আজ বৃহস্পতিবার | ৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ | ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭ | সকাল ৮:২৬

ঝুট নিয়ে আলমগীর-সুমনের চালবজি

ডান্ডিবার্তা | ০২ জুলাই, ২০২৫ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরীর জুট ওয়েজষ্টিজ মালের ভাগ বাটেয়ারা নিয়ে চলছে ভানুমতির খেলা যে কোন সময় নেতাকর্মীদের হাতে নাজেহাল হতে পারে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. মাহমুদুর রহমান আলমগীর ও সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন। এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দেশের বৃহত্তর রপ্তানীমুখী বানিজ্য নগরী ফতুল্লা এনায়েতনগরের বিসিক শিল্প এলাকা যেখানে গড়ে ওঠেছে কয়েক শতাধিক রপ্তানীমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে এখান থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানের জুট ও ওয়েজষ্টিজ মালামালের ব্যবসা যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে রজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমতার দাপটে ভোগ করে। বিগত দিনের ইতিহাস পর্যালোচনাা করলে দেখা যায়, এই জুট ও ওয়েষ্টিজ মালামাল মাল নাম নামানোকে কেন্দ্র রাজনৈতিক দলের নেতারা গ্রুপিং দ্বন্দ্ব তৈরী করে অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারপরও অবসান হয়নি জুট সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে বিসিক শিল্পনগরী গডফাদার শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গডফাদার শামীম ওসমান ও আজমেরী ওসমান দেশ ছাড়লে বিসিকশিল্পনগরী নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের হাতে। তারই আস্থাভাজন ও গৃহপালিত এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনকে বিসিকের জুট ও ওয়েষ্টিজ মালামাল নামানের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা না করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে যান এই দুইজন। স্থানীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর বিসিক নিয়ে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিততে ঘরোয়া আলোচনা হয় যে যারা স্বৈরাচার পতন আন্দোলন অংশগ্রহণ কারী প্রতিটি ত্যাগী ও পরীক্ষিত তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে সুসম বন্টন করা হবে। কিন্তু বিসিক থেকে থেকে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার জুট ও ওয়েষ্টিজ মালের ব্যবসা হলেও তারা এর কোন অংশ পায় না। এই দুই পাতি নেতার প্রভাবের কাছে অসহায় ত্যাগী ও পরীক্ষিত তৃনমুল পর্যায়ের বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে মাধ্যমে এড. আলমগীর ও মাহবুবুর রহমান সুমন তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহন যোগ্যতা হারালেও দলীয় হাই কমান্ড তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করছে বলে জানান স্থানীয় তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসির পতন হওয়ার পর ফতুল্লার বৃহত্তর শিল্পনগরী বিসিকের বিভিন্ন ফ্যাক্টরী থেকে জুট ও ওয়েসষ্টিজ মাল নামানোকে কেন্দ্র করে স্থনীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছিলো চরম ক্ষোভ ও চলমান ছিল গ্রুপিং দ্বন্দ্ব, এরই মাঝে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে। সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিগত দিনে যারা বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে ফেসিষ্ট সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের গন মানুষের প্রিয় দল বিএনপি বঞ্চিত হওয়া ভোটের অধিকার ফিরে পেয়ে তাদের পবিত্র ভোটের মাধ্যমে আবারও বিএনপিকে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত করবে। কিন্তু এড.আলমগীর ও মাহবুবুর রহমান সুমনের মতো অতিলোভী নেতার কারনে হয়তো জনগন তাদের সিদ্ধন্ত থেকে ফিরে আসবে। তাই বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি আহবান এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. এসএম মাহমুদুল হক আলমগীর এর মুঠোফোনে বলেন, এগুলো মিথ্যা কথা। কে কি বলে এগুলো ধরতে নাই। এখন আর কেউ ঝুট নামায় না। এখন চাইলে আপনিও নামাতে পারবেন। আগামী সপ্তাহ হতে প্রত্যেক মালিক নিজেরা ঝুট আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা