রয়েছে। তবে আওয়ামী দোসররা প্রশাসনের নজরধারী রয়েছে বলেও জানা গেছে। কোন প্রকার সন্দেহ হলেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সাধারণ মানুষ মনে করেন, বর্তমানে দেশ অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কোন রকম অরাজকতা হলে আইন শৃঙ্খলার দ্রæত অবনতি হবে। এ জন্য আওয়ামী দোসরদের এখনই আইনের আওতায় আনার আহবান জানান সাধারণ মানুষ।