আজ শুক্রবার | ৪ জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ১:৩৪

ডন বজলুর যত অপকর্ম

ডান্ডিবার্তা | ০২ জুলাই, ২০২৫ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে বস্ত্রহীন করার ঘটনায় আলোচনায় আবারো সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু। সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের আলোচিত সমালোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন এই ডন বজলু। নতুন করে আবারো আলোচনায় এসেছে। গত রবিবার দুপুর দেড় টার দিকে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মুকুলকে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ২২ সেকেন্ডের ভিডিও তে দেখা যায়, ‘বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের শরীরের পায়জামা ও পাঞ্জাবি ছেঁড়া অবস্থায় বস্ত্রশূন্য ছিল। তার পড়নে আন্ডার প্যান্ট ছিল। জানা গেছে, বন্দরের ২৭নং ওয়ার্ডের হরিপুরে হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ঠিকাদারী কাজ চালু করতে যান মুকুল। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করে ও জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে। এ সময় তাকে গালিগালাজ করা হয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় আতাউর রহমান মুকুল স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে টেন্ডার পেয়েছি। আমি প্রয়োজনীয় কাগজ স্বাক্ষর করার জন্য সেখানে যাই। এ সময় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমানের লোকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। আমার পায়জামা-পাঞ্জাবি খুলে ফেলেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযোগ অস্বীকার করে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমি ঢাকায় ছিলাম। পরে এলাকায় গিয়ে শুনি এলাকার লোকজন তাকে হেনস্থা করেছে। এঘটনায় মামলায় অভিযুক্তরা হলেন: সোনারগাঁ উপজেলার কুতুবপুর এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান (৫৫), একই এলাকার মৃত আলীর ছেলে মো. রাসেল (৪৪), আলী আক্কাছের ছেলে মো. কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪), ফজুর রহমানের ছেলে মো. গোলজার হোসেন (৪৮), মো. কাশেমের ছেলে মো. নাদিম (৩৮), মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫), মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে মো. আকাশ (২৫), মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম (৪৫) ও মো. শামিম (৪২), মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে মো. শাহাজালাল (৪০), মৃত ছালিম উদ্দিনের ছেলে মো. হযরত আলী (৫৬), মো. রফিকের ছেলে রাজ মিয়া (৫৫), সাদেক আলীর ছেলে মো. সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪), মৃত লতিফের ছেলে মো. হানিফ (৪২), ফজলুর রহমানের ছেলে মো. আক্তার (৪৫), মিছির আলীর ছেলে ইসমাইল (৫৮), বশির উদ্দিনের ছেলে মো. খালেক (৫৮) আলী আক্কাছ (৩৬) এবং অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন। মামলার এজাহারে বাদী বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ মের্সাস দেওয়ান এন্টার প্রাইজের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। স¤প্রতি মেসার্স দেওয়ান এন্টার প্রাইজ হাজীগঞ্জ ফতুল্লা ইউপি টেন্ডারের মাধ্যমে হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টিআই কাজের কার্যাদেশ পেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা জমা করে। বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মুকুল ওই কাজে সাব কন্ট্রাক্ট পান। “গত ২৯ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় সময় আতাউর রহমান মুকুল, আমি, সোবহান ও কাউছার হরিপুর বিদুৎ কেন্দ্রে চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য গেলে অভিযুক্তরা অতর্কিতভাবে আমাদের গাড়ির চারদিকে ঘেরাও করে গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে গাড়িতে থাকা অবস্থায় মতিউর রহমান বজলুর নির্দেশে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমাদের কাছে পূর্বের দাবিকৃত টাকা চাঁদা ফের দাবি করে। এবং বলে যে, চাঁদার টাকা না দিলে কোন চুক্তি স্বাক্ষর করিতে দিবে না। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা আমাদের গাড়ি থেকে টেনে হেচড়ে নামায় এবং আতাউর রহমান মুকুলেল জামা-কাপড় ছিলে ফেলে। হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আতাউর রহমান মুকুলের মাথার ডান পাশে ও ডান পায়ের পাতায় ডান আঘাত করে। একই সাথে বাকিদের উপরও আঘাত করে। এ সময় আতাউর রহমান মুকুলের দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি আইফোন এবং সঙ্গে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়া যায়।”
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা