আজ সোমবার | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ৩:৪৪
শিরোনাম:
ব্যর্থতার গøানি নিয়ে চলছে জেলা বিএনপি    ♦     অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন তারেক জিয়ার প্রশ্ন    ♦     বিএনপি কি নিজেদের ঘর পরিষ্কার করবে?    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজ বাহিনী সক্রিয়    ♦     শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার    ♦     পুরানো রূপে ফিরছে মীর জুমলা সড়ক    ♦     তিন শ’ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পরিদর্শনে ডিসি    ♦     সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ    ♦     সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রচারপত্র বিতরণ    ♦     জুলাই বিপ্লবে শহীদের পরিবার ও আহতদের রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় পুনর্বাসন করতে হবে    ♦    

বিএনপিকে ডুবাচ্ছে বির্তকিতরা

ডান্ডিবার্তা | ১৩ জুলাই, ২০২৫ | ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপির কিছু বির্তকিত নেতাকর্মীদের নিয়ে শীর্ষ নেতারা বিপাকে পড়েছেন। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা অপরাধীরা একে একে বেরিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও দল কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। নারায়ণগঞ্জে কিছু নেতা রয়েছে যারা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকদের দলে রেখে দলকে বির্তকের মধ্যে ফেলছে। সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকার কুতুবপুরের ডন বজলু একজন প্রবীন নেতাকে বিবস্ত্র করার পরও তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং পুলিশ এ ন্যাক্কার জনক ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দুই জনকে গ্রেফতার করলেও মহানগর বিএনপির ২ শীর্ষ নেতা পুলিশকে ফোন করে অপরাধীদের ছাড়িয়ে নেয়। যা নিয়ে সর্বত্র বিএনপিকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে। এর আগে চাঁদাবাজির অপরাধে বিএনপির আরেক নেতা রিয়াদ চৌধুরী গ্রেফতার হয়। তবে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও সন্ত্রাসী ও আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁতকারী ডন বজলুর বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যা সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসকল বির্তকিত বিএনপি নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বিভন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অন্যান্য দলের চেয়ে দুর্বল। এদিকে টানা ১৯ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সরকার গঠন করতে পারে তারা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর একের পর এক অন্তর্ঘাতে রক্তাক্ত বিএনপি। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণসহ নানান ধরনের অপরাধের ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলটির সাধারণ নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও আমজনতা। গত জানুয়ারি থেকে জুন- ছয় মাসে ৫২৯টি ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ জন। এর মধ্যে ৪৪৫টিই বিএনপির অন্তঃকোন্দল ও বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) ষাণ্মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ৭ জুলাই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানুয়ারি-জুন ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এইচআরএসএস। সর্বশেষ গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে হত্যা করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার রাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে ¯েøাগান দেন। এ বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। স্থানীয় নেতৃত্ব কার্যত স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে। সাধারণত নেতাকর্মীদের কোনো অপরাধের ঘটনা ভাইরাল হলে বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দোষীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া বা দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের চাপে পদক্ষেপ না নেওয়ার সংস্কৃতি অপরাধপ্রবণতাকে উৎসাহিত করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, নৈতিকতা নয়, পেশিশক্তি ও অর্থ এখন বিএনপির পদ বণ্টনের মাপকাঠি। এ কারণে আদর্শিক কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। শেখ হাসিনার দীর্ঘ দমন-পীড়নের ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ‘অস্তিত্ব রক্ষার’ নামে অপরাধকে হাতিয়ার বানাচ্ছেন। এছাড়া বহিরাগত দুর্বৃত্তদের অনুপ্রবেশে দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, মিটফোর্ড এলাকায় পাথর মেরে মানুষ হত্যার ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। রিজভী প্রশ্ন তোলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কোথায়? মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের নামে যাদের নাম এসেছে, তাদের এরই মধ্যে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার এবং এ ধরনের একটি বিশাল সংগঠনে দু-একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়তে পারে, যার খোঁজ রাখা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে, চিহ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। রিজভী আরও বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে বা দলের মধ্যে কোনো দুষ্কৃতকারী বা সন্ত্রাসী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য। রিজভী স্পষ্ট করেন বলেন, সন্ত্রাসীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই; তারা নিজেদের স্বার্থে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি বা চুরি করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো ধরনের অপকর্ম, সংঘাত, রক্ত ঝরানো, মানুষ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, এদের বিএনপিতে কোনো ঠাঁই নেই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা